মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক -২
, ০৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৩ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
বাদশাহ মুক্বাউক্বিস পত্র মুবারকখানা পেয়ে অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীমের সাথে সংরক্ষণ করেন এবং জবাবে নিন্মোক্ত পত্রখানা লিখেন-
بِسْمِ اللهِ الرَّحْـمٰنِ الرَّحِيْمِ لِمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ مِنَ الْمُقَوْقِسِ عَظِيْمِ الْقِبْطِ سَلَامٌ اَمَّا بَـعْدُ فَـقَدْ قَـرَاْتُ كِتَابَكَ وَفَهِمْتُ مَا ذَكَرْتَ فِيْهِ وَمَا تَدْعُوْ اِلَيْهِ وَقَدْ عَلِمْتُ اَنَّ نَبِيًّا بَـقِىَ وَكُنْتُ اَظُنُّ اَنَّهٗ يَـخْرُجُ بِالشَّامِ وَقَدْ اَكْرَمْتُ رَسُوْلَكَ وَبَـعَثْتُ اِلَيْكَ بِـجَارِيَـتَـيْـنِ لَـهُمَا مَكَانٌ فِـى الْقِبْطِ عَظِيْمٌ وَبِكِسْوَةٍ وَاَهْدَيْتُ لَكَ بَـغْلَةً لِتَـرْكَبَـهَا وَالسَّلامُ عَلَـيْكَ
অর্থ: “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ ক্বিবত্বী বাদশাহ্ মুক্বাউক্বিস উনার পক্ষ থেকে- আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক। অতঃপর আমি আপনার পত্র মুবারক পাঠ করেছি এবং সেখানে আপনি যা বর্ণনা মুবারক করেছেন ও যেদিকে আহ্বান মুবারক করেছেন, তা অনুধাবন করেছি। আমি জানি যে, একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসতে বাকী রয়েছেন। আমি ধারণা করতাম যে, তিনি শাম (সিরিয়া) থেকে আবির্ভূত হবেন। আমি আপনার দূতকে সম্মান করেছি। আমি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য অত্যন্ত সম্মানিত দু’জন মেয়ে উনাদেরকে হাদিয়া হিসেবে পাঠালাম। ক্বিবতীদের মধ্যে উনাদের অবস্থান মুবারক হচ্ছেন- রাজকীয় বা শাহী অবস্থান। অর্থাৎ উনারা হচ্ছেন রাজ বংশীয় বা রাজ পরিবারের সদস্য। সুবহানাল্লাহ! আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ হাদিয়া স্বরূপ পোষাক এবং বাহন হিসেবে একটি খচ্চর পাঠালাম। আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক। ” সুবহানাল্লাহ! (মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ্ ১/৫৪৫, ‘উয়ূনুল আছার ১/৮৩, শারহু যারক্বানী)
পত্রে উল্লেখিত এই দু’জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মেয়ে উনারা হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত সীরীন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন হিসেবে গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত সীরীন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে হযরত হাস্সান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার নিকট সম্মানিত শাদী মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেই খচ্চরটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদিয়া মুবারক করা হয়েছিলো, সেটি ছিলো সাদা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উক্ত খচ্চর মুবারক উনার নাম মুবারক রাখেন, ‘দুলদুল’। সুবহানাল্লাহ! সেই খচ্চর মুবারক হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার যামানা পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! এছাড়াও হাদিয়া মুবারক হিসেবে ছিলো- মা’বূর নামক একজন দাস, ‘আফরা নামক একটি গাধা, ১০০০ মিছকাল স্বর্ণ, মিশরীয় সূতায় তৈরী ২০ টি মসৃন কাপড়, সুরমাদানী, জুব্বা, আয়না, চিরুনি, পানি পান করার পাত্র, মধু, মেশক ও এক জোড়া মোজা। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)