যারা জীবিত আছে, তাদের দায়িত্ব হলো- মুসলমানদের পক্ষে দো‘আ করা। কাফেরদের বিরুদ্ধে কঠিন বদ দো‘আ করা
, ১৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ (খমীস দিবাগত জুমুয়াবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “কথা তো অনেক। এই যে আমরা দো‘আ করি দেখো। আমি একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম- ইয়া রাসূলাল্লাহ! হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বদরের জিহাদে মুসলামন তো সংখ্যায় কম ছিলেন। অস্ত্রপাতি কম ছিলো। কঠিন একটা পরিস্থিতি। তখন তো আপনি দো‘আ করেছিলেন, যার জন্য মুসলামন উনারা কামিয়াবী হাছিল করেছেন। এখন এই যে গাজাবাসী বা ইয়ামানের যারা হুতী, এরা তো কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে যাচ্ছে। কঠিন একটা অবস্থা। সারা দুনিয়ার কাফিরগুলো এক হয়ে গেছে। তাহলে তো এদের জন্য দো‘আ করা দরকার। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি কোনো জবাব দিলেন না; চুপ থাকলেন। এখন চুপ থেকে যে বিষয়টা আমাকে বুঝালেন, সেটা হলো- এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনি অর্থাৎ উনারা তো সব সময় বান্দা-বান্দীর ভালোটাই চান। এখন তাহলে যারা জীবিত আছে, তাদের তো দায়িত্ব দো‘আ করা। এটা আমাকে বুঝালেন, যে আসলে এখন যারা জীবিত আছে, এদের দায়িত্ব হচ্ছে এখন দো‘আ করা।
এখন কে দো‘আ করে? কেউ তো দো‘আ করে না। তাহলে দো‘আ করতে হবে। বুঝতে পারলে? এখন যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনি তো উনারটা করবেনই, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও উনারটা করবেন। কিন্তু এখন তাহলে উম্মত কি করলো? তাহলে উম্মত এখন যারা জিন্দা আছে, তাহলে তাদের দায়িত্ব দো‘আ করা। এখন তাহলে দো‘আ করতে হবে বেশি বেশি। আমরা তো এখন দো‘আ করলাম। তোমরা রাত্রেও দো‘আ করবে। কাফির মুশরিকগুলির বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করবে আর মুসলমানদের জন্য দো‘আ করবে। এটা মনে রাখবে। বিষয়টা কিন্তু সুক্ষ্ম বিষয়, কঠিন বিষয়।
এখন অনেক বিষয় আমরা বলি। অনেকটা প্রকাশ করি, অনেকটা করি না। যেটা প্রয়োজন মনে করি সেটা প্রকাশ করি। আর যেটা প্রয়োজন মনে করি না সেটা প্রকাশ করি না। হয়তো তোমাদের বুঝতে অসুবিধা হবে।
তবে এই বিষয়টা বুঝতে সহজ হওয়ার কথা। বদরের জিহাদে তো কঠিন একটা পরিস্থিতি ছিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুসলমানদের পক্ষে দো‘আ করেছেন। আর কাফেরদের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করেছেন, তারা ধ্বংস হয়ে গেছে।
তাহলে এখন দো‘আ করবে কে? এখন তো দো‘আ করা দরকার। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো সব সময় উম্মতের জন্য দো‘আ করেনই। এখন যারা জীবিত আছে, তাদের দায়িত্ব হলো- মুসলমানদের পক্ষে দো‘আ করা আর কাফেরদের বিরুদ্ধে কঠিন বদ দো‘আ করা। এটা মনে রাখবে। তোমরা স্বরণ রেখো এই কথাগুলি। বিষয়গুলো কিন্তু কঠিন। তাহলে যদি কামিয়াবী হাছিল করা যায়। সব কিছুর মূল হলো- রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা। তারা তো উম্মত। গাজাবাসী হোক আর ইয়ামেনবাসী হোক। এরা তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত। উনার উম্মতের কষ্ট হোক উনি এটা বরদাশত করবেন? করবেন না। তাহলে উম্মতের কী দায়িত্ব? এই মুসলামনদের জন্য খাছ করে দো‘আ করা এবং এই শত্রুগুলি কাফেরদের বিরুদ্ধে কঠিন বদ দো‘আ করা। এটা মনে রাখবে। এটা রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের বিশেষ একটা মাধ্যম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
উম্মতের জন্য দো‘আ করলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশি হন। আর বান্দা-বান্দীদের জন্য দো‘আ করলে যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা মনে রাখবে। এটা কিন্তু সূক্ষ্ম বিষয়। এগুলি তো মানুষ বুঝে না। যার জন্য মানুষ এগুলি আমল করতে পারে না। এটা মনে রাখবে। আমরা যেগুলি বলি, সেগুলো শুনে সে অনুযায়ী আমলের চেষ্টা করবে। তাহলে কামিয়াবী হাছিল করবে। অন্যথায় চক্ষু বন্ধ হলে তো এগুলি করার সুযোগ থাকবে না। চক্ষু খোলা থাকতেই সব করে নিতে হবে। যতোটুকু করা হলো, ততোটুকুই থাকলো। আর যেটা করা হলো না, সেটা থাকবে না। এটা মনে রাখতে হবে।”
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)