প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর আহলু বাইতি রসূলল্লিাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়মি মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্ললি আলামীন মামদূহ র্মুশদি ক্ববিলা সাইয়্যদিুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহসি সালাম উনার মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে র্বণতি اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ (৭)
, ০৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ইস্তাওয়া সর্ম্পকে হযরত ইমাম মুজতাহদি রহমতুল্লাহি আলাইহমি উনাদরে অভমিত
আল্লামা কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে মাযহারী শরীফ’-এ বলেন,
ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ قَالَ الْبَـغْوِىُّ وَاَوَّلَتِ الْمُعْتَزِلَةُ الْاِسْتِـوَاءَ بِالْاِسْتِيْلَاءِ فَاَمَّا اَهْلُ السُّنَّةِ يَـقُوْلُوْنَ اَلْاِسْتِوَاءُ عَلَى الْعَرْشِ صِفَةٌ لِلَّهِ تَـعَالـٰـى بِلَا كَيْفٍ يَـجِبُ عَلَى الرَّجُلِ الْاِيْـمَانُ بِهٖ وَيَكِلُ الْعِلْمَ فِيْهِ اِلَـى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
অর্থ: “(ছুম্মাস্তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ) হযরত ইমাম বাগভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মু’তাযিলারা ইস্তাওয়া শব্দের ব্যাখ্যা করে, ইস্তীলা’ শব্দ দ্বারা। যার অর্থ হচ্ছে- প্রধান্য ও বিজয় প্রতিষ্ঠা করা, কর্তৃত্ব করা ইত্যাদি’। আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনারা বলেন, ‘(আল ইস্তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ) এটা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার একখানা ছিফত মুবারক। যার কাইফিয়্যাত বা ধরণ অজানা। প্রত্যেক ব্যক্তির উপর এ বিষয়ে ঈমান রাখা এবং এ ব্যাপরে ইলিমকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটে ন্যস্ত করা বা অর্পন করা ওয়াজিব। ” (তাফসীরে মাযহারী ৩/৩৫৯)
হযরত আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
{ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ} فَلِلنَّاسِ فِـىْ هٰـذَا الْمَقَامِ مَقَالَاتٌ كَـثِيْـرَةٌ جِدًّا لَـيْسَ هٰـذَا مَوْضِعَ بَسْطِهَا وَاِنَّـمَا يُسْلِكُ فِـىْ هٰـذَا الْمَقَامِ مَذْهَبُ السَّلَفِ الصَّالِحِ مَالِكٌ وَالْاَوْزَاعِىُّ وَالثَّـوْرِىُّ وَاللَّـيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَالشَّافِعِىُّ وَاَحْمَدُ بْنُ حَنْـبَلٍ وَاِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ وَغَيْـرُهُمْ مِنْ اَئِمَّةِ الْمُسْلِمِيْـنَ قَدِيْـمًا وَحَدِيْـثًا وَهُوَ اِمْرَارُهَا كَمَا جَاءَتْ مِنْ غَيْـرِ تَكْيِـيْفٍ وَلَا تَشْبِيْهٍ وَلَا تَـعْطِـيْلٍ
অর্থ: “ (ছুম্মাস তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ)। এ স্থানে লোকেরা বহু মতামত পেশ করেছেন এবং বহু জল্পনা-কল্পনা করেছেন। এখানে এগুলোর ব্যাখ্যা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমরা শুধুমাত্র পূর্ববর্তী গুরুজনদের মাযহাব অবলম্বন করেছি। উনারা হচ্ছেন হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত আওযায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত লায়েস ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত ইমাম শাফি‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত ইসহাক্ব ইবনে রাহওয়াই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মুসলিম ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম- উনাদের অভিমত হচ্ছে- (ইস্তাওয়া সম্পর্কে) যেরূপ বর্ণিত রয়েছে সেরূপ বিশ্বাস স্থাপন করা কোনো কাইফিয়্যাত বা ধরণ,অবস্থা, সাদৃশ্যত্য ও সংখ্যা নির্ধারণ ছাড়াই। ” (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩/৪২৬-৪২৭)
তাফসীরে বাগভী, মাযহারী, আল আসমা ওয়াছ ছিফাত লিলবাইহক্বী, লাওয়ামি‘উল আনওয়ারসহ আরো অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وَسَاَلَ رَجُلٌ مَالِكَ بْنَ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰـى عَنْهُ عَنْ قَـوْلِهٖ ﴿ اَلرَّحْـمـٰـنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَـوٰى ﴾ كَـيْفَ اسْتَـوٰى؟ فَاَطْرَقَ رَاْسَهٗ مَلِـيًّا وَعَلَاهُ الرُّحَضَاءُ ثُـمَّ قَالَ اَلْاِسْتِوَاءُ غَيْـرُ مَـجْهُوْلٍ وَالْكَـيْفُ غَيْـرُ مَعْقُوْلٍ وَالْاِيْـمَانُ بِهٖ وَاجِبٌ وَالسُّؤَالُ عَنْهُ بِدْعَةٌ وَمَا اَظُـنُّكَ اِلَّا ضَالًّا ثُـمَّ اَمَرَ بِهٖٖٖٖٖٖٖٖٖ فَاُخْرِجَ
অর্থ: “এক ব্যক্তি হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক- (আর রহমানু ‘আলাল ‘আরশিস্তাওয়া) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলো যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে ইস্তাওয়া হয়েছেন? তখন তিনি উনার মাথা মুবারক অবনত করে সুদীর্ঘ সময় নিশ্চুপ থাকেন। আর উনার অবস্থা এমন হয় যে, প্রচুর পরিমাণ ঘাম ঝড়ে উনার পুরো শরীর ভিজে যায়, তিনি ক্লান্ত হয়ে যান। তারপর তিনি বলেন, ইস্তাওয়াটা সকলের জানা। এর কাইফিয়্যাত বা ধরণ সবার আক্বল বা বুঝের বাইরে। এই বিষয়ে ঈমান রাখা ওয়াজিব। আর এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদা‘য়াত তথা গোমরাহী। আমি তোমাকে গোমরাহ মনে করি। তারপর তিনি সুওয়ালকারীকে বের করে দেয়ার জন্য নির্দেশ মুবারক দেন। তখন তাকে বের করে দেওয়া হয়। ” (তাফসীরে বাগবী ২/১৯৭, তাফসীরে মাযহারী ৩/৩৫৯)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)