প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ (৬)
, ২৬ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ইস্তাওয়া সর্ম্পকে হযরত ইমাম মুজতাহদি রহমতুল্লাহি আলাইহমি উনাদরে অভমিত
হযরত ইমাম শায়েখ সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রেফায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল বুরহানুল মুআইয়্যাদ’ উনার মধ্যে বলেন,
سَاَلَ رَجُلٌ اَلْاِمَامَ مَالِكَ بْنَ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنْ قَـوْلِه تَـعَالـٰـى اَلرَّحْـمـٰـنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوٰى فَـقَالَ اَلْاِسْتِوَاءُ غَيْـرُ مَـجْهُوْلٍ وَالْكَـيْفُ غَيْـرُ مَعْقُوْلٍ وَالْاِيْـمَانُ بِهٖ وَاجِبٌ وَالسُّؤَالُ عَنْهُ بِدْعَةٌ وَمَا اَرَاكَ اِلَّا مُبْـتَدِعًا وَاَمَرَ بِهٖ اَنْ يَّـخْرُجَ وَقَالَ اِمَامُنَا الشَّافِعِىُّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ لَـمَّا سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ اٰمَنْتُ بِلَا تَشْبِيْهٍ وَصَدَّقْتُ بِلَا تَـمْثِيْلٍ وَاِتَّـهَمْتُ نَـفْسِىْ فِـى الْاِدْرَاكِ وَاَمْسَكْتُ عَنِ الْـخَوْضِ فِيْهِ كُلَّ الْاِمْسَاكِ وَقَالَ الْاِمَامُ اَبُـوْ حَنِيْـفَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ مَنْ قَالَ لَا اَعْرِفُ اللهَ اَفِـى السَّمَاءِ هُوَ اَمْ فِـى الْاَرْضِ فَـقَدْ كَفَرَ لِاَنَّ هٰـذَا الْقَوْلَ يُـوْهَمُ اَنَّ لِلْحَقِّ مَكَانًا وَمَنْ تَـوَهَّمَ اَنَّ لِلْحَقِّ مَكَانًا فَـهُوَ مُشَبِّهٌ وَسُئِلَ الْاِمَامُ اَحْمَدُ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ الْاِسْتِوَاءِ فَـقَالَ اِسْتَـوٰى كَمَا اَخْبَـرَ لَا كَمَا يَـخْطُرُ لِلْـبَشَرِ
অর্থ: “এক ব্যক্তি হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক- (আর রহমানু ‘আলাল ‘আরশিস্তাওয়া) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। জবাবে হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ইস্তাওয়াটা সকলের জানা। এর কাইফিয়াত বা ধরণ সবার আক্বল বা বুঝের বাইরে। এই বিষয়ে ঈমান রাখা ওয়াজিব। আর এই সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদা‘আত অর্থাৎ গোমরাহী। আমি তোমাকে গোমরাহ মনে করি। তারপর তিনি সুওয়ালকারীকে বের করে দেয়ার জন্য নির্দেশ মুবারক দেন। আর আমাদের সম্মানিত ইমাম হযরত শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে যখন ইস্তাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, তখন তিনি বলেছিলেন- ‘(ইস্তাওয়ার ব্যাপারে) আমি ঈমান এনেছি (তা) তাশবীহ ব্যতীত, বিশ্বাস করেছি (তা) সাদৃশ্যতা ব্যতীত, (এই বিষয়ে) জানার ব্যাপারে আমি নিজেকে অভিযুক্ত করেছি অর্থাৎ এই বিষয়ে আমার জানা নেই এবং এই ব্যাপারে সমস্ত প্রকার অনর্থক কথা-বার্তা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি।’ আর হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি বলবে, আমি জানিনা মহান আল্লাহ পাক তিনি কি আসমানে আছেন, নাকি যমীনে? তাহলে নিঃসন্দেহে সে কুফরী করলো। কেননা এর মাধ্যমে ধারণা করা হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার একটি নির্দিষ্ট মাকান বা স্থান রয়েছে। আর যে ব্যক্তি এরূপ ধারণা করবে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার একটি নির্দিষ্ট মাকান বা স্থান রয়েছে, সে মুশাব্বিহা ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।’ হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ‘ইস্তাওয়া’ সম্পর্কে সুওয়াল করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐভাবে ইস্তাওয়া হয়েছেন, যেমন তিনি সংবাদ দিয়েছেন। ঐ রকম না, যেরূপ মানুষের অন্তরে উদয় হয়।” (আল বুরহানুল মুআইয়্যাদ ১/১৮-১৯)
বিশ্বখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আবুল হাসান মুক্বাতিল ইবনে সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘তাফসীরে মুক্বাতিলে’ বলেন,
ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ يَـعْنِـىْ اِسْتَـقَرَّ عَلَى الْعَرْشِ
অর্থ: “ছুম্মাস তাওয়া ‘আলাল আরশ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আরশে আযীম উনার উপর স্থির হয়েছেন।” (তাফসীরে মুক্বাতিল ২/১০৯)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)