সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনাকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব থেকে দলীল (২)
, ১৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১০ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘লাত্বায়িফুল মা‘আরিফ’ কিতাবের ২৭৮ নং পৃষ্ঠায় আরো বলেন,
اَرْكَانُ الْاِسْلَامِ الَّتِىْ بُنِىَ الْاِسْلَامُ عَلَيْهَا خَمْسَةٌ اَلشَّهَادَتَانِ وَالصَّلٰوةُ وَالزَّكٰوةُ وَصِيَامُ رَمَضَانَ وَالْحَجُّ فَاَعْيَادُ عُمُوْمِ الْمُسْلِمِيْنَ فِى الدُّنْيَا عِنْدَ اِكْمَالِ دَوْرِ الصَّلٰوةِ وَاِكْمَالِ الصِّيَامِ وَالْحَجُّ يَجْتَمِعُوْنَ عِنْدَ ذٰلِكَ اِجْتِمَاعًا عَامًا فَاَمَّا الزَّكٰوةُ فَلَيْسَ لَهَا وَقْتٌ مُعَيَّنٌ لِيَتَّخِذَ عِيْدًا بَلْ كُلُّ مَنْ مُلِمُّ نِصَابًا فَحَوْلَهٗ بِحَسْبِ مِلْكِهٖ وَاَمَّا الشَّهَادَتَانِ فَاِكْمَالُهَا يَحْصُلُ بِتَحْقِيْقِهِمَا وَالْقِيَامُ بِحُقُوْقِهَا وَخَوَاصُّ الْمُؤْمِنِيْنَ يَجْتَهِدُوْنَ عَلٰى ذٰلِكَ فِىْ كُلِّ وَقْتٍ فَلِذٰلِكَ كَانَتْ اَوْقَاتُهُمْ كُلُّهَا اَعْيَادًا لَهُمْ فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ
অর্থ: “মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার রুকনসমূহ ৫টি, যার উপর মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। (সেগুলি হচ্ছেন-) ১. শাহাদাতান বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ, ২. সম্মানিত ছলাত বা নামায, ৩. সম্মানিত যাকাত, ৪. সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা এবং ৫. সম্মানিত হজ্জ। সুবহানাল্লাহ! কাজেই দুনিয়াতে সাধারণ মুসলমান উনাদের জন্য ঈদ হচ্ছেন সম্মানিত ছলাত বা নামায পূর্ণকরণের সময়, সম্মানিত রোযা এবং সম্মানিত হজ্জ পূর্ণকরণের সময়। সম্মানিত হজ্জ উনার সময় সম্মানিত মুসলমান উনারা বৎসরে একবার একত্রিত হন। সম্মানিত যাকাত উনার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই, যেটা ঈদ হিসেবে গ্রহণ করা হবে; বরং প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি যিনি উনার নিছাব জানতে পারেন, তারপর উনার মালিকানায় যা রয়েছে সেটার হিসাব পরিবর্তন করেন অর্থাৎ সম্মানিত যাকাত আদায় করে নতুন বছর গণনা করা শুরু করেন। আর শাহাদাতান বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ উনার পূর্ণকরণ হচ্ছেন মহাসম্মনিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ উনার উপর ঈমান আনা এবং সেই অনুযায়ী আমল করা। সুবহানাল্লাহ! আর খাছ মু’মিনগণ উনারা সবসময় ঐ সমস্ত বিষয় (বাস্তবায়নে) চেষ্টা-কোশেশ করেন। এ কারণেই খাছ মু’মিনগণ উনাদের দুনিয়া এবং আখিরাতের প্রত্যেকটা সময়ই হচ্ছেন উনাদের জন্য ঈদ। ” সুবহানাল্লাহ! (লাত্বাইফুল মা‘আরিফ ২৭৮ নং পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার অপর দুই কিতাবে বলেন,
وَخَوَاصُّ الْمُؤْمِنِيْنَ يَجْتَهِدُوْنَ عَلٰى ذٰلِكَ كُلَّ يَوْمٍ وَوَقْتٍ فَلِهٰذَا كَانَتْ اَيَّامُهُمْ كُلُّهَا اَعْيَادًا وِلِذٰلِكَ كَانَتْ اَعْيَادُهُمْ فِى الْجَنَّةِ مُسْتَمِرَّةً
অর্থ: “আর খাছ মু’মিনগণ উনারা প্রতিদিন এবং প্রতিটি সময় ঐ সমস্ত বিষয় বাস্তবায়নে চেষ্টা-কোশেশ করেন, ফলে উনাদের প্রতিটি দিনই ঈদ। আর এ কারণে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে উনাদের ঈদ হবেন স্থায়ী অর্থাৎ সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে উনাদের জন্য সবসময় ঈদ হবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (রওয়াই‘উত তাফসীর ১/৩৯৪-৩৯৫, ফাতহুল বারী লি ইবনে রজব ১/১৭৬)
তাহলে এ কথা কি করে বলা যেতে পারে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে আগমন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) উনাকে ‘ঈদ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না’? না‘ঊযুবিল্লাহ!
এখন বাতিল ফিরক্বার লোকদের নিকট সুওয়াল হচ্ছে, তাহলে হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কি নিজের বিরুদ্ধে নিজে ফতওয়া দিয়েছেন? না‘ঊযুবিল্লাহ!
এছাড়া ‘সম্মানিত মুসলমান উনাদের জন্য দুনিয়াতে যে দিনগুলি ঈদ, সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যেও উনাদের জন্য সেই দিনগুলি ঈদের দিন হবেন। ’ হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এ কথা দ্বারা এই বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে আগমন উপলক্ষে যাঁরা শুকুরগুজারী করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) উনাকে ঈদ হিসেবে, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে গ্রহণ করবেন, উনারা পরকালেও এই দিন ঈদ পালন করবেন, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন। ” সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৩)
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)