সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি বাংলাদেশতো অবশ্যই; এমনকি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
, ০২রা শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ ও ১১ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুল আহাদ (রবিবার) ও লাইলাতুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) এবং ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি একখানা অনেক বড় স্বপ্ন মুবারক দেখেছি। দেখলাম- সারা পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে আর বাঘের মধ্যে খুব মারামারি হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ বাঘ আসতেছে। আমরাই মূল কেন্দ্র। আমাদের সাথেই জেহাদ। অনেক বন্দুক-পিস্তল। বাঘগুলো সব রয়েলবেঙ্গল টাইগার। অনেক বড় বড় বাঘ। আমরা যাচ্ছি। আমার ডানে-বামে যারা আছে তাদের অনেককে বাঘ কামড়াচ্ছে, মারতেছে। আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স এরা সবাই আছে। এদেরকেও খেয়ে ফেলতেছে। ক্যান্টনমেন্টগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। এদের কামড়িয়ে মেরে ফেলতেছে। ঘুরতে ঘুরতে প্রথমে বাংলাদেশ থেকে দিল্লী, দিল্লী থেকে পাকিস্তান, পাকিস্তান থেকে আরব সাগর ও এডেন উপসাগরের উপর দিয়ে গিয়ে ইয়ামেন, ইয়ামেন থেকে লোহিত সাগর হয়ে মিশর হয়ে ভূমধ্যসাগরের উপর দিয়ে গিয়ে গ্রীস, গ্রীস থেকে মেসিতোনিয়া হয়ে কসোভো হয়ে সার্বিয়া হয়ে হাঙ্গেরী, হাঙ্গেরী থেকে স্লোভাকিয়া হয়ে পোল্যান্ড হয়ে লিথুনিয়া হয়ে লাটভিয়া হয়ে এস্তোনিয়া হয়ে রাশিয়া। তারপর রাশিয়ার উপরের দিকে রাশিয়ার পুরো অংশ হয়ে সোজা পৃথিবীর পূর্ব দিকে এসে বরারব নিচের দিকে অর্থাৎ দক্ষিণ দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে জাপানের ডান পাশ হয়ে ফিলিপাইন সাগর, ফিলিপাইন সাগরের উপর দিয়ে গিয়ে দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে ভিয়েতনাম। ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ড উপসাগর হয়ে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের উপর দিয়ে যেয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে শ্রীলঙ্কার উত্তর পাশ দিয়ে গিয়ে ভারতের তামিলনাড়– হয়ে আরব সাগর, আরব সাগরের উপর দিয়ে গিয়ে ইয়ামেন হয়ে ঘুরে আবার আগের জায়গায় এসেছি। সব বিরান। এক জায়গায় আসলাম। এসে দেখলাম বিরাট একটি বিল্ডিং। অনেক বন-জঙ্গল। লোকজন নেই। আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্সের অনেক লোক মৃত পড়ে রয়েছে। আমি খুঁজতেছি যে, বন্দুক-পিস্তল আছে কিনা। কতগুলো পিস্তল পাওয়া গেলো বন্দুকের মতো। একেকটার মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার গুলি। আমি বললাম, এগুলোই তো দরকার। এগুলো সংগ্রহ করলাম। অনেক লোক মৃত। বাঘও মরে পড়ে রয়েছে। বিদেশী লোক। আমি আমাদের লোক খুঁজে বের করলাম। বাঘগুলো এসেছে আমার চার দিকে; কিন্তু আমাকে দেখেনি। আমাকে কিছু করতে পারেনি। আমি পুরাটা চক্কর দিয়ে এসে কিছু লোক জোগাড় করে পরে আবার এলাকাগুলি জিন্দা করলাম। আর আমি বললাম, তোমরা তাহলে আগে চার দিকে নিরাপত্তা ঠিক করো। যতটুকু আমি চক্কর দিয়ে আসলাম, এই জায়গাগুলো ঠিক করো।
দেখা গেলো লাখ লাখ বাঘ। বিরাট বড় বড় বাঘ। একেকটা বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ হাত লম্বা। মানুষ অনেক। আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স, পুলিশ, যত ফোর্সের লোক ছিলো সব সাফ হয়ে গেছে। কেউ নেই। ক্যান্টনমেন্টগুলো খালি। আমি যতদূর ঘুরে আসলাম বড় বড় ক্যান্টনমেন্ট- এই আমাদের বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া-দিল্লি, পাকিস্তান পর্যন্ত। আরব সাগর ও এডেন উপসাগরের উপর দিয়ে গিয়ে ইয়ামেন, ইয়ামেন থেকে লোহিত সাগর হয়ে মিশর হয়ে ভূমধ্যসাগরের উপর দিয়ে গিয়ে গ্রীস। ওখান দিয়ে পুরা চক্কর দিয়ে এসে এদিক দিয়ে এখানে যতগুলি দেশ, সবগুলি। তারপরে রাশিয়া পার হয়ে পৃথিবীর পূর্ব দিকে এসে বরারব নিচের দিকে অর্থাৎ দক্ষিণ দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে জাপানের ডান পাশ দিয়ে থাইল্যান্ড হয়ে আরব সাগর হয়ে ইয়ামেন হয়ে চক্কর দিয়ে এসে আবার দিল্লী পর্যন্ত। সব বিরান। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ বাঘ। বাঘগুলোও মরে পড়ে রয়েছে। মানুষও মরে পড়ে রয়েছে। কোটি কোটি মানুষ। পরে দেখা গেলো এই এলাকাগুলো আবাদ হলো, নিরাপত্তা দিয়ে মোটামুটি একটা অবস্থা দাঁড় করানো হলো। কিন্তু লোক সংখ্যা অনেক কম। বাঘ তো প্রায় সব মরেছে। এখন কিছু থাকতেও পারে পালিয়ে। আমি বললাম- ‘ওগুলি দেখো, খুঁজে বের করো।’ কিছু বাঘ পাওয়া গেছে, ওগুলি মেরে ফেলা হয়েছে। এরা মানুুুষের শত্রু। অনেক বড় বড় বাঘ। এতো গুলি করা হচ্ছে; কিন্তু বাঘগুলো গুলি পরওয়া করে না। একটা বাঘ আসে (লোকজন) সামনাসামনি গুলি করে, বাঘ গুলির পরওয়া না করে লাফ দিয়ে এসে ধরে লোকটাকে খেয়ে ফেলে, কামড়িয়ে মেরে ফেলে। আর থাবা দেয়। বাঘের থাবা তো কঠিন থাবা।
বাঘ শেষ হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ বাঘ। রয়েলবেঙ্গল টাইগারের মতো। আবার অনেক বড় বড়ও আছে অর্থাৎ ছোট, বড় সর্বপ্রকার আছে।
সমস্ত ক্যান্টনমেন্টগুলো খালি। সবগুলি ঘুরে দেখলাম যে, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্সের লোক সব গায়েব। খেয়ে ফেলেছে কিছু, আর কিছু অর্ধ খাওয়া, মৃত। এমন থাবা দিয়েছে যে, মাথা গুরা হয়ে গেছে। বাঘ তো মাথার মধ্যে থাবা দেয়। অনেক বিরাট মারামারি, কাটাকাটি, খুনাখুনি। পরে একটা অবস্থা দাঁড়ালো, এই এলাকাগুলো আবাদ হলো। লোক সংখ্যা নেই বললেই চলে।
পরে আমরা কতগুলি বন্দুক পেলাম- একেকটার মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার গুলি আছে। একটা বাঘকে সাড়ে ৫ হাজার গুলি করলে দমন করা যায়। দশ-বিশটা গুলি করলে দমন করা যায় না। বাঘ দশ-বিশটা গুলি পাত্তা দেয় না। গুলি ক্রিয়া করে মরতে তো সময় লাগে। এর মধ্যে সে মানুষটিকে মেরে ফেলে। শক্তিশালী তো এগুলো। আর বাঘগুলি বিরাট বড় বড়। অনেক বড়। গরুর মতো উঁচু, লম্বা। কতোগুলি হাতির মতো বিরাট। বিশ-পঞ্চাশটা গুলিতে কিছুই হয় না। হাজার হাজার গুলি করলে, পরে মারা যায়। আর বাঘগুলো আসে খুব ক্ষিপ্ত হয়ে।
একদম পুরো এই চক্করটা- দিল্লী থেকে শুরু করে পাকিস্তান হয়ে মিশর হয়ে হাঙ্গেরী হয়ে পোল্যান্ড হয়ে পুরা এই অংশে যতগুলো দেশ আছে, সব ঘুরে এসে তারপরে রাশিয়া পার হয়ে পৃথিবীর পূর্ব দিকে এসে বরারব নিচের দিকে অর্থাৎ দক্ষিণ দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে জাপানের ডান পাশ দিয়ে থাইল্যান্ড হয়ে আরব সাগর হয়ে ইয়ামেন হয়ে চক্কর দিয়ে এসে আবার দিল্লী পর্যন্ত। পুরা সার্কেলটা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কত বড় সার্কেল এটা? হ্যাঁ?
অনেক বাঘ। অন্য কোনো প্রাণী না, শুধু বাঘ। ভয়ঙ্কর। এগুলোকে আমি দেখি, এরা কিন্তু আমাকে দেখে না। আমি যাচ্ছি। লোকজন ঠিকই আমার ডানে বামে যাচ্ছে। বাঘগুলো মারতেছে। ডানে বামে যাচ্ছে। আমার সাথে কিছু লোক যাচ্ছে। পরে দেখি আমি একাই। পরে এসে লোক জোগাড় করেছি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আরযী: মানুষ যারা ছিলো, তারা কার পক্ষে?
জওয়াব মুবারক: বাঘগুলো কোনোটা আমাদের পক্ষে না। মানুষ আমাদের পক্ষে। এখন মানুষ মানুষের ছূরতে। বাঘগুলি শত্রু হতে পারে, কাফের হতে পারে। মানুষ ঈমানদার।
অনেক বাঘ! অসংখ্য, লক্ষ লক্ষ, এখন কোটি হতে পারে। আর মানুষও কোটি কোটি। বাঘ আর মানুষের জিহাদ। এরিয়াটা বা এলাকা আমার খেয়াল আছে, কতটুকু ঘুরলাম।
আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স তারা তাদের কামান, বন্দুক, পিস্তল দিয়ে অনেক গোলাগুলি করেছে। কিন্তু বাঘগুলি কোনো পরওয়া করেনি। ট্যাঙ্কের উপর লাফ দিয়ে একটা বাঘ উঠে গেলে, কি করবে? আর যেই বিরাট বড় বাঘ! ট্যাঙ্ক তো এটার তলে পড়ে থাকে। ছোট বড় অনেক বাঘ আছে। ছোট, মাঝারি, বড়। বড়গুলো তো অনেক বড়। বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ হাত লম্বা। অনেক লম্বা, উঁচু। গরুর মতো, মহিষের মতো, হাতির মতো উঁচু। মাঝারি সাইজের বেশি। ছোট, বড় কম। মাঝারিগুলো গরু-মহিষের মতো উঁচু। আর লম্বায় এই রুমের সমান হবে না, একটু কম হবে। ১০-১৫ ফুট তো স্বাভাবিক, ২০ ফুট। এতো লম্বা মাঝারি যেগুলো। এই সাইজের বাঘ বেশি। আর ছোট-বড় আছে। তবে দেখতে দেখা গেলো সব রয়েলবেঙ্গল টাইগার অর্থাৎ ডোরাকাটা সব। হিং¯্র বেশি। অন্য কোনো প্রাণী নেই। শুধু বাঘ। সিংহ বা অন্য কিছু আমি দেখিনি। শুধু বাঘ দেখলাম। এক চেটিয়া বাঘ। দলে দলে বের হয়ে আসতেছে এগুলি। অনেক হিং¯্র। আর বন-জঙ্গল দেখলাম অনেক।
এখন শয়তান হোক আর শত্রু হোক, যাই হোক, কাফের-মুশরিক হোক, এগুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আর মানুষও মারা গেছে; কিন্তু এরা সব শেষ। মরে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
পরিশেষে আমার একটা কথা মনে হলো- ঐ যে আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনি যে খলীফা হলেন, কিছুই নেই, এরকম। সব ফাঁকা, কিছুই নেই।
আমি শেষে যেখানে আসলাম- কয়েকটা অনেক বড় বিল্ডিং দেখলাম। অনেক বড় বিল্ডিং। অনেক বড়, উঁচু, লম্বা, চওড়া। আর চার দিকে জঙ্গল, গাছপালা। এখানে এসে আমি থামলাম। থেমে দেখলাম কিছুই নেই। অনেক লোক মৃত পড়ে রয়েছে। আমি দেখলাম- অনেকের সাথে পিস্তল, বন্দুক অন্যান্য অস্ত্র আছে। এক জায়গায় একজনের কাছে একটা বন্দুক খুঁজে পেলাম। মারা গেছে লোকটা। আর্মির লোক হবে সে। এখানে লেখা আছে- সাড়ে ৫ হাজার গুলি এটার ভিতরে। আমি বললাম- এরকমই তো দরকার আমার। সাড়ে ৫ হাজার গুলি, তাহলে বাঘ মারতে সহজ। আমি কিছু জোগাড় করলাম। কয়েকটা লোক আসলো আমাদের। তখন আমি বললাম যে, ঢাল-তলোয়ার না, বাঘ আসলে দৌড়িয়ে আসে, ঢাল-তলোয়ার দিয়ে পারা যাবে না। গুলি করলে কতগুলো মরে পরে যায়। আবার কতগুলি আক্রমণ করে। এরকমই।
আমি বলেছিলাম যে, বেশি পাওয়ার ফুল আছে কিনা? তারা দিতে পারেনি, পরে পেয়েছি। এখন বাস্তবে আছে কিনা। সাড়ে ৫ হাজার গুলি একটার মধ্যে। তখন আমি বললাম- এটাইতো দরকার। এগুলি দিয়ে গুলি করলে যত বড় বাঘ হোক, মারা যাবে। যেগুলি বড় বড় অনেক বিরাট, হিং¯্র। বাঘ যদি গরুর সমান লম্বা ও মোটা হয়, ওটাকে গুলি করলে কি কাজ হবে? দশ, বিশটা গুলিতে কি হবে? একবারে হাজার হাজার গুলি করতে হয়। ৫ হাজার গুলি একবারে করতে পারলে পড়ে যাবে। বিরাট বড় বাঘ। ছোটও আছে। ছোটগুলিতো ঘায়েল করা গেছে, বিরাট বড়গুলিতো কঠিন। বাঘের তো অনেক শক্তি আছে। সহজে পড়ে না। হিং¯্র, অনেক হিং¯্র। লক্ষ লক্ষ বাঘ। কোটিও হতে পারে।
এখন শত্রুতো আমাদের থাকবেই। কাফের-মুশরিকরা তো বিরোধিতা করবেই। তবে আমরা ইস্তিক্বামত থাকলে, অবশ্যই কামিয়াবী লাভ করবো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
জিন-ইনসান অনেক ছিলো। ক্ষতি হয়েছে। শেষে আমরাই কামিয়াবী হাছিল করেছি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখন বড় জিহাদ হলে কি রকম হবে? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আছে- বড় জিহাদ হলে ১০০ জনে ১ জন জিন্দা থাকবে। অবস্থা অনেকটা এরকমই। এই পুরোটা মনে হয় বিরান হয়ে গেছে। এশিয়া পুরো, ইউরোপের কিছু।
বড় বড় দুব্বা ঘাস। আর এমন গাছপালা যা বড় বড় গাছপালা। বড় বড় গাছপালা আছে। দুব্বা ঘাসগুলি বড় বড়। বাঘ তো একটা দুইটা না। একটা দুইটা হলে এক কথা। একশ দুইশও না। লক্ষ লক্ষ। এখন এগুলি শত্রু হোক বা আর যাই হোক, শয়তান।
ইনসানের থেকে জিন বেশি। শয়তানের দল অনেক বড় না? এগুলি বাঘের ছূরতে আসতে পারে, অসুবিধার কি আছে? কারণ কাফেররা তো কাফের। ঐ শয়তান তো থাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।
এখন মূল বিষয় ইস্তিক্বামত থাকলে কামিয়াব, আর কিছু না। এখন জিহাদ করলে কিছু লোক তো শহীদ হবেই। যারা শহীদ হবে, তারা কামিয়াব। আর কিছু লোক থাকবেই, তারা গাযী। এটা স¦াভাবিক। এখানে ভয়ের তো কিছু নেই। এখন আমাদের লোকদের দায়িত্ব হলো- তাদের কাজগুলো ঠিকমত করা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এর আগে আরেকবার দেখেছিলাম। বলছিলাম না? একটা বিরাট জিহাদ। অনেক বড় জিহাদ। সেই জিহাদ মুবারক-এ আমরা তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। আমি সামনে আছি। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে চারজন প্রধান ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে উনারা ৪ জন ও অন্যান্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে বদরের জিহাদে যেভাবে কামিয়াবী হাদিয়া করা হয়েছে, তদ্রƒপ যেন আমাদেরকেও কামিয়াবী হাদিয়া করা হয়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এবং ঐ জিহাদে আমরা কামিয়াবী লাভ করলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এখন কোনটা গাযওয়াতুল হিন্দ, ঐটা পরে ফায়সালা হবে। মূল বিষয়টা হচ্ছে- জিহাদ হয়েছে, আমরা কামিয়াবী হাছিল করেছি।
এটা হলো- বাঘের সাথে মানুষের জেহাদ। কামিয়াবী তো হাছিল হয়েছে। গায়েবী মদদ ছাড়া তো কামিয়াবী হাছিল করা যায় না। এটাও গায়েবী মদদ; অন্যথায় পারার কথা ছিলো না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আর যতগুলি বাঘ আছে আমার ডানে বামে গেছে। কিন্তু এরা আমাকে দেখেনি। যত বড় বাঘ আছে, গেছে। বিরাট বড় বড় আকৃতির। এখন আমাদের লোকজন ঈমানী কুওওয়াত হাছিল করতে হবে। বুঝতে পারলে? জিসমানী কুওওয়াত দিয়ে পারা যাবে না। যাহিরী কুওওয়াত দিয়ে এটা সম্ভব না। এটা হলো রূহানী কুওওয়াত। রূহানী কুওওয়াত হাছিল করতে হবে, তাহলে কামিয়াব। আর ইবলীস শয়তান ২৪ ঘন্টাই এই জাগায় ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আর দেশি বিদেশি শত্রু তো আছেই। সব তো একই। এগুলি আলাদা নয়। তাহলে চিন্তার কি আছে। এরা চোখের পলকে উড়ে যাবে। এখন শেষ পর্যন্ত কামিয়াবী হাছিল হওয়াই মূল বিষয়। কামিয়াবী হাছিল আমাদের হয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় হচ্ছে ঈমানী কুওওয়াত আর নিসবত। নিসবত ঠিক থাকলে, ঈমানী কুওওয়াত ঠিক থাকবে। আর নিসবত না থাকলে, ঈমানী কুওওয়াত থাকবে না।”
(অপেক্ষায় থাকুন।)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হুকুম আহকাম ও আদেশ নির্দেশ মুবারক পালনেই রয়েছে কামিয়াবী
০৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুবারক খিদমতে হযরত বড় পীর ছাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত মুজাদ্দদিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি
০২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘রহমাতুল্ললি আলামীন’ মাক্বাম মুবারক হাদয়িা
০২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত নিয়ামত মুবারক বণ্টনকারী
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)