ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ
ইসলামী আক্বীদা ও গুরুত্ব
, ২০ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আক্বায়িদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
হে মানুষেরা, ইনসানেরা, জিনেরা তোমরা সকলেই জেনে রাখো-
مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ
কোন জিনিস তোমাদেরকে যিনি দয়ালু গফফার সাত্তার মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে ফিরিয়ে দিলো, উনার সম্পর্কে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিলো-
الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ
যিনি তোমাদেরকে সুবিন্যস্ত ছূরতে, উত্তম ছূরতে, উত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করলেন। যে ছূরত মহান আল্লাহ পাক তিনি পছন্দ করে থাকেন।
কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে উত্তমভাবে পছন্দনীয় ছূরতে, আকার-আকৃতিতে সৃষ্টি করলেন। যিনি এতো কিছু তোমাদেরকে দান করলেন সেই দয়ালু, রহমান, রহীম, গফফার, সাত্তার মহান আল্লাহ পাক উনার সম্পর্কে কে তোমাদেরকে ধোকায় ফেললো?
তোমরা কেন গইরুল্লাহ’র পেছনে ধাবিত হচ্ছো? মহান আল্লাহ পাক উনার যে আদেশ-নির্দেশ মুবারক রয়েছে তা কেন তোমরা পালন করছো না? মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট সেটা জানিয়ে দিলেন, বলে দিলেন। একজন মুসলমান পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা শরীফ ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের উপর থাকবে। সে যদি সরে যায়, সে কিন্তু ঈমানদার থাকতে পারবে না।
এখন উলামায়ে ‘সূ’দের ফতওয়া শুনে কেউ যদি এই সমস্ত হারাম কাজগুলো করে, একটা হারাম কাজও করে সে কিন্তু রেহাই পাবে না।
সম্মানিত শরীয়তে সাব্যস্ত একটা হালালকে হারাম করলেও সেটা কুফরী হবে, ঈমান নষ্ট হবে, সে মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আমি যেটা অনেকবার বলেছি।
আজকাল মানুষ হালাল খাওয়ার পরও, সৎভাবে জীবন-যাপন করার পরও সমস্তকিছু ঠিক থাকার পরও তার সন্তান কিন্তু অবৈধ হয়ে যেতে পারে।
কিভাবে সে অবৈধ হবে? একটা লোক সবদিক থেকে ভালো, কোন খারাপি তার মধ্যে নেই। সে চুরি করেনা, ডাকাতি করে না, সে ঘুষ খায়না, সুদ খায়না, কোন অবৈধ কাজ সে করে না, মুছল্লী, নামাযী সব। এরপরও তার সন্তান কিন্তু বৈধতার বাইরে চলে যেতে পারে। সেটা কিভাবে? মহান আল্লাহ পাক না করুন, কেউ যদি কোন হারাম কাজ দেখে, গান-বাজনা শুনে, খেলাধুলা দেখে বলে, বর্তমানে এটা প্রয়োজন আছে। নাউযুবিল্লাহ! এতটুকু বললেই যথেষ্ট। কোন কুফরীকে সমর্থন করলেই তার ঈমানটা নষ্ট হয়ে যাবে।
সে নিজেও জানবে না, তার আহলিয়াও জানবে না, তাদের অজান্তেই ঈমানটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। সেতো জানে না, তার আহলিয়াও জানে না। এখন তারাতো ঘর-সংসার করবে। তাদের পরবর্তী যারা আল-আওলাদ, বংশধর যারা আসবে, তারাতো একজনও বৈধ হবে না। কারণ, সেতো বৈধতা নষ্ট করে ফেলেছে। তার বিবাহ দোহরানো উচিত ছিলো।
সেতো নিজেই জানে না, দোহরাবে কেন? তার অজান্তে সে কুফরী করে যাচ্ছে, হারাম কাজ করে যাচ্ছে, তাহলে এই সন্তানগুলি কি করে বৈধ হতে পারে। আর এই সন্তান যারা বৈধ হবে না, এরাই কিন্তু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে, মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বিরুদ্ধে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে বলবে এবং এরাই বলে যাচ্ছে।
এখন এই যে উলামায়ে ‘সূ’রা এতো কিছু করে যাচ্ছে। এটাতো আশ্চর্যের বিষয়! আমাদের দেশে ৯৮% মুসলমান এই প্রায় ৯৮% মুসলমানের মধ্যে কি করে সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ কাজগুলো জারি থাকতে পারে? কি করে একজন মুসলমান বেপর্দা হতে পারে, কি করে একজন মুসলমান খেলাধুলা দেখতে পারে, কি করে একজন মুসলমান ছবি তুলতে পারে? কি করে একজন মুসলমান টিভি চ্যানেলে মশগুল থাকতে পারে? একজন মুসলমান গণতন্ত্র করতে পারে? তন্ত্র-মন্ত্র এ সমস্ত করতে পারে, এটা কি করে সম্ভব?
এটাতো কঠিন বিষয়! যেখানে ৯৮% মুসলমান আমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মানি, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মানি তাহলে আমাদের কথাগুলি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে রুজু না হয়ে কি করে কাফিরদের দিকে রুজু হয়ে গেলো, আমরা কি করে সেদিকে ফিরে গেলাম এটা আমাদের ফিকির এবং চিন্তার বিষয়। (অসমাপ্ত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ক্বদমবুছী বা পদচুম্বন খাছ সুন্নত মুবারক; বিদয়াত-শিরক বলা কুফরী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কে সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা পালন করা ফরজ এবং ছবি তোলা হারাম
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বদ মাযহাব, বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব- ৬
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
১২ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
০৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তেবা করা ব্যতীত কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাওয়া যাবে না
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)