মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের- সন্তুষ্টি-রেযামন্দি লাভের জন্য সন্তান প্রতিপালন করা সুন্নত
, ০৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
(পূর্ব প্রকাশের পর)
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব, আশরাফুল মাখলূক্বাত মানুষ। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে সম্মানিত বা মর্যাদাবান করেছি। ” (পবিত্র সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭০)
তবে মানুষদের মাঝে কতক আছে যারা সৃষ্টির সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ওরা চতুষ্পদ জন্তুর মত। বরং চতুষ্পদ জন্তু থেকেও নিকৃষ্ট। ” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭৯)
যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উলিল আমর অর্থাৎ হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের আনুগত্য বা অনুসরণ-অনুকরণকারী উনারাই হচ্ছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠজীব, আশরাফুল মাখলূক্বাত। উনারাই সমস্ত মর্যাদা-মর্তবা, ইজ্জত সম্মানের অধিকারী।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রসঙ্গে ইরশাদ মুবারক করেন, “সমস্ত ইজ্জত-সম্মানের অধিকারী হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। আর হচ্ছেন মু’মিন-মু’মিনাগণ উনারা। কিন্তু মুনাফিকরা এ ব্যাপারে অজ্ঞ, অনবহিত। ” (পবিত্র সূরা মুনাফিকূন: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
মু’মিন-মু’মিনাগণ উনাদের এই নিয়ামত প্রাপ্তির শুকরিয়া আদায়কল্পে নিয়ামতের বর্ণনা দেয়া কিংবা তার প্রকাশ ঘটানো অহঙ্কার নয়। বরং তা শোকরগোযারী বা কৃতজ্ঞতার অন্তর্ভুক্ত। যে জাতি নিজের অতীত ইতিহাস জানে না, সে জাতি কখনোই কামিয়াবী বা সফলতা লাভ করতে পারে না। আর তারাই কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের গোলামী করে এবং তাদের মতাদর্শ ও কার্যকলাপ অনুসরণ করে নিজেদেরকে জাহান্নামের ইন্ধন বানায়।
কাজেই, প্রত্যেক মাতা-পিতার দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, নিজের সন্তানকে শিশুকাল থেকে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন করে গড়ে তোলা, আত্ম সম্মান বোধ জাগ্রত করা। হীনম্মন্যতা মনুষত্বের খিলাফ। যারা হীনম্মন্যতায় ভোগে তারা কখনো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হতে পারে না।
-আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৩)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘কিস্সা’
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (২)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন বিভিন্ন প্রকারের সুন্নতী খাবার ‘খেজুর’
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (১)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন মাথায় ব্যবহার করার সুন্নতী ‘কেনায়া’
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইমামাহ বা পাগড়ী পরিধানের মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মধু
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লিবাস ‘জুব্বা’
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মাঠা (লাবান)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাদ্য ‘যব’
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)