সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্যই হাযির ও নাযির
, ১২ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) বরকতময় জিবনী মুবারক
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّــاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّـرًا وَّنَذِيـْـــرًا
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি, সৃষ্টি মুবারক করেছি শাহিদ অর্থাৎ সাক্ষ্যদাতা, উপস্থিত, হাযির-নাযির হিসেবে, সুসংবাদদানকারী এবং সতর্ককারীরূপে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
আলোচ্য সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারকই হচ্ছেন ‘হাযির-নাযির’। সুবহানাল্লাহ! যেমন- বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফসহ আরো অন্যান্য কিতাবে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত রয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিদায় হজ্জের সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খুৎবা মুবারক উনার শেষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আপনারা যারা এখানে হাযির বা উপস্থিত রয়েছেন, যারা গায়েব বা অনুপস্থিত উনাদেরকে (আমার নছীহত মুবারকগুলো) পৌঁছিয়ে দিবেন।”
নাযির حاضر অর্থ উপস্থিত ও ناظر অর্থ দেখনেওয়ালা। যিনি حاضر আছেন তিনিই ناظر বা দেখেন। কোন ব্যক্তি حاضر ناظر হতে হলে তার جسم বা শরীর, بصر.عين বা চক্ষু থাকতে হয়।
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদাহ হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলম ও কুদরত মুবারক উনার দ্বারা ছিফতীভাবে সর্বত্র হাযির ও নাযির। জাত হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাযির ও নাযির নন। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি جسم বা শরীর থেকে পবিত্র।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় জাত হিসেবে হাযির-নাযির। অর্থাৎ যে জিসিম মুবারকসহ পবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে শায়িত আছেন উনার অনুরূপ জিসিম মুবারকসহ বা মিছালী জিসিম মুবারকসহ যে কোন সময় যে কোন স্থানে যখন ইচ্ছা তখন হাযির-নাযির হতে পারেন ও হয়ে থাকেন। আবার ছিফতীভাবে ইলম ও মু’জিযা দ্বারা, নূর ও রহমত হিসেবেও হাযির ও নাযির। তিনি সৃষ্টির শুরু থেকেই সর্বকালে সর্বযুগে সর্বাবস্থায় ناظر حاضر - ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। সুতরাং পূর্ববর্তী যামানায় সংঘটিত সকল কিছুই তিনি দেখেছেন ও পরবর্তী সমস্ত কিছু দেখছেন ও দেখবেন।
অসংখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির এবং কোনো সময় এবং স্থান উনার সম্মানিত উপস্থিতি মুবারক থেকে খালি নয়। যার কারণে কোনো উম্মত যদি জনমানবহীন শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে,) নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে যেখানেই থাকে আর সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্মরণ করলে তিনি উক্ত উম্মতের বিপদ থেকে উদ্ধার করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
মূলকথা হলো, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্যই হাযির ও নাযির।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে ছহীহ সমঝ দান করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২)
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (১)
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল কাওনাইন, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনি আও আদনা, ফখরুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত মুসলমান উনাদের ইহকালীন ও পরকালীন নাজাত লাভের সর্বোচ্চ মাধ্যম মুবারক (৩)
২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছামিনাহ্ আলাইহাস সালাম
০৩ জুন, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে, উনারই সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন
২১ মে, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১২ মে, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফ”
০৩ মে, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ বর্ণিত মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব (১)
২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদের শানের খিলাফ বর্ণিত মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব (১১)
০৬ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৫ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)