মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিআম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাতহ মুবারক উনার বরকত ও ফযীলত (৮)
, ০১ লা শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক বিষয়ে পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পূর্ব ওছীয়ত মুবারক:
হযরত ছাবিত আল বান্নানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
قاَلَ لِىْ حَضْرَتْ اَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ هٰذِهِ شَعْرَةٌ مِنْ شَعْرِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَعْهَا تَحْتَ لِسَانِىْ قَالَ فَوَضَعْتُهَا تَحْتَ لِسَانِهِ فَدُفِنَ وَهِىَ تَحْتَ لِسَانِهِ
অর্থ: “খাদিমু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি (একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক দেখিয়ে) আমাকে বললেন, এটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক। (যখন আমি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করবো,) তখন এটা আমার জিহ্বা মুবারক উনার নীচে দিয়ে দিবেন। রাবী বলেন, অতঃপর আমি উনার ওছীয়ত মুবারক অনুযায়ী উনার পবিত্র বিছাল শরীফের পর উনার জিহ্বা মুবারক উনার নীচে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক রেখে দিলাম এবং ঐ অবস্থায়ই উনাকে দাফন করা হয়েছে। ” সুবহানাল্লাহ! (ফাতহুল মুনয়িম ৯/৪৮৭, কাওছারুল মাআনী ১/৫০১, আল ইছাবাহ ১/১২৭ ইত্যাদি)
হযরত মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اَوْصٰى حَضْرَتْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عِنْدَ الْمَوْتِ فَدَعَا بِشَعْرٍ مِنْ شَعْرِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاَظْفَارٍ مِنْ اَظْفَارِهِ وَقَالَ اِذَا مُتُّ فَخُذُوا الشَّعْرَ وَالاَظْفَارَ ثُمَّ اجْعَلُوْهُ فِىْ كَفَنِىْ فَفَعَلُوْا ذٰلِكَ
“হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিছাল শরীফের সময় (উনার খাদিমকে) বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কয়েকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক এবং কিছু নখ মুবারক নিয়ে আসার জন্য। এরপর বললেন, আমি যখন বিছাল শরীফ গ্রহণ করবো তখন এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক এবং নখ মুবারক আমার কাফনের ভিতরে দিয়ে দিবে। অতঃপর উনার বিছাল শরীফের পর এরূপই করা হয়েছে। ” সুবহানাল্লাহ! (তাবাক্বাতে ইবনে সা’দ ৫/৪০৬, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ৯/১৬৪, মাদারিজুন নুবুওয়াত ইত্যাদি)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটা বিষয়ই উম্মতের জন্য রহমত, বরকত, সাকীনা হাছিলের মাধ্যম এবং সর্বোত্তম উছীলা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যা উপরোক্ত আলোচনায় হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের আমল মুবারক থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হলো। এটা তিনি দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারককালীন এবং দুনিয়ার যমীন থেকে পর্দা করার পর উভয় অবস্থায় একই হুকুম। কেউ যদি এখনো উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারকসহ উনার যে কোনো বিষয়কে তা’যীম-তাকরীম করে, উছীলা হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সমস্ত নেক মাক্বছূদসমূহ পূরণ করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনেক বিষয়সমূহ সংরক্ষিত আছে। এ বিষয়ে অনেকে বলে থাকে যে, এগুলো যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তার প্রমাণ কি? না‘ঊযুবিল্লাহ! এরা চরম গোমরাহ ও জাহিল হওয়ার কারণেই এমনটা বলে থাকে।
সম্মানিত শরীয়ত উনার মাসয়ালা হচ্ছে- কোনো ব্যক্তি যদি একটি চুল মুবারক এনে বলে এটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক। তাহলে সবাইকে সেটা বিশ্বাস করতে হবে এবং যথাযথ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতে হবে। এটা তাদের জন্য ফরয। যদি ঐ ব্যক্তি মিথ্যা বলে তাহলে তার জন্য সে গুনাহগার হবে, মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে সে জবাবদিহী করবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে সকলকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটা বিষয়কে সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীম ও মুহব্বত করার তাওফীক্ব দান করেন। আমীন!
-হাফিয মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৫)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জান্নাতী ইমাম, সাইয়্যিদুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহনাওয়াসা আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৪)
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো ‘বাশার’ বা মানুষ বলা কাট্টা কুফরী
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(৩)
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ‘আল মানছূর’ লক্বব মুবারক উনার অর্থ মুবারক
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যদিুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহসি সালাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বশিষে শান মুবারক
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(২)
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(১)
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)