নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “গান-বাজনা শ্রবণ করলে অন্তরে মুনাফিকী পয়দা হয়।” নাউযুবিল্লাহ!
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইবলিস শয়তানের আওয়াজ বলতে ‘গান ও বাদ্য’কে বুঝানো হয়েছে। ইবলিস শয়তানই সর্বপ্রথম বিলাপ করেছে এবং গান গেয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
গান লেখা, গাওয়া, শোনা এবং গান-বাজনা ও নাচের অনুষ্ঠান করা, দেখা, শোনা প্রত্যেকটাই হারাম, আর গানকে হালাল বলা কুফরী ও লা’নতগ্রস্ত এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- হারাম গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার অশ্লীল-অশালীন হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা।
, ০৬ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “গান-বাজনা শ্রবণ করা পাপের কাজ। গান-বাজনার মজলিসে বা আসরে বসা ফাসিক্বী কাজ এবং গান-বাজনা শুনে স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী কাজ। ” ‘সুনানে হুদা’ কিতাব উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “বৃষ্টি পতিত হলে যেরূপ উদ্ভিত পয়দা হয়, তদ্রƒপ গান-বাজনা শ্রবণ করলে অন্তরে মুনাফিকী পয়দা হয়। ” নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ফতওয়ায়ে আযীযী কিতাব উনার মধ্যে উল্লেখ আছে- “গান গাওয়া, শ্রবণ করা, দফ বাজানো যাবতীয় সর্বপ্রকারের অশ্লীল আমোদ-প্রমোদ হারাম। এছাড়া তাফসীরে আহমদী কিতাব উনার মধ্যে উল্লেখ আছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ইবলিস শয়তানই সর্বপ্রথম বিলাপ করেছে এবং গান গেয়েছে। যখনই কোনো ব্যক্তি গানের শব্দ উচ্চারণ করে তখন তার দুই কাঁধে দুইটি শয়তান এসে বসে। অতঃপর যতক্ষণ পর্যন্ত সে গান থেকে বিরত না হয় ততক্ষণ তার উপর তারা পদাঘাত করতে থাকে। ” নাউযুবিল্লাহ! মূলত, যারা তথাকথিত গায়ক-গায়িকা, বাদক-বাদিকা রয়েছে সকলেই ইবলিস শয়তানেরই খাছ অনুচর। নাঊযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, হালালও স্পষ্ট, হারামও স্পষ্ট। কাজেই ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- হারামকে হালাল মনে করা, ভালো মনে করা, বৈধ মনে করা, উৎসাহিত করা বা বাহবা দেয়া যাই হোক না কেন সব কুফরী। আর যারা হারামকে হালাল মনে করবে, সে ব্যক্তি মুরতাদ হবে। এরূপ ব্যক্তির কোনো ইবাদত-বন্দেগী কবুল হবে না। তার সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে। সে বিবাহিত হলে তার স্ত্রী তালাক হবে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে বিবাহ অনুষ্ঠানসহ সকল স্থানেই ‘গান-বাজনা’ করা হারাম। মূলত, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জীবনে কখনো ‘গান-বাজনা’ করেননি। আর বুখারী শরীফ উনার কোথাও ‘গান-বাজনা’ জায়িয বলা হয়নি। তবে সামা শরীফ উনার মাহফিল অর্থাৎ বাদ্যযন্ত্র ও গানের সুর বিহীন পবিত্র হামদ শরীফ, পবিত্র না’ত শরীফ ও পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করা, শোনা ও লেখা প্রত্যেকটাই খাছ সুন্নত মুবারক এবং অশেষ ফযীলত হাছিলের কারণ। তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে, গান-বাজনার মত হারাম ও কুফরী আমল থেকে বেঁচে থেকে নিজেদের ঈমান-আক্বীদা, আমল-আখলাক হিফাযত করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার সম্মানার্থে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ‘যে ব্যক্তি পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দায় রাখে না, সে দাইয়্যূছ। ’ নাউযুবিল্লাহ! ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, ফ্যাশন শো, সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, সেলফি, গান-বাজনা, খেলাধুলা এগুলো মুসলমানদেরকে ‘দাইয়্যূছ’ বানানোর অর্থাৎ বেপর্দা-বেহায়া করার বিধর্মীয় বা বিজাতীয় সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র। নাউযুবিল্লাহ!
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা মহাপবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করার মাধ্যমে দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা ফরয।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। অর্থাৎ মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক চলে শতভাগ সুন্নতী জিন্দেগী বাস্তবায়ন করার সাথে সাথে সুন্নতী পোশাক পরিধান করে হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়ার কোশেশে মশগুল থাকা।
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের পরিপূর্ণ মিছদাক হচ্ছেন উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রত্যেক মুসলমান জ্বিন-ইনসান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সর্বাধিক মুহব্বত করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন বা সুধারণা পোষণ করা এবং উনাদেরকে অনুসরণ করা। সুবহানাল্লাহ!
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ৬ দিন বাকি। এ মহান দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র মহাসম্মানিত আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই বাল্যবিবাহ মুবারক করেছেন। যা মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী-
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদাহ হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই অর্থাৎ উনার মহাসম্মানিত নূরুল কুদরত মুবারক বা নূর মুবারকই মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বপ্রথম সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! উক্ত মহাসম্মানিত নূর মুবারক উনার থেকেই কায়িনাতের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনকি আগুন, পানি, মাটি, বাতাস ইত্যাদি উপাদানসমূহও উনার থেকে এবং উনার বহু পরে সৃষ্টি হয়েছে।
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ” মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেহেতু প্রতি আরবী মাসের এ মুবারক তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঈমানদার হিসেবে দাবিকারী প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- সম্মানিত শরীয়ত উনার প্রতিটি বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করা এবং প্রতিটি আমল পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী করা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)