সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
, ১৬ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২২ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
কাজেই যেই ইহুদীগুলো মহান আল্লাহ পাক উনাকে নিয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করেছে, উনার বিরোধীতা করেছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার কোশেশ করেছে, ৭০ হাজার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে শহীদ করেছে এবং যখনই কোনো সম্মানিত মুসলমান উনাকে একাকী পেয়েছে উনাকে শহীদ করতে চেয়েছে, সেই ইহুদী ও তাদের সমগোত্রীয় কাফির-মুশরিকরা যে সম্মানিত মুসলমান উনাদের কতো বড় শত্রু সেটা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না।
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا
অর্থ: “অবশ্যই আপনি পাবেন সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে ইহুদী এবং মুশরিকদেরকে। ” (পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا بِطَانَةً مِنْ دُونِكُمْ لَا يَأْلُونَكُمْ خَبَالًا وَدُّوا مَاعَنِتُّمْ قَدْ بَدَتِ الْبَغْضَاءُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ وَمَا تُخْفِي صُدُورُهُمْ أَكْبَرُ قَدْ بَيَّنَّا لَكُمُ الْآيَاتِ إِنْ كُنْتُمْ تَعْقِلُونَ.هَاأَنْتُمْ أُولَاءِ تُحِبُّونَهُمْ وَلَا يُحِبُّونَكُمْ وَتُؤْمِنُونَ بِالْكِتَابِ كُلِّهِ وَإِذَا لَقُوكُمْ قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا عَضُّوا عَلَيْكُمُ الْأَنَامِلَ مِنَ الْغَيْظِ قُلْ مُوتُوا بِغَيْظِكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ. إِنْ تَمْسَسْكُمْ حَسَنَةٌ تَسُؤْهُمْ وَإِنْ تُصِبْكُمْ سَيِّئَةٌ يَفْرَحُوا بِهَا وَإِنْ تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا لَا يَضُرُّكُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا إِنَّ اللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! আপনারা সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে ব্যতীত বিধর্মীদেরকে অর্থাৎ ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদেরকে ঘনিষ্ট বন্ধু,উপদেষ্টা, পরামর্শদাতা হিসেবে গ্রহণ করবেন না। কারণ তারা আপনাদের ক্ষতি করতে কোনো প্রকার ত্রুটি করে না। তারা চায় আপনাদের কষ্ট হোক। তাদের মুখ থেকেই (আপনাদের প্রতি কঠিন) বিদ্বেষ প্রকাশ পায়। আর তাদের অন্তরে যা গোপন রয়েছে তা আরো ভয়ঙ্কর, কঠিন। আমি আপনাদের জন্য নিদর্শন মুবারকসমূহ বা সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ বর্ণনা করলাম যদি আপনারা তা বুঝতে পারেন, উপলব্ধি করতে পারেন। আপনারাই তো ঐ সমস্ত লোক আপনারা তাদেরকে মুহব্বত করেন, তারা (কিন্তু) আপনাদেরকে মুহব্বত করে না। আপনারা সমস্ত কিতাব বিশ্বাস করেন। (তারা কিন্তু আপনাদের কিতাব মুবারক বিশ্বাস করে না। ) আর যখন তারা আপনাদের সাথে সাক্ষাৎ করে, তখন তারা বলে আমরা ঈমান এনেছি, (আমরা আপনাদেরকে নিরাপত্তা দিবো, আপনাদের উপকার করবো ইত্যাদি ইত্যাদি)। আর যখন তারা নিরিবিলি একাকী হয়, আপনাদের প্রতি রাগে-গোস্বায় তাদের আঙ্গুলসমূহ কামড়াতে থাকে। (কেনো সম্মানিত মুসলমান উনাদের কোনো ক্ষতি করা গেলো না। ) বলুন, ‘তোমরা তোমাদের গোস্বায় মারা যাও। ’ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্তরের অন্তস্থলের বিষয়ও জানেন। যদি আপনাদের নিকট কোনো কল্যাণ বা খাইর বরকত পৌঁছে, তখন তারা কষ্টপায়। অর্থাৎ যদি আপনাদের কোনো কল্যান বা উন্নতি হয়, তখন তারা কষ্ট পায়। আর যদি আপনাদের কেনো বালা-মুছীবত হয়, তখন তারা খুশি হয়। যদি আপনারা ধৈর্য্য ধারণ করেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তিক্বামত থাকতে পারেন এবং তাকওয়া অবলম্বন করেন, তাহলে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আপনাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তারা যা আমল করে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তা বেষ্টন করে রেখেছেন। ” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৮-১২০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
مَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَلَا الْمُشْرِكِينَ أَنْ يُنَزَّلَ عَلَيْكُمْ مِنْ خَيْرٍ مِنْ رَبِّكُمْ وَاللَّهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ
অর্থ: “আহলে কিতাব অর্থাৎ ইহুদী-নাছারা এবং মুশরিকদের মধ্য থেকে যারা কাফির- তারা কখনোই পছন্দ করেনা যে, আপনাদের রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি কোনো খায়ের-বরকত নাযিল হোক। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা খাছভাবে স্বীয় সম্মানিত রহমত মুবারক দান করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ফযল-করম, রহমত মুবারক উনার মালিক। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (১)
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৫)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত ঈমান, আর উনাদের সমালোচনা করা লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)