সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়া’হ আলাইহাস সালাম উনার জীবনী মুবারক
, ১৩ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২০ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মর্যাদা-মর্তবাকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সকল স্ত্রী জাতীর উপরে স্থান দিয়ে উনাদেরকে পৃথকভাবে সম্মান দান করেছেন। উনাদের ব্যাপারে কোনরূপ চু-চেরা করার সুযোগ নেই।
সামগ্রিকভাবে সকল উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সুমহান মর্যাদা এবং অনুপম বৈশিষ্ট্যের অধিকারিনী এবং সম্মানিতা। তবে উনাদের প্রত্যেকেরই পৃথকভাবে কিছু কিছু খাছ খাছ বৈশিষ্ট্য রয়েছেন। বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতেন। তিনি বলতেন,
إنها إبنة أبيها
অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত হাফছা আলাইহাস সালাম তিনি সত্যিই উনার পিতা উনার মেয়ে অর্থাৎ উনার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ন্যায় তিনি ছিলেন দৃঢ়মনা এবং সংকল্পে অটল। সুবহানাল্লাহ!
একদিন হযরত ফারুকে আযম আলম আলাইহিস সালাম রাতের বেলায় রাতের বেলায় নগর পরিভ্রমণে বের হয়ে এক মহিলাকে করুন ভাবে কছীদা আবৃত্তি করতে শুনেন। হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উক্ত মহিলাকে জিজ্ঞেস করেন: তোমার কি হয়েছে? মহিলা বললেন: কয়েক মাস থেকে আমার আহাল আমার থেকে দূরে রয়েছেন। উনাকে কাছে পাওয়ার অনুভূতি আমার মধ্যে তীব্র হয়ে উঠেছে। অতঃপর হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার মেয়ে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার নিকট গিয়ে বলেন: আমি আপনার নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে চাই। এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করুন। মেয়েরা তাদের আহাল থেকে কতদিন দূরে থাকলে আহালকে কাছে পাওয়ার অনুভূতি তীব্র হয়ে উঠে। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি লজ্জায় মাথা নত করে ফেলেন। হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম বলেন: মহান আল্লাহ পাক সত্য প্রকাশের ব্যাপারে লজ্জা করেন না। তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম হাতের ইশারায় ৪ মাস বুঝিয়ে দেন। অতঃপর হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম ফরমান জারী করেন: কোন সৈনিককে যেন চার মাসের অধিক আটকে রাখা না হয়। (কানযুল উম্মাল, হায়াতুছ ছাহাবা)।
দ্বীনী বিষয় সমূহে যে উনার গভীর জ্ঞান ছিল, বিভিন্ন ঘটনা থেকে তা জানা যায়। একবার নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন: আমি আশা করি, বদর ও হুদায়বিয়ার অংশগ্রহণকারীগণ জাহান্নামে যাবে না। তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম বললেন, মহান আল্লাহ পাক তো ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَ إنَّ مِنكم إلا واردها –
অর্থ: তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে সেখানে (জাহান্নামে) পৌঁছবে না। (পবিত্র সুরা মরিয়ম শরীফ, আয়াত শরীফ ৭১)।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন ইরশাদ মুবারক করেন: হাঁ, তা ঠিক। তবে এ কথাও মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন-
ثم ننجى الذين انقوا ونذر الظالمنين فيها جثيا
অর্থ: অতঃপর আমি পরহেজগার লোকদেরকে উদ্ধার করব এবং জালেমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় ছেড়ে দিব। (সুরা মরিয়ম শরীফ, আয়াত শরীফ: ৭১-৭২)।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মধ্যে ইলম সম্পর্কে প্রবল আগ্রহ দেখে তিনি উনাকে বিভিন্ন বিষয়ে ইরশাদ মুবারক করতেন।
তৃতীয় হিজরীর মাহে শাবান শরীফ থেকে ১১ হিজরীর মাহে রবিউল আউয়াল শরীফ পর্যন্ত প্রায় ৮ বছর তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারক পেয়েছেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র ছোহবত মুবারক ও তত্ত্বাবধানে থেকে তিনি যেভাবে তা’লীম ও তরবিয়ত পেয়েছেন। পরবর্তীতে সুদীর্ঘকাল সেইভাবে উম্মতের তালীম ও তরবিয়তে তিনি ব্যাপৃত ছিলেন।
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক গ্রহণ করার পর উনারা সমস্ত উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে সমস্ত মহিলা জাতির শিক্ষা দীক্ষা এবং হেদায়েতের কেন্দ্রস্থল ছিল সম্মানিত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফসমূহ। এমনকি বড় বড় পুরুষ ছাহাবীগণও অনেক কঠিন মাসয়ালা সমাধান করার জন্য উনাদের খেদমতে তশরীফ আনতেন।
হাদীছ শরীফ বিশারদগণের মতে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে সংকলিত হাদীছ শরীফের সংখ্যা ৬০টি। তবে যেহেতু তিনি বিশিষ্ট সম্মানিত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের একজন ছিলেন, উনার মুবারক আচার ব্যবহার, চাল-চলন সবই হাদীছ শরীফ ও সুন্নাহ শরীফের অন্তর্ভূক্ত।
নারী ও পুরুষদের মধ্যে যাঁরা উনার নিকট থেকে হাদীছ শরীফ শুনেছেন এবং বর্ণনাও করেছেন, উনাদের মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত হামযা ইবনে আবদুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত সাফিয়া বিনতে আবী উবায়দা রহমতুল্লাহি আলাইহা (হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আহলিয়া), হযরত মুত্তালিব ইবনে আবী ওয়াদায়া রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত উম্মু মুবাশশির আল-আনছারিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহা, হযরত আবদুর রহমান ইবনে হারিছ ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ছাফওয়ান ইবনে উমাইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শুতাইর ইবনে শাকাল রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ছাওয়া আল-খুযাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত হযরত আল-মুসাইয়্যিব ইবনে রাফি রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আল-মাজলায রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আরো অনেকে (তাহযীবুত তাহযীব, সিয়ারু আলামিন নুবালা)।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার হিফাজতকারী হিসাবে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী হায়াত মুবারকে থাকাকালীন সময়ে পবিত্র কুরআন শরীফ কিতাব আকারে এককভাবে সংকলিত ছিলোনা। প্রয়োজন অনুযায়ী পৃথক পৃথক ভাবে অনেকের নিকট অংশ বিশেষ লিখিত ছিল। তাছাড়া ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে অনেকেই হাফেজে কুরআন ছিলেন বিধায় তখন কিতাব আকারে এককভাবে লিখিত সংকলনের প্রয়োজন উনারা বোধ করেননি।
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে ইয়ামামার জিহাদে যখন অনেক হাফেজে কুরআন শাহাদতবরণ করেন, তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ শংকিত হন এবং লিখিতভাবে সম্পূর্ণ কুরআন পাক এককভাবে সংকলন করে রাখার প্রয়োজন বোধ করেন। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম বিশিষ্ট ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ এবং হাফেজে কুরআনগণ সমভিব্যাহারে উনাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একটি সংকলন প্রস্তুত করেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফের পরে এই পবিত্র সংকলনটি খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট সংরক্ষিত থাকে। অতঃপর উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর তা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার নিকট পৌঁছে।
উল্লেখযোগ্য যে, এই সংকলনটি পবিত্র কুরআন শরীফ কুরাইশ ভাষায় যেভাবে নাযিল হয়েছিল ঠিক সেভাবে সংকলিত হয়েছিল। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময়ে পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হওয়ার পর যখন তা বিভিন্ন গোত্রে পৌঁছে তখন কুরাইশ ভাষায় উচ্চারণ পদ্ধতি বিভিন্ন স্থানীয় লোকদের অনেকের নিকট কঠিন বোধ হয়, কারণ সকল গোত্রের ভাষা বিশুদ্ধ কুরাইশ ভাষার উচ্চারণ পদ্ধতি অনুযায়ী ছিল না। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণ লোকদের সুবিধার জন্য সাময়িকভাবে বিভিন্ন গোত্রীয় উচ্চারণ পদ্ধতিতে পবিত্র কুরআন পাক পাঠের অনুমতি দিয়েছিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত যুন্নুরাইন আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে যখন ইসলামী রাষ্ট্র বিশাল আকারে সম্প্রসারিত হয়, তখন বিভিন্ন স্থানের কুরআন পাক পাঠের পদ্ধতিতে প্রচুর তারতম্য দেখা দেয়।
পরিশেষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের ইজ্মা অর্থাৎ সম্মিলিত অভিমত অনুযায়ী শুধু কুরাইশ ভাষায় নাযিলকৃত পাঠ পদ্ধতি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অতঃপর কুরাইশ ভাষার উচ্চারণ পদ্ধতিতে যে বিশুদ্ধ সংকলনটি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার নিকট সংরক্ষিত ছিল, তা তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন্নুরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট অর্পণ করেন। অতঃপর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই সংকলনটিই মূল কপি’ হিসাবে গৃহীত হয় এবং সর্বত্র প্রচারিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বে তিনি উনার ভাই হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে নির্দেশ দিয়ে যান, যেন উনার সমস্ত অর্থ স¤পদ গরীব-দুঃখীদের মধ্যে দান করে দেয়া হয়। উনার নির্দেশ মুবারক কার্যকর করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী হায়াত মুবারকে এবং পরবর্তী জীবনে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি প্রচুর ইবাদত-বন্দেগী করতেন। সবসময় রোযা রাখতেন এবং প্রতিনিয়তই রাত জেগে নামায আদায় করতেন। হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্পর্কে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলেছেন: সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি অতি মাত্রায় রোযা পালনকারিণী এবং রাতের বেলায় খুব বেশী ইবাদতকারিণী। (তাবাকাত)
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বলেন: সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম একজন সৎকর্মশীলা নারী। (আনসাবুল আশরাফ)
উনার সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি রোযা অবস্থায় বিছালী শান মুবারক লাভ করেন। (তাবাকাত) সুবহানাল্লাহ!
-সাঈদ আহমদ গজনবী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মালিকাতুল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র জীবনী মুবারক
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালিকাতুল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র জীবনী মুবারক
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (৩)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (২)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (১)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার জীবনী মুবারক
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী (২)
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী (১)
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)