প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ (৩)
, ২৩ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২২ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
এখন তোমরা বাংলা অর্থ যেভাবে করো। বুঝতে পারতেছো কি আমার কথা মুবারক? যেমন- ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করা হলো। সৃষ্টি করার পরে এই যে আলমে আমর এখান থেকে। এই জাগাটার মধ্যে আরশে আযীম, সর্বোচ্চে। এর নীচে সব কিছ্-ু আলমে খ¦লক্বের। আবার ঠিক আরশে আযীমের উপরে হলো আলমে আমর। এখন ইস্তাওয়ার অর্থ হলো এটা। কুদরত মুবারক উনার অর্থ আবার পরে এক সময় বলা হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন ইস্তাওয়া অর্থ- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া, সমান হওয়া অনেক অর্থ। আসলে কোনো অর্থই এগুলি ই না।
আল্লাহুছ ছমাদ, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছমাদ, বেনিয়াজ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনাদের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই। আসলে উনারা সৃষ্টি করেছেন। আর আরশে আযীম- যেহেতু এখান থেকে মূল বিষয়গুলো জারি হয়, সে হিসেবে আরশে আযীম মহান বা বড়, মর্যাদা সম্পন্ন। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের কাছে আরশে আযীম কোনো বিষয় না। এখন বুঝার বিষয় হচ্ছে যে, অর্থ বুঝলে তো সহজ হয়ে গেলো, না বুঝলে তো অনেক কঠিন। যার জন্য এটা কেউ মিলাতে পারেনি। ইস্তাওয়া অর্থটা কি হবে? কোথায় হবে? কিভাবে হবে? এখন বুঝতে পেরেছো ইস্তাওয়ার অর্থ?”
ইস্তাওয়া সর্ম্পকে হযরত ইমাম মুজতাহদি রহমতুল্লাহি আলাইহমি উনাদরে অভমিত
আল্লামা হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে আবূ বকর ইবনে ফাররাহ্ আনছারী খাযরাজী শামসুদ্দীন কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৬৭১ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘তাফসীরে কুরতুবী শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
وَلَـمْ يُـنْكِـرْ اَحَدٌ مِنَ السَّلَفِ الصَّالِحِ اَنَّهٗ اسْتَـوٰى عَلـٰـى عَرْشِهٖ حَقِيْـقَةً. وَخُصَّ الْعَرْشُ بِذٰلِكَ لِاَنَّهٗ اَعْظَمُ مَـخْلُوْقَاتِهٖ وَاِنَّـمَا جَهِلُوْا كَيْفِيَّةَ الِاسْتِوَاءِ فَإِنَّهٗ لَا تُـعْلَمُ حَقِيْـقَتُهٗ
অর্থ: “সালফে ছালেহীন অর্থাৎ পূর্ববর্তী সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই এ বিষয়ে স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার আরশে আযীম মুবারক-এ হাক্বীক্বীভাবে ইস্তাওয়া হয়েছেন। এর মাধ্যমে আরশে আযীম বৈশিষ্ট্যম-িত হয়েছে। কেননা আরশে আযীম হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মাখলূকাতের মধ্যে সবচেয়ে সুমহান। ইস্তাওয়ার কাইফিয়্যাত সম্পর্কে ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই অজ্ঞ অর্থাৎ উনাদের কারো এই বিষয়ে কোনো ইলিম নেই। কেননা এটার হাক্বীক্বত অজানা।” (তাফসীরে কুরতুবী শরীফ ৭/২১৯)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আওলাদি রসূলিল্লাহ, জামিয়াতুল মাক্বামাত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২২)
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৮)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২১)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)