নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র, তিনি পবিত্রতা বা হালালকেই পছন্দ করেন। ” সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হলো- পবিত্র কুরবানীর পশু হাটে গিয়ে দেখে-শুনে ক্রয় করা ও ছুরি দিয়ে হাতে জবাই করাই খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত এবং অশেষ ফযীলতের কারণ। ছবি ভিত্তিক অনলাইনের মাধ্যমে পবিত্র কুরবানীর পশু ক্রয় করলে ও মেশিনে জবাই করলে তাতে পবিত্র কুরবানী ছহীহ হবে না। কারণ ছবি যুক্ত অনলাইনভিত্তিক কুরবানীর পশুর হাট ও মেশিনে জবাই করা কোনটাই শরীয়তসম্মত নয়।
কাজেই সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সরাসরি হাট থেকে পবিত্র কুরবানীর পশু ক্রয়ের ব্যবস্থা করা এবং ছুরি দিয়ে হাতে জবাই করা ও ঈমান-আমলের উপর ইস্তিকামত থেকে বিরাট সফলতা লাভ করে সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করা।
, ০৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ডিজিটাল বা অনলাইন ভিত্তিক পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট শরীয়তসম্মত নয়। কেননা অনলাইনে পবিত্র কুরবানীর পশু বেচা-কেনা করার অর্থ হচ্ছে পবিত্র কুরবানীর পশুর ছবি দেখিয়ে বেচা-কেনা করা। অথচ সম্মানিত শরীয়ত তথা দ্বীন ইসলামে প্রাণীর ছবি তোলা, তোলানো, দেখা ও দেখানো সবই হারাম। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ সকল মানুষকে ক্বিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন শাস্তি দিবেন যারা ছবি তোলে বা আঁকে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে- মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ঐ ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম বা অত্যাচারী কে রয়েছে, যে আমার সৃষ্টির সাদৃশ্য কোন প্রাণীর ছূরত তৈরী করে। নাউযুবিল্লাহ! ছহীহ মুসলিম শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে ছবি তোলনেওয়ালা, আঁকনেওয়ালা প্রত্যেকেই জাহান্নামে যাবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রতিটি ছবিকে প্রাণ দিবেন এবং সেগুলো তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি দিতে থাকবে। অনুরূপ আরো অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনার মাধ্যমে ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, দেখা, দেখানো ইত্যাদি হারাম ঘোষণা করা করা হয়েছে। এবং ছবি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে বড় যালিম, কাফির ও জাহান্নামী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাছাড়া অনলাইনে পবিত্র কুরবানীর পশু বেচা-কেনা করা হলে পবিত্র কুরবানীর পশু নিখুঁত ও উপযুক্ত হওয়ার জন্য যে সমস্ত গুণ থাকা জরুরী তা সনাক্ত করা কখনোই সম্ভব নয়। ফলে উক্ত পশু পবিত্র কুরবানীর পশু হিসেবে অনুপযুক্ত হওয়ার কারণে তা দ্বারা পবিত্র কুরবানী করলে কুরবানী মোটেও শুদ্ধ হবে না।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সর্বোপরি পবিত্র কুরবানী হচ্ছে ওয়াজিব ইবাদত। এই ইবাদত পালন করার জন্যে ঈমানদার বা মুসলমান হওয়া শর্ত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনলাইনে পশু বেচা-কেনা করার কারণে পশু বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ে প্রাণীর ছবিকে হালাল মনে করার কারণে ও প্রাণীর ছবির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে কাফির ও বড় যালিম ও জাহান্নামী হিসেবে গণ্য হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ফিক্হের কিতাবে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দুই পক্ষের পূর্ণ সম্মতিক্রমে মুদ্রা কিংবা বৈধ পণ্যের বিনিময়ে বৈধ পণ্যের হস্তান্তরকে সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে বেচা-কেনা বলে। (হিদায়া-শরীফ ৩/১৮) সুতরাং বেচা-কেনা শরীয়ত সম্মত উপায়ে সংঘটিত হওয়ার জন্য শরীয়তসম্মত বিষয় ও হুকুম-আহকাম থাকতে হবে যা অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় হলে শরীয়তের বিষয়সমূহ ঠিকঠাক মতে হবে না এবং অসম্ভব। কাজেই ডিজিটাল বা অনলাইন ভিত্তিক পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট থেকে বিরত থাকা সকলের ঈমানী দায়িত্ব। আরো দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে হাক্বীক্বীভাবে অনলাইনের এই ফিতনা থেকে দূরে থেকে সরাসরি বাজার থেকে পবিত্র কুরবানীর পশু ক্রয়ের ব্যবস্থা করা ও ছুরি দিয়ে হাতে জবাই করা, কারণ মেশিনে জবাই করলে পবিত্র কুরবানী ছহীহ হবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- শরাব বা মদসহ সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্যই হারাম। অথচ বাংলাদেশে সরাসরি শরাব বা মদ তো বিক্রি হচ্ছেই; এমনকি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের নামেও প্রকাশ্যে শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য চলতে পারে না এবং শরাব বা মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র মসজিদ ও মসজিদের জায়গা উনার একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। সুবহানাল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফে” মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)