পবিত্র ই’তিকাফ এর হুকুম-আহকাম
, ১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যে ব্যক্তি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার শেষ দশ দিন (সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া) ই’তিকাফ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে দুটি হজ্জ ও দুটি উমরাহ করার সমতুল্য ছওয়াব দান করবেন। সুবহানাল্লাহ!
আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার অতীতের গুনাহখতা ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
আরো বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি একদিন ই’তিকাফ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জাহান্নাম থেকে তিন খন্দক দূরে রাখবেন। প্রতি খন্দকের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা। সুবহানাল্লাহ!
ই’তিকাফ উনার হুকুম:
ই’তিকাফ উনার অর্থ হলো গুনাহ হতে বেঁচে থাকা, নিরিবিলি অবস্থান করা, নিজেকে কোন স্থানে আবদ্ধ রাখা, কোণায় অবস্থান করা ইত্যাদি। সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার শেষ ১০ দিন (অর্থাৎ ২০ তারিখ বা’দ আছর ২১ তারিখ মাগরিবের পূর্ব হতে শুরু করে পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা পর্যন্ত) দুনিয়াবী যাবতীয় কার্যকলাপ ও পরিবার-পরিজন হতে ভিন্ন হয়ে, আলাদাভাবে পুরুষের জন্য জামে মসজিদে ও মহিলাদের জন্য নিজ ঘরে আলাদা কামরা করে ইবাদত কার্যে মশগুল থাকাকে ই’তিকাফ বলে।
এক দিন, তিন দিন, পাঁচ দিন এবং সাত দিন ই’তিকাফ করলে সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া আদায় হবে না। অর্থাৎ পবিত্র ৩০শে রমাদ্বান শরীফ উনার ১০ দিন কিংবা ২৯ দিনে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হলে ৯ দিনের এক মিনিট কম হলেও সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া আদায় হবে না। ই’তিকাফ তিন প্রকার- ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ ও নফল। যিনি ই’তিকাফ করেন তাকে মু’তাকিফ বলা হয়।
প্রত্যেক মসজিদে এলাকার তরফ হতে একজন মু’তাকিফ হলেই সকলের আদায় হয়ে যাবে। আর যদি কেউই ই’তিকাফ না করে, তাহলে সকলেরই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরকের কারণে কবীরা গুনাহে গুনাহগার হবে।
ই’তিকাফ উনার শর্ত:
ই’তিকাফ উনার শর্ত তিনটি। যথা:
১. পুরুষের জন্য মসজিদে, মহিলাদের জন্য ঘরের মধ্যে আলাদা প্রকোষ্ঠে ই’তিকাফ করা।
২. ই’তিকাফ উনার জন্য নিয়ত করা।
৩. পবিত্র রোযা রাখা।
বি. দ্র. ই’তিকাফ উনার জন্য বালিগ হওয়া শর্ত নয়।
ই’তিকাফকারীর জন্য নিষিদ্ধ কাজ:
ই’তিকাফ অবস্থায় জাগতিক ফায়দাদায়ক কাজ করা অবস্থাভেদে হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী হবে।
১. মু’তাকিফ ব্যক্তি মসজিদে এসে কোন বেহুদা কথা বা কাজ করবে না বা চুপ করে বসে থাকবে না। বরং ঘুম ব্যতীত বাকি সময় ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকতে হবে। যেমন- নফল নামায, পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, যিকির-ফিকির করা, ইলম অর্জন করা ইত্যাদি।
২. ই’তিকাফকারী বিনা প্রয়োজনে এক সেকেন্ডের জন্য মসজিদের বাহিরে অবস্থান করলে ই’তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
৩. নির্জনবাস করা।
৪. অন্যান্য অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিরত থাকা। যেমন: অযথা গল্প-গুজব, কথা-বার্তা না বলা।
(বিস্তারিত জানতে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার ১০০তম সংখ্যা দ্রষ্টব্য)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত যাকাত উনার আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৯)
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২৫)
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সারাবিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি? একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ.... (৬)
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত যাকাত উনার আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৮)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২৪)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সারাবিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি? একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ.... (৫)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত যাকাত উনার আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৭)
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)