চার মাযহাবের ইমাম উনাদেরকে বিশেষ নিয়ামত মুবারক হাদিয়া
, ১৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ
(অর্থাৎ) শুনতে হবে, মানতে হবে। তাহলে তুমি ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ লাভ করবে, তাকমীলে পৌঁছবে। অন্যথায় কিভাবে পৌঁছবে? তোমার ভিতর শয়তান ঘুরঘুর করে, তুমি অনেক কিছু হাতি-ঘোড়া-মহিষ হয়ে গেছো। অনেক শিখে ফেলেছো! অনেক বড় ওলীআল্লাহ হয়ে গেছো! শয়তান ঢুকেছে তোমার ভিতর।
এখন সে যদি ইমাম-মুজতাহিদ পর্যন্ত আটকে থাকে, তাহলে সে ছুটতে পারবে না। যেমন একটা ঘটনা। এটা আসলে তোমাদের আক্বীদাহ্ শুদ্ধ রাখবে। বেশ কিছু দিন আগের কথা। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে এক স্থানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। একটি বড় বিল্ডিং। অনেক বড় বিল্ডিং! সেখানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। ওখানে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দেখি, সেখানে চার মাযহাবের চারজন ইমাম উনারা আছেন। চারজন চারটা বিছানায় শুয়ে আছেন। প্রথম ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, দ্বিতীয় হযরত শাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি। এরপর উনারা বাকীরা। সবাই তো মনে হয় মৃতপ্রায়। ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিষয়টা একটা বাচ্চা শিশুর মতো। প্রথম উনি। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে বাচ্চা শিশুর কাপড়-চোপড় যেভাবে পাল্টায় ঠিক ঠাক করে, তেমন সব ঠিক ঠাক করে দিলে উনি যুবক খুব সুন্দর হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
দ্বিতীয় ইমাম শাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি শুয়া আছেন। উনি সেলোয়ার কামিজ পরে শোয়া। গায়ে কোনো চাদর পরা নেই। উনি অনেক শুকনা মনে হলো। স্যালাইনের রুগি যেমন শুকনা থাকে, উনাদের বাকীরাও ওরকম অনেকটা। এরপর উনাদেরকেও করা হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মোটামটি একটা অবস্থা দেওয়া হলো। এর মধ্যে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। মূল ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি সবচেয়ে শক্তিশালী যুবক হলেন। আর উনারা মোটামটি একটা অবস্থায় আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) দেখা গেলো উনাদের কোনো খাদিম-খুদ্দাম কেউ নেই। আর শারীরিক দিক থেকে শরীর অনেক শুকনা ও দূর্বল। স্যালাইনের রুগি না বললেও কাছাকাছি। পরে মোটামোটি একটা অবস্থায় পৌঁছেছেন। এরকম অনেক ঘটনা আছে। একখানা ঘটনা মুবারক বললাম।
এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি একেক জনকে দিয়ে একেক জনের কাছে ফায়দা পৌঁছান। এটা আগের পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত না।
এ রকম আরো অনেক বড় বড় ওলীআল্লাহ উনাদের অনেক ঘটনা মুবারক আছে।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مَنْ يُّـرِدِ اللهُ بِهٖ خَيْـرًا يُّـفَقِّهْهُ فِــى الدِّيْنِ وَاِنَّـمَا اَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُـعْطِىْ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যার ভালাই চান, তাকে দ্বীনের ছহীহ সমঝ দান করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদিয়া মুবারক করেন, আর আমি বন্টনকারী।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
এটার অনেক অর্থ। এটা সৃষ্টির শুরু হতে শেষ পযর্ন্ত সংযুক্ত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ঐটার অন্তর্ভুক্ত যদি কেউ হতে পারেন, উনার দ্বারা কাজগুলো মহান আল্লাহ পাক তিনি নেন, উনার দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাজগুলো নেন। কারণ নেয়ামতটা যেতে তো একটা রাস্তা লাগবে। যাবে কোন্ দিক দিয়ে? এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত। ওখানে সংযুক্ত হতে পারলে, ওখান থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি যাকে দান করেন, উনার মাধ্যম দিয়ে ছড়িয়ে দেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন উনারা যাই হন।
وَاِنَّـمَا اَنَا قَاسِمٌ
(অর্থাৎ) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বন্টন করেন। উনি তো বন্টন করেন। মালিক অনেক সময় সরাসরি না দিয়ে, মধ্যস্থতা দিয়ে দেন।
মানুষের আক্বীদাহ্ নষ্ট হয়ে গেছে। আমল নষ্ট হয়ে গেছে। যিকির নেই, ফিকির নেই। অন্তর গালিজে ভরা। অন্তরে তো কিছু নেই। বুঝবে কিভাবে? দেখোনা আমরা যা বলি এগুলি বুঝে কেউ? কেউ তো বুঝে না। আরো উল্টো বুঝে? উল্টো বুঝে একটা আব্দুল উজ্জা হয়ে যায়। কোনটা আব্দুল উজ্জার শাগরিদ হয়ে যায়।
সবাই সবটা বুঝে না। একটা কথার প্রসঙ্গে আমি বলছিলাম যে, যারা অতীতে মুজাদ্দিদ হয়ে গেছেন, উনারাই আমার পক্ষ থেকে কাজগুলি আনজাম দিবেন। এই যে বিষয়গুলো- এই বিষয়গুলো বুঝবে কিভাবে? সেগুলো আনজাম দেয়ার জন্যই তো অনেকে আসছেন, করছেন। এখন মানুষ এটা বুঝবে কিভাবে?”
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি।
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (১)
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিআম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাতহ মুবারক উনার বরকত ও ফযীলত (২)
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিআম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাতহ মুবারক উনার বরকত (১)
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)