নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ ছল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম উনারা সৃষ্টির শুরু থেকেই একই সাথে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ থাকবেন (১)
, ২৫শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২১ সামিন, ১৩৯০ শামসী সন, ১৯ই জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) বরকতময় জিবনী মুবারক
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ১১ই রবীউছ ছানী শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি স্বপ্নের মধ্যে দেখতেছি, একটা বিরাট বালাখানা, বাড়ি। সামনে অনেক বড় জায়গা। সামনে জায়গার মধ্যে সবুজ ঘাস। ওখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অবস্থান মুবারক করতেছেন। উনি কিছু একটা করতেছেন। আমিও কাছে বসা। আর বাইরের একটা লোক আছে। আমার মনে হচ্ছে, এরকম বিষয়টা যে, সামনে মাঠ আর পিছনে বাড়িটা। অনেক বড় বাড়ি! অনেক বড় বাড়ি! অনেক বড় পর্দা ঝুলতেছে। মনে হচ্ছে এরকম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমরা নতুন না, আগের থেকে আমরা এখানে আছি, উনার সাথে অবস্থান করতেছি। সুবহানাল্লাহ! ছিলাম, আছি এবং থাকবো- এরকম একটা ভাব। যাই হোক, কাজ হচ্ছে। উনি একটা কিছু করতেছেন। বাড়িটা পিছন দিকে, বাড়িতে অনেক বড় পর্দা ঝুলতেছে। এমন সময় পিছন থেকে একটা বাচ্চা মেয়ে হবে, হতে পারে সেটা সরাসরি আমার মেয়ে অথবা আমার মেয়ের মেয়ে এরকম। সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত এরকম বয়স কমবেশি, কাছাকাছি। ঐ মেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রথম বললো যে, ‘চাচা’। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- না, বলো ‘নানা’। আমিও বললাম যে, ‘নানা’ বলার জন্য। তো ‘নানা’ বলেছে। বললেন যে, এদিকে আসো। একটা লোক বাহিরে বসা ছিলো। অনেক বড় এরিয়া। আমি লোকটাকে বললাম, তাহলে এক কাজ করেন, আপনি গেইটের বাহিরে যান। পর্দার ব্যাপার আছে। বাহিরে দিয়ে আসলাম। আরেকজন সাথে মাহরামই। মেয়েটা আসার পর তাঁকে ক্বদম বুছি করার জন্য বললেন। ক্বদম বুছি শুধু হাত দিয়ে? আমি বললাম না, শুধু হাত দিয়ে না। একদম নূরুদ দারাজাহ মুবারক উনার মধ্যে একদম মুখ দিয়ে করতে হবে। আমি কতোক্ষণ করলাম, অনেকক্ষণ করলাম। তাদেরকে করালাম। যাই হোক, আমরা এখানে অবস্থান করতেছি। এরপরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বের হবেন। ঠিক আছে। আমি সাথে আসলাম। সাথে আসার পরে, এখন অনেক লোকজন দেখা করতে আসবে। তাহলে এভাবে কি করে সম্ভব? যাই হোক, অতঃপর কুদরতীভাবে একটা চেয়ারের ব্যবস্থা অর্থাৎ বড় একটা আসনের ব্যবস্থা হলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ওখানে বসলেন। লোকজন আসতে থাকলো। আমি বললাম, লোক যারা আসছে, তোমরা ক্বদম বুছি করো। একদম পায়ের (নূরুদ দারাজাহ মুবারক উনার) তলে শুধু। ক্বদম মুবারক, নূরুদ দারাজাহ মুবারক উনার একদম নিচে ক্বদম বুছি করবে, উপরে না। যাই হোক, হাজার হাজার লোক আসতেছিলো। এর মধ্যে আমাদেরও অনেক লোক আছে। যাই হোক, এরা ক্বদম বুছি করে করে যাইতেছে। অনেক লোক হাজার হাজার, শত-সহ¯্র, অনেক লোক! যাই হোক, সেখানে এটা শেষ হলো। এরপরে আবার সামনে গেলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি গেলেন, উঠলেন, সামনে গেলাম। ঐ আসন মুবারক-এ উনি বসা আছেন। তখন আবার অনেক লোক আসতে থাকলো- এদিক থেকে অর্থাৎ একদিক থেকে। আসতে থাকলো, আমি বললাম, তাহলে ঠিক আছে, কারণ এটা হলো শেষ ফায়ছালা। এই জায়গাটা ছিলো একটা স্বাভাবিক জায়গা। তার একদিকে ছিলো নিচু অর্থাৎ বাম দিক নিচু আর ডান দিক উঁচু এভাবে। আমি তাদেরকে বলেছি, তোমরা এক কাজ করো- অনেক লোক, আমাদের লোক, যাই হোক, অনেকে যারা আসছে, তাদেরকে বললাম, এসে ক্বদম বুছি করো আর যিয়ারত মুবারক করো। করে সোজা সামনে গিয়ে ডান দিকে যাবে। ডান দিকে গেলে দেখবে বেহেস্ত আছে। ওখানে গিয়ে সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করবে। হাজার হাজার, শত-সহস্র লোক আসতেছে আর বেহেস্তে প্রবেশ করতেছে। এরপরে আবার আগের জায়গায় ফিরে এসেছেন।
এরপরে আরো ঘটনা আছে। ওখান থেকে যখন আমরা আসলাম, আসার পরে আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে একটা কিছু বলতে চাইলাম। বলতে যখন চাইলাম, তখন উনি বললেন যে, ‘আরে তুমি তো আমার বেটা, অসুবিধা নাই।’ এরপরে ঘটনা শেষ হয়ে গেলো।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মনে হচ্ছিলো যে, অনেক দিন ধরে। হারানোরও ভয় নাই, নতুন প্রাপ্তিও নাই। ছিলাম, আছি, থাকবো।
লোকজন যারা- তাদেরকে বলেছি, সবাই ক্বদম বুছি করবে, একদম নিচে যেন বুছা দেয়। নিচেই বুছা দিয়েছে সবাই। অনেক লোক! অনেক লোক! অতঃপর পরের জায়গায় যাওয়ার পর ওখানে অনেক লোক যারা ছিলো সবাই যিয়ারত করে করে যেতে থাকলো, সামনে রাস্তা ছিলো ডান দিকে একটু উঁচু। ডান দিকে গেলেই ওখানে বেহেস্ত আছে। বললাম, সবাই যেয়ে বেহেস্তে প্রবেশ করো।
অনেকেরে আমি চিনি। নাম বলবো না কারো। অনেকেরে চিনি। অনেকে নতুন, অনেকে পুরান, উভয় প্রকার লোকই আছে। অনেক লোক! হাজার হাজার লোক। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আছেন, লোক হবে এটাই তো স্বাভাবিক। অনেক ভিড়! এর মধ্যে লোকজন যাচ্ছে আস্তে আস্তে। প্রথমবারের মতো ক্বদম বুছি শেষ হয়েছে। প্রথমবার যখন শেষ হলো, তখন আরো লোক আসতে থাকলো। আরেকটু সামনে গিয়ে আরো প্রশস্ত জায়গা। একটা রাস্তার পাড়ে। ঐ রাস্তা দিয়ে ডান দিকে একটু গেলেই সেখানে জান্নাত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২)
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (১)
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল কাওনাইন, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনি আও আদনা, ফখরুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত মুসলমান উনাদের ইহকালীন ও পরকালীন নাজাত লাভের সর্বোচ্চ মাধ্যম মুবারক (৩)
২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছামিনাহ্ আলাইহাস সালাম
০৩ জুন, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে, উনারই সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন
২১ মে, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১২ মে, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফ”
০৩ মে, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ বর্ণিত মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব (১)
২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদের শানের খিলাফ বর্ণিত মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব (১১)
০৬ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৫ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)