সম্পাদকীয়-২
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন আর ভোক্তার মাঝামাঝি পর্যায়েও অনেক সময় খাবার নষ্ট হয়। হঠাৎ করে কোনো ফসলের দাম বেড়ে গেলে সেটি অনেক সময় বিক্রি কমে যায়। ফল বা সবজি যেহেতু পচনশীল এবং বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যাপ্ত হিমাগারের ব্যবস্থা করা হয়নি তাই এরকম পরিস্থিতিতে খাদ্য নষ্ট হয়। আবার ফসলের দাম কমে গেলেও অনেক সময় কৃষকরা প্রতিবাদস্বরূপ ফসল নষ্ট করে। আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায় ফসলের দাম কমে গেলে কৃষকরা রাস্তায় ফসল ফেলে প্রতিবাদ করে। আবার অনেক বড় বড় খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কোম্পানি তাদের কাঁচামাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে খুবই খুঁতখুঁতে হয়। এতে দেখা যায় তারা একজন কৃষকের উৎপাদিত সব ফসল না নিয়ে কিছু অংশ নেয়। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনগুলোতে প্রায়ই বলতে শোনা যায় ‘বিশেষভাবে বাছাইকৃত দিয়ে তৈরি’। এই বিশেষভাবে বাছাইয়ের পর বেঁচে যাওয়া ফসল বা ফলগুলোর বেশিরভাগই নষ্ট হয়। আর এভাবেই উৎপাদন পর্যায়ে বা ভোক্তার দ্বারা খাবার নষ্ট বা অপচয় না হয়েও খাবার নষ্ট হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশে যখন প্রতিবছর ৩৫ হাজার কোটি টাকা খাদ্য অপচয় হচ্ছে তখন দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ পুষ্টিহীনতার শিকার। প্রায় ৪৪% নারী রক্তস্বল্পতায় ভোগে। দেশে প্রতি পাঁচজনে একজন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল দুর্গম এলাকার প্রান্তিক মানুষ ও শহরের নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে পুষ্টিহীনতা বেশি।
‘শুধুমাত্র গরীবেরা খাবার পাচ্ছে না বা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে খাবারের অভাবে তাই খাবার অপচয় বন্ধ করা বা কমানো দরকার’ এককভাবে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কারণ, খাবার অপচয় শুধু খাবারের অপচয় না, একই সাথে অর্থ, শ্রম, শক্তির অপচয়। ফসল ফলানো থেকে খাবার কেনা পর্যন্ত প্রচুর মানুষ জড়িত। এতে তারা তাদের অর্থ দেয়, শ্রম দেয়। কিন্তু তাদের দেয়া অর্থ আর শ্রমের খাবার যদি নষ্ট হয় তাহলে সেই অর্থ আর শ্রমও নষ্টই হয় শেষ পর্যন্ত। রান্না করা খাবার তৈরিতেও কিন্তু জ্বালানী ও পানির প্রয়োজন হয়। খাবার যদি নষ্টই হয় শেষ পর্যন্ত তাহলে একই সাথে প্রচুর জ্বালানী নষ্ট হচ্ছে আবার অন্যদিকে খাবার সাথে পানিরও অপচয় হচ্ছে। ফলে একদিকে খাবার যেমন নষ্ট হলো, পরিবেশেরও ক্ষতি হলো।
আমরা মনে করি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এই দেশে ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকছে এবং বিপরীতে ১ কোটি ৬ লাখ টন খাদ্যশস্য নষ্ট হবে এটা কোনোভাবেই বরদাশতযোগ্য নয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন সম্মানিত ইসলাম। কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয় হলো, মুসলিম দেশ হলেও বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা কখনই দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ-অনুভূতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনা। ৩৫ হাজার কোটি টাকার খাদ্য অপচয় হলেও এটি রোধে সরকারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ লক্ষনীয় নয়। অথচ, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে খাদ্য অপচয় রোধে কঠোর নির্দেশনা মুবারক দেয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। ” পাশাপাশি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “বিনা প্রয়োজনে গাছের একটি পাতাও ছিঁড়ো না। ” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এমনও ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অযু করতে গিয়ে নদীর পানিও বিনা প্রয়োজনে ব্যবহার করা জায়িয নেই। ” অথচ দেশের সরকার সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। যা চরম অমানবিকও বটে। কাজেই খাদ্য অপচয়ে ইসলামী অনুভূতি ও অনূশাসন মেনে চলা আবশ্যকীয়।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ২৯ জুমাদাল উখরা শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূলিল্লাহ আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক দিবস এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শুধুই সমালোচনা? পতিত সরকারের সমালোচিত পন্থা দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিলে কোন উদ্যোগ ও তৎপরতা নেই কেন? দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা নিয়ে যে অবাধ অর্থপাচার হয়েছে অবিলম্বে তা ফিরিয়ে আনা হোক ইনশাআল্লাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ স্বদেশের প্রতি মুহব্বত দাবিদার মুসলমান এবং স্বদেশের প্রতি আঘাত।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘কবর’ ‘জাহান্নাম’ ‘জান্নাত’ ইত্যাদি ইসলামী শব্দের কথা বললেই শুধু হবেনা। শুধুমাত্র প্রসঙ্গ টানলেই হবেনা। এখন দেশে ইসলামী আবহের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বিশেষত মহাসমারোহে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে মুসলমানদের জান্নাতে ভালো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্নো আসক্ত। পর্নো দেখতে তারা ব্যয় করছে শত শত কোটি টাকা। এখনই সরকার সতর্ক না হলে পর্ণোগ্রাফিতে পশ্বাধম জাতিতে পরিণত হবে পরবর্তী প্রজন্ম। +
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাড় কাঁপানো শীতে বাড়ছে আগুনে দগ্ধদের সংখ্যা দগ্ধ রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছে না জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় দগ্ধ রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দশ বর্গকিলোমিটার নারিকেল দ্বীপ রক্ষায় মিথ্যার বেসাতির বিপরীতে ৩ লাখ একর বেদখল বনভূমির প্রতি নিস্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)