ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
, ০৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৭ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
পরিচিতি মুবারক ও নসবনামা:
ত্বহিরা, ত্বাইয়্যিবাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন হযরত ছফিয়াহ আলাইহাস সালাম। তিনি তৎকালীন আহলে কিতাবধারী ইয়াহুদী সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। উনার পিতা হুয়াই বিন আখতাব, ইয়াহুদী বনু নাদ্বীর গোত্রের সর্দার ছিলেন, যিনি জলিলুল ক্বদর রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ভাই হযরত হারুন ইবনে ইমরান আলাইহিস সালাম উনার অধঃস্তন পুরুষ। উনার নসবনামা হচ্ছেন- হযরত ছফিয়াহ বিনতে হুয়াই আলাইহিস সালাম ইবনে আখত্বব আলাইহিস সালাম ইবনে সাঈদ আলাইহিস সালাম ইবনে আমির আলাইহিস সালাম ইবনে ওবাইদ আলাইহিস সালাম ইবনে কা’ব ইবনুল খাযরাজ আলাইহিস সালাম ইবনে আবু হাবীব আলাইহিস সালাম ইবনে নুছাইর আলাইহিস সালাম ইবনে নাহহাম আলাইহিস সালাম ইবনে মাইখুম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার মাতার নাম হযরত বারা বিনতে সামাওয়াল আলাইহাস সালাম। তিনি ছিলেন ইয়াহুদীদের মশহুর খান্দান বনু কুরাইজা গোত্রের মহিলা। এই হিসাবে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার পিতৃকুল বনু নাদ্বীর এবং মাতৃকুল বনু কুরাইজার ইহুদীদের এক বংশে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার পিতা ও দাদা উভয়ই ছিলেন জাতির সম্ভ্রান্ত এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আর এ কারণে বনী ইসরাঈলের সকল আরবীয় গোত্রের মধ্যে উনাকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হতো। উনার পিতা হুয়াই বিন আখত্ববকে বেমেছাল সম্মান করা হতো। জাতির সব লোক বিনা দ্বিধায় উনার নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব মেনে নিত। উনার মাতা হযরত বাররা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন হযরত সামাওয়াল আলাইহিস সালাম উনার কন্যা। বীরত্বের জন্য তিনি গোটা জাযিরাতুল আরবে বিখ্যাত ছিলেন। মোটকথা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার নসবনামা এক বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৩য় বছর পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার ২৫ তারিখ ইয়াওমুল আহাদ শরীফ (রোববার) পবিত্র মদীনা শরীফে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! (দৈনিক আল-ইহসান শরীফ)
শৈশবকাল মুবারক:
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফে বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। কাজেই উনার সম্মানিত শৈশবকাল পবিত্র মদীনা শরীফেই অতিবাহিত হয়। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার পিতা ছিলেন ইয়াহুদী আলিমদের সাইয়্যিদ, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ভাই, নবী হযরত হারুন আলাইহিস সালাম উনার বংশধর। কাজেই তিনি ও উনার পরিবার হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দ্বীন ও তাওরাত শরীফ উনাদের উপর দায়িম-ক্বায়িম ছিলেন। তিনি উনার শৈশবকাল সম্পর্কে বলেন-
كنت احب ولد أبى إليه و إلى عمى أبى ياسر، لم ألقهما قط مع ولدهما إلا أخذانى دونه
অর্থ: আমি ছিলাম আমার পিতার সর্বাধিক প্রিয় আওলাদ এবং আমার চাচা আবু ইয়াসিরের মুহব্বতের পাত্র। উনারা আমাকে উনাদের অন্যান্য সন্তানদের মাঝে একা রেখে যেতেন না।
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার অন্যান্য খুছুছিয়ত মুবারকের কারণে উনার পিতা ও চাচা সকলেই উনাকে সর্বাধিক মুহব্বত করতেন এবং উনাকে সব সময় নজরে রাখতেন, যেন কেউ কখনো উনার শান মুবারকে ত্রুটি করতে না পারে। সুবহানাল্লাহ!
শাদী মুবারক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে উনার দু’টি শাদী মুবারক হয়েছিল। উনার শাদী মুবারক সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ আছে-
زوجها قبل إسلامها سلامه بن مكشوح القرظي، وقيل سلام بن مشكم، فارس قومها ومن كبار شعرائهم، ثم تزوّجها كنانة بن أبي الحقيق، وقٌتل كنانة يوم خيبر،
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম কবুল করার পূর্বে বনু কুরাইজা গোত্রের সালামাহ ইবনে মাকশুহ বা সালাম ইবনে মিশকাম শাদী করে। সে তার গোত্রের বড় বীর ও বড় কবিদের একজন ছিল। সালাম ইবনে মিশকামের সাথে জুদায়ীর পর কিনানাহ ইবনে আবিল হুকাইকের সাথে উনার শাদী হয়। কিনানাহ খায়বরের জিহাদে নিহত হয়। সুবহানাল্লাহ!
অন্যান্য বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার দুনিয়াবী হায়াত মুবারক অল্প থাকা অবস্থাতেই উনার প্রথম শাদী অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে বনু কুরাইজার যোদ্ধা ও কবি সালাম ইবনে মিশকামের সাথে উনার শাদী হয়। কিন্তু সে উনার খেদমতে অযোগ্য প্রমাণিত হয় এবং উনার সাথে তার জুদায়ী হয়ে যায়। হিজরী ৩য় সনে উহুদের জিহাদের পর বিশ^াসঘাতকতার অপরাধে বনু কুরাইজাকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে নির্বাসিত করা হলে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি উনার পিতার সাথে খায়বরে গমন করেন এবং সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৭ম হিজরীর শুরুতে খায়বর অবরোধের কিছু দিন পূর্বে বনু নাদ্বীর গোত্রের নেতা ও যোদ্ধা কিনানাহ ইবনে আবিল হুকাইকের সাথে উনার দ্বিতীয় শাদী অনুষ্ঠিত হয়। কিনানা ইবনে আবিল হুকাইক খায়বরের বিখ্যাত দুর্গ কামুসের নেতা ছিল, সে খায়বরের জিহাদে নিহত হয়। (যারক্বানী, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ:
হিজরী ৭ম সনে খায়বর বিজয়ের পরে যখন যুদ্ধ বন্দিনীগণকে একত্রিত করা হলো, হযরত দাহিয়াতুল কালবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যুদ্ধ বন্দিনীগণ হতে আমাকে একজন দান করুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যে কোন একজন নিয়ে যেতে পারেন। তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনাকে নিতে ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা এতে আপত্তি উত্থাপন করে বললেন, তিনি বংশগতভাবে নুবুওওয়াতী খান্দানের এবং বনু কুরাইজা ও বনু নাদ্বীরের সর্দারের কন্যা ও আহলিয়া, কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ভিন্ন অন্য কেউ উনাকে গ্রহণ করা ঠিক হবে না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ইজমা এবং অনুরোধ অনুযায়ী হযরত দাহিয়াতুল কালবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে অন্য যুদ্ধবন্দিনী দেয়া হয়। এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনাকে আযাদ করে দেয়ার পর উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুুষ্ঠিত হয়। সুবহানাল্লাহ! (ইছাবা, আছাহহুস সিয়ার)
হিজরী ৭ম সনের ২৫ মুহররমুল হারাম শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) খায়বর থেকে ফেরার পথে পবিত্র মদীনা শরীফ অভিমুখে রওয়ানা হলে ছহবা নামক স্থানে এই সম্মানিত নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। (দৈনিক আল-ইহসান শরীফ)
এখানে ওয়ালিমা মুবারকও সম্পন্ন হয়। ছহবা নামক স্থানে আগমনকালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনাকে নিজ উটের পিঠে বসান আর নিজের জুব্বা মুবারক দিয়ে উনাকে ছায়া দেন, যাতে লোকেরা জানতে পারে যে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনিও হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি হিজরী ৫০ সনের ২৩শে মাহে রমাদ্বান শরীফ, ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ ৫৯ বৎসর ১১ মাস ২৮ দিন বয়স মুবারকে বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। জান্নাতুল বাকীতে উনার দাফন মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। সুবহানাল্লাহ! (আছাহহুস সিয়ার, যারক্বানী, দৈনিক আল ইহসান শরীফ)
বেমেছাল ফযীলত ও মর্যাদা মুবারক:
মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা মর্তবার দিক থেকে সর্বপ্রথম হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিতা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম। উনারা হচ্ছেন সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের মূল। অতঃপর হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মর্যাদা মর্তবা। অতঃপর হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মর্যাদা এবং অতঃপর অন্যান্য আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্তবা-মর্যাদা।
সামগ্রিকভাবে সকল হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের অপরিসীম মর্যাদা মর্তবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
لستن كاحد من النساء
(অর্থাৎ উনারা অন্য কোন নারীর মত নন)।
পবিত্র সূরা আহযাবের ৬নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে উম্মাহাতুল মু’মিনীন বলে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
ألنَّبِيُّ أوْلَى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ أنْفُسِهِمْ وَ أزْوَاجُهُ أمُّهَاتُهُمْ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনদের নিকট নিজেদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: আয়াত শরীফ ৬)
মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পবিত্র আয়াত শরীফে উনাদেরকে أمَّهَاتُ الْمُؤْمِنِيْنَ (মু’মিনগণের মাতা) এই সম্মানিত লক্বব মুবারকে উল্লেখ করেছেন। এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মর্ম থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ একমাত্র তিনি ব্যতীত অন্যান্য সকল মু’মিন অর্থাৎ হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত মু’মিন দুনিয়াতে এসেছেন, এখন আছেন এবং ভবিষ্যতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত থাকবেন উনাদের সকলেরই মহাসম্মানিত মাতা। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং উনাদের মর্যাদা-মর্তবা কত যে বেমেছাল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ আছে-
كانت حضرت صفيه عليها السلام شريفة عاقله، ذات حسب و جمال، و دين و تقوى، و ذات حلم و وقار
অর্থ: সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের শরীফ, সর্বাধিক সমঝদার, সম্মানিত নসব মুবারক উনার অধিকারিণী, অত্যন্ত ধৈর্যশীলা ও ইবাদতগুজার। সুবহানাল্লাহ! তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, তাক্বওয়া পরহেযগারীর অধিকারিণী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে সম্বোধন করে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
إنّكِ لإبنَةَ نبئٍ، و إن عمَّكِ لنبئٌ، و إنكِ لتحتَ نبئٍّ، فَفِيْمَ تفخَّرَ عليكِ
অর্থ: নিশ্চয়ই আপনার সম্মানিত পূর্ব-পুরুষ পিতা একজন সম্মানিত নবী আলাইহিস সালাম (অর্থাৎ হযরত হারুন আলাইহিস সালাম), আপনার সম্মানিত পূর্ব-পুরুষ চাচাও একজন সম্মানিত রসূল আলাইহিস সালাম (অর্থাৎ হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম)। আপনার সম্মানিত আহাল তিনিও একজন সম্মানিত রসূল আলাইহিস সালাম (অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তাই অন্যান্যরা কি নিয়ে আপনার সাথে ফখর করবে?
অর্থাৎ মহাসম্মানিত তিনজন নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার খাছ নিসবত মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
খায়বরের জিহাদের পূর্বে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, উনার কক্ষে চন্দ্র উদিত হয়েছে। তিনি এই স্বপ্নের কথা উনার মাতাকে জানালেন। ইহা শুনে উনার মাতা উনার মুখে খুব জোরে চপেটাঘাত করল, যাতে উনার চেহারা মুবারকে দাগ পড়ে যায় এবং বলল, আপনি আরবের বাদশাহর ক্ষমতার নীচে আপনার গর্দান প্রসারিত করে দিবেন। যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হলো উনার পবিত্র চেহারা মুবারকে উক্ত দাগ দেখে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ বিষয়ে বিবরণ দান করেন। সুবহানাল্লাহ! (ইছাবা)
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন খুবই দৃঢ় চিত্তের অধিকারিনী, জীবনে কখনও ধৈর্যহারা হননি। ইহুদীদের জন্য খায়বরের জিহাদ ধ্বংসকর প্রমাণিত হয়। এই জিহাদের ফলে তাদের সকল আশা-আকাঙ্খা ধূলিসাৎ হয়ে যায়। এই জিহাদে তাদের নাম করা সর্দারগণ মারা যায়। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার পিতা ও ভাই এদের মধ্যে ছিলো। কিন্তু এদের জন্য জীবনে কখনও উনাকে দুঃখ ও শোক প্রকাশ করতে কেউ দেখেনি। এ কারণে খায়বরবাসীরা উনাকে বিশেষ মর্যাদা দিতো। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার প্রতি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক ছিল অনন্য ও বেমেছাল। তিনি একবার সফরে ছিলেন। অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও সঙ্গে ছিলেন। ঘটনাক্রমে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার সওয়ারী উট অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি খুব চিন্তিত হলেন এবং কাঁদতে শুরু করলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানতে পেরে উনার নিকট গমন করলেন এবং আপন নূরুল মাগফিরাহ মুবারক (হস্ত মুবারক) দ্বারা উনার চোখের পানি মুবারক মুছে দেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনিও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অপরিসীম মুহব্বত মুবারক করতেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কঠিন মারিদ্বী শান মুবারক গ্রহণ করেন তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি ক্রন্দন করে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার সমস্ত কষ্ট যদি আমার উপর আপতিত হতো! অন্যান্য হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ ইহা শুনে আশ্চর্যান্বিত হলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উত্তরে বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তিনি সত্য বলেছেন। সুবহানাল্লাহ! (ইছাবা)
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত দানশীলা ছিলেন। উনার একটিমাত্র বাড়ী ছিল যা তিনি উনার দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারকে অবস্থান মুবারক করাকালীন দান করে দেন। (তাবাকাত)
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম যখন প্রথমে পবিত্র আহলু বাইত শরীফ হিসেবে তাশরীফ মুবারক আনয়ন করেন, উনার বেশ কিছু স্বর্ণের অলংকার অন্যান্য হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া হিসাবে দিয়ে দেন। সুবহানাল্লাহ! (যারক্বানী)
হিজরী ৩৫ সনের শেষের দিকে শত্রুরা যখন আমিরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার গৃহ অবরোধ করে এবং খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি কিছু খাদ্য নিয়ে আমিরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার গৃহের দিকে অগ্রসর হন। কিন্তু শত্রুরা উনাকে বাধা দান করে। অতঃপর তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত সিবতু রসূল আর র’বি আলাইহিস সালাম) উনাকে দিয়ে এই খাদ্য দ্রব্যগুলি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট পৌঁছাতে সমর্থ্য হন। সুবহানাল্লাহ!
আমিরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারক আমলে একবার সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার এক অপপ্রচারকারী বাঁদী অর্থাৎ উনার শানে বেয়াদবীকারী এক বিদ্বেষী সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট মিথ্যাভাবে বলে যে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি ইয়াহুদীদের বড় দিন “শনিবার” পালন করেন এবং ইয়াহুদীদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করেন। এ বিষয়ে উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন যে, যেদিন আমি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছি, সেদিন থেকে মহান আল্লাহ পাক শনিবারের পরিবর্তে উত্তম দিন জুমুয়াবার আমাকে দান করেছেন, সুতরাং শনিবার পালন করার কোন অর্থই হয় না। আর ইয়াহুদীদের মধ্যে আমার রক্ত সম্পর্ক রয়েছে, সেজন্য আমি “ছিলাহ রেহেম” রক্ত সম্পর্ক রক্ষা করে থাকি, যা শরীয়তসম্মত। অতঃপর তিনি সেই বাঁদীকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে কিসে প্ররোচিত করল, আমার সম্পর্কে এসব কথা বলতে? বাঁদী উত্তর দিল, শয়তান। অর্থাৎ শয়তানী ওয়াসওয়াসা বশতঃ সে এসব কথা বলেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ঠিক আছে, তোমাকে আমি আযাদ করে দিলাম। অর্থাৎ তিনি বাঁদীকে কোন শাস্তি দিলেন না বা তিরষ্কারও করলেন না, অর্থের বিনিময়ে বিক্রয়ও করলেন না, বরং তাকে আযাদ করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! (যারক্বানী)
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি উনার পরিত্যক্ত সম্পদের এক তৃতীয়াংশ উনার বোনের ছেলের জন্য ওছীয়ত মুবারক করেছিলেন, বোনের ছেলে তখনও ইয়াহুদী ছিল। উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরে লোকেরা উনার ওছীয়ত মুবারক পূর্ণ করতে দ্বিধা করছিলো। কিন্তু সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার নির্দেশে উক্ত ওছীয়ত মুবারক পূর্ণ করা হয়। সুবহানাল্লাহ! (তাবাক্বাত)
অন্যান্য হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ন্যায় সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম ছিলেন ইলম ও মা’রিফাতের কেন্দ্র। বিভিন্ন মহিলারা উনার নিকট বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য প্রশ্ন করত, তিনি সে বিষয়ে তাদেরকে তা’লীম মুবারক দান করতেন।
হযরত ছুহায়রা রহমতুল্লাহি আলাইহা নামে এক তাবেয়ী মহিলা বলেন, আমি একবার হজ্জ হতে প্রত্যাবর্তন করে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাক্ষাত করতে গেলাম। আমি দেখলাম বহু সংখ্যক মহিলা উনার নিকটে বসা। এমনকি সুদুর কূফা নগরী হতেও অনেক মহিলা এসেছেন। তারা উনাকে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করছিলেন এবং তিনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সেসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। হযরত ছুহায়রা রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনিও এই একই উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (মসনদে আহমদ)
মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের হিসাব মতে উনার কাছ থেকে ১০টি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা পেয়েছেন। ইহা রাবীদের বর্ণনা অনুযায়ী উনার বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সংখ্যা, নতুবা উনাদের চাল চলন, আচার ব্যবহার সবই পবিত্র হাদীছ শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। বহু দূর দূরান্তর থেকে অনেক মহিলা তা’লীম গ্রহণ করার জন্য উনার নিকট আগমন করতেন। হিজরী ৭ম সনে খায়বর বিজয়ের পরে তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হন। দেখা যায় হিজরী ৫০ সনে তিনি উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা পর্যন্ত প্রায় ৪৩ বছর উম্মুল মু’মিনীন হিসাবে তিনি সকল মহিলাদের তা’লীম তালক্বীনে ব্যাপৃত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
(সূত্র: উসুদুল গবা, ইছাবা, যারকানী, তাবাকাত, আসাহহুস সিয়ার, দৈনিক আল ইহসান শরীফ)
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনবী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মালিকাতুল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র জীবনী মুবারক
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালিকাতুল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র জীবনী মুবারক
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (৩)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (২)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (১)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার জীবনী মুবারক
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী (২)
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী (১)
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)