দ্রব্যমূলের বাজারে উর্ধ্বগতি:
এখনই বেগুন ১০০, রোজায় কী হয় আল্লাহ পাক জানেন!
-ভরা মৌসুমেও বাজারে ৫০ টাকার নিচে সবজি নেই -‘গরিবের মাছ’ তেলাপিয়া-পাঙাশও নাগালের বাইরে
, ২১ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) দেশের খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিম, কপি ও বেগুনসহ শীতকালীন নানা সবজিতে ভরপুর বাজার। অবশ্য দাম দেখে কোনোভাবেই বোঝার কোনো উপায় নেই যে, এটা সবজির মৌসুম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুলা, পেঁপে ও শালগম ছাড়া কোনো সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। অন্যান্য দিনে মুলা কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও জুমুয়াবারের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
গতকাল জুমুয়াবার রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে সবজির দামের এই চিত্র দেখা গেছে।
শুধু সবজিই নয়, গরিবের মাছ খ্যাত পাঙাশ ও তেলাপিয়া এবং চাষের কইসহ সব ধরনের মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী।
বাজার করতে আসা কামরুল ইসলাম নামের এক চাকরিজীবী বলেন, বাজারে এলে অতিরিক্ত দামের কারণে কোনো মাছই কেনা যায় না। গরিবের মাছ তেলাপিয়া, পাঙাশ, চাষের কইয়ের দামও চড়া। আর অন্য কোনো মাছ কেনার কথা ভাবাই যায় না। এখন পাঙাশ মাছও ২২০/২৪০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়।
মাসুদুর রহমান নামের এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, বাজারে সবচেয়ে কম দামের মাছ ও এখন বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। দর-দাম করে সবশেষে তেলাপিয়া মাছ কিনলাম... তাও ২২০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে আসন্ন রমজানে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকারি সংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়। তবু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
বিক্রেতাদের দাবি, রোজা সমানে রেখে পণ্যের দাম বাড়ছে দ্রুত গতিতে। মূলত মিল পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে দাম। মিল মালিকদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে রোজায় দাম আরও বাড়তে পারে।
রোজার এখনও বাকি প্রায় মাস দেড়েক। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে আটা-ময়দা, ডাল-ছোলা ও চিনির দাম। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। ছোলার পাশাপাশি বাড়ছে অন্যান্য ডালের দামও। গত এক মাসের মধ্যে এসব পণ্যের দাম ১০-৩০ টাকা বেড়েছে।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।
আর আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পরও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা জানান, রোজাকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। সরকার তাদের ওখানে অভিযান চালায় না। মিলগুলোতে অভিযান চালালে পণ্যের দাম এমনিতেই কমে যাবে।
আর খুচরা বিক্রেতা সালাম জানান, পণ্যের দাম খুচরা বিক্রেতাদের হাতে নেই। বাড়তি দামে কেনায়, বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
রাজধানীর ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। গত এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে খেজুরের চাহিদা। এতে বাড়ছে দামও।
দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারেও। গত এক মাসের ব্যবধানে এলাচ-লবঙ্গের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। গোলমরিচ, দারুচিনির দামও বাড়তি। এর কারণ জানেন না খোদ বিক্রেতারাও।
এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। তবে বাজারে দেখা নেই পুরাতন দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও সেটি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৬০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আড়ত পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।
এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে আদা-রসুনের।
আল-আমিন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। রোজার আগেই সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এখনই বেগুনের কেজি ১০০ টাকা, রোজায় কী অবস্থা হয় আল্লাহ জানেন! দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তদের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে যাবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সকল প্রকার সুন্নতী সামগ্রী সংগ্রহ করুন
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রংপুরের মুসলমান ছাত্র ও জনসাধারণের সমাবেশে দেশ ও জাতির কল্যাণে ৮ দফা দাবী
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তরুণ সমাজের ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের নামে বিপুল অর্থের অপচয় ও আত্মসাৎ হয়েছে
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
অজ্ঞাতস্থান থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি-সেক্রেটারির বিবৃতি
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার অভিযোগ
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রকল্প বাস্তবায়নে অপচয় রোধ করুন -নাহিদ ইসলাম
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই রাষ্ট্রপতির কাছে
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রাষ্ট্রপতির কোথায় থাকা দরকার, তা ছাত্রসমাজ নির্ধারণ করবে -সারজিস
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রাজনীতির চেয়ে বেশি সংকটে অর্থনীতি -আবদুল আউয়াল মিন্টু
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের ভূমিকা নেই -হাসনাত আব্দুল্লাহ
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
এখনই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে -রিজভী
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্দোলনে নিহত পুত্রকে খুঁজতে গিয়ে চাকুরি হারালেন পিতা
২২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)