মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার আজওয়া খেজুর
, ২৭ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
عَنْ حَضْرَتْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرُّهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ.
অর্থ: “হযরত ‘আমির ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন বিষ এবং জাদু তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ : কিতাবুত ত্বয়ামাহ : পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৪৪৫)
হৃদরোগে : হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন-
قَالَ مَرِضْتُ مَرَضًا أَتَانِى رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِى فَوَضَعَ يَدَهُ بَيْنَ ثَدْيَىَّ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَهَا عَلَى فُؤَادِى فَقَالَ إِنَّكَ رَجُلٌ مَفْئُودٌ ائْتِ حَضْرَت الْحَارِثَ بْنَ كَلَدَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ أَخَا ثَقِيفٍ فَإِنَّهُ رَجْلٌ يَتَطَبَّبُ فَلْيَأْخُذْ سَبْعَ تَمَرَاتٍ مِنْ عَجْوَةِ الْمَدِينَةِ فَلْيَجَأْهُنَّ بِنَوَاهُنَّ ثُمَّ لِيَلُدَّكَ بِهِنَّ.
অর্থ: “একদা আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে দেখতে মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাহ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার শীতলতা আমার অন্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত। হযরত হারিছ ইবনে কালাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যিনি সাক্বীফ গোত্রের ভাই, উনার কাছে যান। কারণ তিনি একজন চিকিৎসক। তিনি যেন মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সাতটি আজওয়া খেজুর নিয়ে বিচিসহ পিষে আপনার মুখে ঢেলে দেন।” (আবূ দাউদ শরীফ : পবিত্র হাদীছ শরীফ নং : ৩৮৭৫)
বিষক্রিয়া বন্ধে : আজওয়া খেজুর বিষের কার্যক্ষমতা কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَجْوَةُ مِنَ الْجَنَّةِ وَفِيهَا شِفَاء مِنَ السُّمِّ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আজওয়া সম্মানিত জান্নাত উনার ফল। এর মধ্যে বিষের নিরাময় রয়েছে।” (তিরমিযী শরীফ : পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২০৬৬)
শক্তি বর্ধনে : আজওয়া খেজুর শারীরিক ও মানসিক শক্তিবর্ধক। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান যা শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধিসহ হজম শক্তি, শারীরিক শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে।
ডায়রিয়া বন্ধে : আজওয়া খেজুরে বিদ্যমান পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক ও অন্যান্য খনিজ লবণ ডায়রিয়া বন্ধে উপকারী। এটা খাদ্যশক্তি শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। এ ছাড়াও খেজুরের বীজ ডায়রিয়া, আমাশয় বন্ধে কার্যকর।
ক্যান্সার নিরাময়ে : আজওয়া খেজুর মরনঘাতক ক্যান্সার নিরাময়ে অধিকতর সহায়ক। এছাড়া সাধারণ খেজুরেও রয়েছে ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ফলিক এসিড, আমিষ, শর্করাসহ রোগ নিরাময়ক অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শুকনা গোশ্ত খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন এলকোহলমুক্ত বিশুদ্ধ সুগন্ধি সুন্নতী আতর
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মানুষ মেথির উপকারিতা জানলে প্রয়োজনে স্বর্ণ দিয়ে ওজন করে ক্রয় করতো
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী ফল “আঙ্গুর”
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বেমেছাল উপকারিতা সমৃদ্ধ মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার “কিছ্ছা”
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সকল ধরণের সুন্নতী খাবার
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কিয়ামত পর্যন্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন হবে না
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী “টুপি
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক ও উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারক হাছিল করতে হলে অবশ্যই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা করতে হবে
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘ডুমুর’
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র নামায উনার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)