নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক
, ২১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ৭ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

আল্লামা আহমদ শিহাবুদ্দীন ইবনে হাজার হাইতামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আছ ছওয়ায়িকুল মুহরিক্বহ্ শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণনা করেন, “ইমাম হাকিম নীশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুহম্মদ ইবনে ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে হযরত আবূ হাবীব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। হযরত আবূ হাবীব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি একদা স্বপ্নে দেখলাম যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের দেশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সম্মানিত হজ্জযাত্রীগণ যেখানে অবতরণ মুবারক করেন, তিনি সেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবতরণ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আমি উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক দিলাম। তখন আমি উনার সামনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার খেজুরপাতার তৈরী একটি থালা বা পাত্র দেখতে পেলাম, যাতে ছায়হানী খেজুর মুবারক রাখা ছিলো। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে সেখান থেকে ১৮টি খেজুর মুবারক দিলেন। সুবহানাল্লাহ! আমি এই স্বপ্নের তা’বীর বা ব্যাখ্যা করলাম যে, আমি আর এই পরিমাণ সময় অর্থাৎ ১৮ বছর দুনিয়ার যমীনে অবস্থান করবো। এ ঘটনার বিশ দিন পর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ হতে আমাদের দেশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক রেখেছেন এবং (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবতরণ মুবারক করেছিলেন,) তিনি সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ অবতরণ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! লোকজন দ্রুত গিয়ে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক দিতে লাগলো। আমি উনার দিকে ছুটে গেলাম। দেখতে পেলাম যে, আমি স্বপ্নে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শাফাক্বাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বসা শান মুবারক) অবস্থায় দেখেছিলাম, ঠিক সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক-এ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বসা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার সামনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার খেজুরপাতার তৈরী একটি থালা বা পাত্র মুবারক-এ ছায়হানী খেজুর মুবারক রাখা আছে। আমি উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক দিলাম। তিনি আমাকে উনার কাছে যেতে বললেন এবং আমাকে এক মুষ্টি খেজুর মুবারক দিলেন। তারপর আমি দেখলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে স্বপ্নে যতটা খেজুর মুবারক দিয়েছিলেন, এখানে ঠিক ততটা খেজুর মুবারক রয়েছেন। আমি বললাম, আমাকে আরো বাড়িয়ে দিন। জবাবে তিনি বললেন,
لَو زادك رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لزدناك
‘যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে আরো বাড়িয়ে (বেশি) দিতেন, তাহলে আমিও আপনাকে আরো বাড়িয়ে (বেশি) দিতাম’। ” সুবহানাল্লাহ! (আছ ছওয়া‘ইকুল মুহ্রিক্বহ্ ২/৫৯৪)
অপর বর্ণনায় রয়েছেন,
فقلت زدني يا ابن رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لو زادك جدي لزدت
অর্থ: “আমি আরজ করলাম, হে আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আমাকে আরো বাড়িয়ে দিন। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন,
لو زادك جدي لزدت
‘যদি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নানাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাকে আরো বাড়িয়ে (বেশি) দিতেন, তাহলে আমিও আপনাকে আরো বাড়িয়ে (বেশি) দিতাম’। ” সুবহানাল্লাহ! (শরফুল মুস্তফা শরীফ ৩/২৩০)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(১৩)
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১২)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ শরীফ
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মুহব্বতপূর্ণ সম্পর্ক মুবারক
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনার একখানা মহাসম্মানিত বিশেষ স্বপ্ন মুবারক
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১২)
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক এবং খুশি মুবারক প্রকাশ
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১১)
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রচিত সম্মানিত কবিতা বা ক্বাছীদাহ্ শরীফ
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যারা জীবতি আছ, তাদরে দায়ত্বি হলো- মুসলমানদরে পক্ষে দো‘আ করা। কাফরেদরে বরিুদ্ধে কঠনি বদ দো‘আ করা
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১০)
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক অবমাননাকারীদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)