উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনার একখানা মহাসম্মানিত বিশেষ স্বপ্ন মুবারক
, ২৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ১১ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
فرأت أنّ القمر وقع في حجرها وقيل رأت الشمس وقعت على صدرها وقصّتها علي أبيها أو زوجها فلطمها وقال أتريدين ملك يثرب وفي رواية ما تمنين إلا هذا الملك الذى نزل
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি একবার স্বপ্ন মুবারকে দেখলেন যে আকাশের চাঁদখানা উনার মহাসম্মানিত নূরুল আযহার মুবারকে (কোল মুবারকে) তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! অন্য বর্ণনা রয়েছেন- তিনি স্বপ্ন মুবারকে দেখেছেন আসমানের সূর্যখানা উনার মহাসম্মানিত নূরুল ইলিম মুবারকে (বক্ষ মুবারকে) তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি এই স্বপ্ন মুবারকখানা উনার পিতা বা আহালের নিকট বর্ণনা করলে, উনার পবিত্র নূরুল আনওয়ার মুবারকে (গাল মুবারকে) স্বজোড়ে একটা আঘাত করে বলে যে, আপনি কি সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার মালিক (বাদশাহ) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে (আপনার জাওযুম মুকাররম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে পাওয়ার) প্রত্যাশা করতেছেন? অপর বর্ণনায় রয়েছেন, নিশ্চয়ই আপনি খায়বার বিজয়ের জন্য যিনি এখানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে (জাওযুম মুকাররম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে) পাওয়ার তামান্না মুবারক করছেন। ” (নিহায়াতুল ঈজায ফী সীরতি সাকিনিল হিজায)
অপর বর্ণনায় রয়েছে-
وكانت صفية رأت قبل ذلك أن القمر وقع في حجرها فذكرت ذلك لأبيها فلطم وجهها وقال إنك لَتَمُدِّيْنَ عُنُقَكِ إِلى أنْ تَكُوْنِي عِنْدَ مَلِكِ الْعرب فلم يزل الأثر في وجهها حتى أتى بها صلى الله عليه وسلم فسألها عنه فأخبرته
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি খায়বর বিজয়ের পূর্বে স্বপ্ন মুবারক দেখেন যে, আকাশের চাঁদখানা উনার নূরুল আযহার মুবারকে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন তিনি উনার স্বপ্ন মুবারকখানা উনার পিতার নিকট বর্ণনা করলেন। (উনার পিতা হুইয়াই ইবনে আখ্ত্বব ছিলো স্বপ্নের বিশিষ্ট তা’বীরবীদ)। উনার পিতা স্বপ্ন মুবারকখানা শুনে উনার নূরুর রহমত মুবারকে (মহাসম্মানিত চেহারা মুবারকে) স্বজোড়ে একটা থাপ্পড় মারে এবং বলে যে, নিশ্চয়ই নিঃসন্দেহে আপনি নিজেকে আরব উনার যিনি মালিক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সপে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত নূরুর রহমত মুবারক থেকে থাপ্পড়ের এই চিহ্ন মুবারক কখনও দূর হয়নি। (মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত উনার মহাসম্মানিত নূরুর রহমত মুবারকে চিহ্ন মুবারক ছিলেন। ) উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারকে তাশরীফ মুবারক আনেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করেন যে উনার চেহারা মুবারকে এটা কিসের চিহ্ন? তখন তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বিষয়টি খুলে বললেন। ” (শরহুয যারক্বানী ৩/২৭২-২৭৩)
মূলত যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এই স্বপ্ন মুবারক উনার মাধ্যম দিয়ে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে এই বিষয়ে সুসংবাদ মুবারক হাদিয়া করেছেন যে, আপনি অতিশীঘ্রই যিনি সারা কায়িনাতের মালিক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবতে আযীমাহ মুবারক উনার মাধ্যমে উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম হতে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! আর এই স্বপ্ন মুবারক উনার মাধ্যমে যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা পূর্ব মনোনীত। যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে হযরত উম্মহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম হিসেবে এবং সমস্ত কায়িনাতের মালিক হিসেবে পবিত্র করার মত পবিত্রতম করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আবূ আহমাদ ছিদ্দীক্বাহ্।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১২)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ শরীফ
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মুহব্বতপূর্ণ সম্পর্ক মুবারক
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১২)
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক এবং খুশি মুবারক প্রকাশ
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১১)
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রচিত সম্মানিত কবিতা বা ক্বাছীদাহ্ শরীফ
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যারা জীবতি আছ, তাদরে দায়ত্বি হলো- মুসলমানদরে পক্ষে দো‘আ করা। কাফরেদরে বরিুদ্ধে কঠনি বদ দো‘আ করা
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১০)
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক অবমাননাকারীদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(৯)
২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)