মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উপলক্ষে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া উম্মতদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য
, ১৪ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
(দৃষ্টান্ত মুবারক- ৫)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উপলক্ষে হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক উনার আয়োজন মুবারক করার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন
৭ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাত) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উপলক্ষে হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক উনার আয়োজন মুবারক করাসহ যাবতীয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। সুবহাবনাল্লাহ! নি¤েœ পর্যায়ক্রমে তা উল্লেখ করা হলো-
হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক উনার ব্যবস্থা করেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
ثُـمَّ اَرَادُوْا اَنْ يَّقُوْمُوْا فَقَالَ اجْلِسُوْا فَاِنَّ مِنْ سُنَّةِ الْاَنْبِيَاءِ اِذَا تَزَوَّجُوْا اَنْ يُؤْكَلَ طَعَامٌ عَلَى التَّزْوِيْجِ فَدَعَا بِطَعَامٍ فَاَكَلُوْا ثُـمَّ تَفَرَّقُوْا
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠান শেষে যখন সকলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালো, তখন হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আপনার সকলে বসুন। কারণ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার পর খাবারের আয়োজন মুবারক করা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত সুন্নত মুবারক। তারপর তিনি খাবার নিয়ে আসার জন্য বলেন। অতঃপর সকলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রস্থান করেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল মুন্তাখাব লিত ত্ববারী, আল মিছবাহুল মুদ্বীহ)
(দৃষ্টান্ত মুবারক- ৬)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উপলক্ষে হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক হাদিয়া মুবারক করার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক পৌঁছলে তিনি সেখান থেকে ৫০ দীনার হযরত আবরাহাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনাকে দেন, যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার মহাসম্মানিত সুসংবাদ মুবারক পেশ করেছিলেন। কিন্তু হযরত আবরাহাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি তা গ্রহণ করেননি। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
فَاَبَتْ فَاَخْرَجَتْ حُقًّا فِيْهِ كُلُّ مَا كُنْتُ اَعْطَيْتُهَا فَرَدَّتْهُ عَلَيَّ وَقَالَتْ عَزَمَ عَلَىَّ الْمَلِكُ اَنْ لَّا اَرْزَاَكِ شَيْئًا
অর্থ: “অতঃপর হযরত আবরাহাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি তাতে অত্যন্ত আদবের সাথে অক্ষমতা প্রকাশ করেন। তারপর তিনি একটা পাত্র বের করেন, যেখানে আমি উনাকে যা কিছু হাদিয়া মুবারক করেছিলাম সেগুলো ছিলো। তিনি সেগুলো আমার মুবারক খিদমতে অত্যন্ত আদবের সাথে পেশ করেন এবং বলেন, বাদশাহ্ আমাকে ক্বসম করিয়েছেন যেন আমি আপনার কাছ থেকে কোনো কিছু গ্রহণ না করি। ” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/৯৮, আল মিছবাহুল মুদ্বী ২/৩৯)
অপর বর্ণনায় রয়েছেন,
قَالَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْـنَ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلْـحَادِيَةُ عَشَرَ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ حَبِيْبَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) فَلَمَّا وَصَلَ اِلَـىَّ الْمَالُ اَعْطَيْتُ حَضْرَتْ اَبْرَهَةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهَا مِنْهُ خَمْسِيْنَ دِيْنَارًا فَرَدَّتْـهَا عَلَىَّ وَرَدَّتْ عَلَىَّ مَا كُنْتُ اَعْطَيْتُهَا اَوَّلًا وَقَالَتْ اِنَّ الْمَلَكَ عَزَمَ عَلَى بِذَلِكَ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যখন আমার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক উনার অর্থ পৌঁছলো, তখন আমি হযরত আবরাহাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনাকে সেখান থেকে ৫০ দীনার হাদিয়া মুবারক করি। হযরত আবরাহাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি অত্যন্ত আদবের সাথে তা গ্রহণ করতে অক্ষমতা প্রকাশ করে আমার মুবারক খিদমতে পেশ করেন এবং প্রথমবার আমি উনাকে যা হাদিয়া মুবারক করেছিলাম সেগুলোও অত্যন্ত আদবের সাথে গ্রহণে অক্ষমতা প্রকাশ করে আমার মুবারক খিদমতে পেশ করেন। আর বলেন, নিশ্চয়ই বাদশাহ্ আমাকে এই বিষয়ে ক্বসম করিয়েছেন (যেন আমি কোনো কিছু গ্রহণ না করি)। ” সুবহানাল্লাহ! (শারহুয যারক্বানী ৪/৪০৬)
অপর বর্ণনায় রয়েছেন,
وَهَبَتْ مِنْهَا لِاَبْرَهَةَ خَمْسِيْنَ مِثْقَالًا فَلَمْ تَقَبَّلْهَا وَرَدَّتْ مَا كَانَ اَعْطَتْهَا اَوَّلًا وَذَلِكَ لِاَنَّ النَّجَاشِىَّ اَمَرَهَا بِرَدِّهِ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি হযরত আবরাহাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনাকে সেখান থেকে ৫০ মিছকাল হাদিয়া মুবারক করেন। কিন্তু হযরত আবরাহাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি অত্যন্ত আদবের সাথে তা গ্রহণ করতে অক্ষমতা প্রকাশ করে উনার মুবারক খিদমতে পেশ করেন এবং প্রথমবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি হযরত আবরাহাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনাকে যা হাদিয়া মুবারক করেছিলেন, সেগুলোও অত্যন্ত আদবের সাথে গ্রহণে অক্ষমতা প্রকাশ করে উনার মুবারক খিদমতে পেশ করেন। এর কারণ হচ্ছে হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আবরাহাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনাকে অত্যন্ত আদবের সাথে এগুলো গ্রহণে অক্ষমতা প্রকাশ করে মুবারক খিদমতে পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আনসাবুল আশরাফ ১/৪৩৯)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৮)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২১)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)