আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক
, ০৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৭ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৭ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন সেই সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক যিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর থেকে সুদীর্ঘ সময়ব্যাপী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! একজন মমতাময়ী মা উনার একমাত্র সন্তানকে যেমন মুহব্বত করেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তার চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি মুহব্বত মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ সন্তুষ্ট হয়ে ইরশাদ মুবারক করেছেন,
رَحِـمَكِ اللهُ يَا اُمِّىْ كُنْتِ اُمِّىْ بَعْدَ اُمِّىْ وتُشْبِعِيْـنِـىْ وَتَعْرَيْنَ وتُكْسِيْـنِـىْ وَتَـمْنَعِيْـنَ نَفْسَكِ طَيِّبًا وَتُطْعِمِيْـنِـىْ تُرِيْدِيْنَ بِذٰلِكَ وَجْهَ اللهِ وَالدَّارَ الْاٰخِرَةَ
অর্থ: “হে আমার মহাসম্মানিত মাতা আলাইহাস সালাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার প্রতি সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করুন। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার পরে আপনি ছিলেন আমার মহাসম্মানিত মাতা আলাইহাস সালাম। আপনি নিজে শূণ্য থেকে আমাকে পরিতৃপ্ত করতেন, আপনি নিজে ভালো কিছু না পরে আমাকে পরাতেন এবং নিজে ভালো কিছু না খেয়ে আমাকে খাওয়াতেন। এই কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক এবং পরকাল লাভের আশা করতেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারনী ১৮/৮২)
তিনি ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক। উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ! আর উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা সুস্পষ্ট কুফরী। না‘ঊযুবিল্লাহ!
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফত্বিমাহ্ আলাইহাস সালাম’। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু ত্বালিব আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু ইমামিল আউওয়াল আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাদ্বিনাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ‘আম্মাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম ইত্যাদি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ লক্বব মুবারক উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম) উনার আপন ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত আসাদ ইবনে হাশিম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মেয়ে। অর্থাৎ খাজা আবূ ত্বালিব তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা উভয়ে ছিলেন আপন চাচাতো ভাই বোন। তিনি উনার পিতার দিক থেকে দ্বিতীয় পুরুষ সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম ইবনে আবদু মানাফ আলাইহিস সালাম উনার সাথে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন একদিকে উনার মহাসম্মানিত শ্বশুর এবং অন্য দিকে মহাসম্মানিত আপন চাচা। সুবহানাল্লাহ!
উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান হচ্ছেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ্ বিনতে হারিম আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার দিক থেকে তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশের আমিরী শাখার। মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার দিক থেকে তিনি ৮ম পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ২০ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর মহিলাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনিই সর্বপ্রথম সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এমনভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতেন, যেমন একজন মানুষের বুক তার অন্তরকে রক্ষা করে এবং মানুষের চোখের পাঁপড়ি যেমন চোখ দুটিকে রক্ষা করে। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বিশেষভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া শুরু করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার খাওয়ার পর উনার জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি আরেক বারের খাবার রেখে দিতেন এবং খাবার মুবারক গ্রহণ করার জন্য বার বার তাকীদ করতেন। তাছাড়া সার্বিক বিষয়েও তিনি অত্যন্ত মুহব্বত সহকারে দেখা-শুনা করতেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিতেন। সুবহানাল্লাহ!
বিশেষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর খাজা আবূ ত্বালিব তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা দুজনই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত মনোযোগী হন। খাবারের সময় হলে খাজা আবূ ত্বালিব তিনি সবসময়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য অপেক্ষা করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর সর্বপ্রথম তিনি খাবার মুবারক গ্রহণ করতেন, অতঃপর উনারা সবাই খাবার গ্রহণ করতেন। খাজা আবূ ত্বালিব উনার পরিবারের লোকজন উনারা দেখতে পান যে, উনারা যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে খাবার খান, তখন উনাদের খাবারে অনেক বরকত হয়। সুবহানাল্লাহ! খাজা আবূ ত্বালিব উনার অনেক আওলাদ ছিলেন, উনারা যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে খাবার মুবারক গ্রহণ করতেন, তখন সবাই পেট ভরে তৃপ্তিসহকারে খাওয়ার পরেও খাবার অতিরিক্ত থেকে যেতো। সুবহানাল্লাহ! এক পেয়ালা দুধ মুবারক থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রথমে পান করতেন, তারপর উনারা সবাই তৃপ্তিসহকারে পান করতেন। যদিও স্বাভাবিকভাবে উনাদের একজনই সেই পূর্ণ পেয়ালাটি শেষ করে ফেলতে পারতেন। এজন্য খাজা আবূ ত্বালিব তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলতেন,
اِنَّكَ لَـمُبَارَكٌ
অর্থ: “নিশ্চয়ই আপনি অত্যন্ত বরকতময়। ” সুবহানাল্লাহ! (‘উয়ূনুল আছার ১/৫১, খ¦ছাইছুল কুবরা ১/১৩৯, আস সীরতুল হালাবিয়্যাহ্ ১/১৮৯, আস সীরতুন নুবুবিয়্যাহ্ লি ইবনে কাছীর ১/২৪২, দালাইলুন নুবুওওয়াহ্ লি আবী না‘ঈম আল ইছবাহানী ১/১২২, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ২/১৩৫ ইত্যাদি)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবসময় নিজের সন্তানের থেকেও অধিক মুহব্বত মুবারক করতেন এবং সার্বিকভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে ‘উম্মী বা’দা উম্মী’ বলে সম্বোধন মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে দায়িমীভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার জন্য নির্দেশ মুবারক দিতেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রথম দিকে যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার চত্বরে নিয়মিত সম্মানিত ছলাত মুবারক আদায় করতেন, তখন ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি অর্থাৎ উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাহারা দিতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ থেকে বের হলে উনারা দুজন সর্বক্ষণ উনার সঙ্গে থাকতেন। একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ থেকে বের হয়েছেন, তখন খাজা আবূ ত্বালিব তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে ডেকে পেলেন না। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, আমি উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যেতে দেখেছি। তখন খাজা আবূ ত্বালিব তিনি খুঁজতে খুঁজতে শি‘আবে আবী ত্বালিব-এ গিয়ে দেখতে পান যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ছলাত মুবারক আদায় করছেন আর সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে পাহারা দিচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক করতেন। তিনি প্রায় সময় উনাকে দেখার জন্য উনার সম্মানিত হুজরা শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিতেন এবং মাঝে মাঝে দুপুরে সেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বায়লুলা মুবারকও করতেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রায় সময় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে বিভিন্ন বিষয় সম্মানিত হাদিয়া মুবারক পাঠাতেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বওয়া মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লেবাস মুবারক অর্থাৎ একখানা মহাসম্মানিত জামা মুবারক) দিয়ে উনাকে কাফন মুবারক দিয়েছেন, উনার সম্মানিত জানাযা নামায মুবারক পড়িয়েছেন এবং সম্মানিত জানাযা নামায মুবারক উনার মধ্যে ৭০টি তাকবীর মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে নেমে সেখানে শুয়েছেন এবং উনার নেক আমল মুবারকসমূহ উনাদের কথা উল্লেখ করে উনার প্রশংসা মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
فَلَمَّا خَرَجُوْا بِـهَا جَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّةً يَّـحْمِلُ وَمَرَّةً يَّــتَقَدَّمُ وَمَرَّةً يَّــتَاَخَّرُ حَتّٰـى اِنْتَهَيْنَا اِلَـى الْقَبْـرِ فَتَمَعَّكَ فِـى اللَّحْدِ ثُـمَّ خَرَجَ فَقَالَ اَدْخِلُوْهَا بِاسْمِ اللهِ وَعَلَى اسْمِ اللهِ فَلَمَّا اَنْ دَفَنُوْهَا قَامَ قَائِمًا فَقَالَ جَزَاكِ اللهُ مِنْ اُمٍّ وَرَبِيْبَةٍ خَيْرًا فَنِعْمَ الْاُمُّ وَنِعْمَ الرَّبِيْبَةُ كُنْتِ لِــىْ قَالَ فَقُلْنَا لَهٗ اَوْ قِيْلَ لَهٗ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ صَنَعْتَ شَيْئَيْـنِ مَا رَاَيْنَاكَ صَنَعْتَ مِثْلَهُمَا قَطُّ قَالَ مَا هُوَ قُلْنَا بِنَزْعِكَ قَمِيْصَكَ وَتَـمَعُّكِكَ فِـى اللَّحْدِ قَالَ اَمَّا قَمِيْصِىْ فَاَرَدْتُّ اَلَّا تَـمَسَّهَا النَّارُ اَبَدًا اِنْ شَاءَ اللهُ وَاَمَّا تَـمَعُّكِـىْ فِـى اللَّحْدِ فَاَرَدْتُّ اَنْ يُّوَسِّعَ اللهُ عَلَيْهَا قَبْرَهَا
অর্থ: “যখন লোকজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখার জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক নিয়ে বের হলেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাটিয়া মুবারক বহন করেন। একবার খাটিয়ার সামনে যান, আরেকবার পিছনে আসেন। এভাবে তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছেন। তারপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়ে গড়াগড়ি দিয়ে উপরে উঠে আসেন। তারপর ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক নিয়ে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক-এ আপনারা উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখুন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখার কাজ শেষ হওয়ার পর তিনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ইরশাদ মুবারক করেন,
جَزَاكِ اللهُ مِنْ اُمٍّ وَرَبِيْبَةٍ خَيْرًا فَنِعْمَ الْاُمُّ وَنِعْمَ الرَّبِيْبَةُ كُنْتِ لِــىْ
‘আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা এবং প্রতিপালনকারিণী! মহান আল্লাহ পাক আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন! আপনি ছিলেন আমার জন্য একজন অতি উত্তম মা এবং অতি উত্তম প্রতিপালনকারিণী। ’ সুবহানাল্লাহ! হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, আমরা উনাকে বললাম বা উনাকে বলা হলো- ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি এখানে এমন দুটি কাজ করেছেন, আমরা কখনো আপনাকে এ ধরণের কাজ করতে দেখিনি। তিনি জিজ্ঞাসা মুবারক করলেন, সেই দুটি কাজ কি? আমরা বললাম- আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত্ তাক্বওয়া মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র লিবাস মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত জামা মুবারক) দেওয়া এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে গড়াগড়ি দেওয়া। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত্ তাক্বওয়া মুবারক উনার বিষয় হচ্ছেন, আমি উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত্ তাক্বওয়া মুবারক দিয়েছি, মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছায় অবশ্যই এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত্ তাক্বওয়া মুবারক উনার বদৌলতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে কখনো জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে আমার গড়াগড়ি দেওয়া- আমি চেয়েছি মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ প্রশস্ত করে দেন। ” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল মদীনা লিইবনে শাব্বাহ্ ১/১২৪)
উনার মাধ্যমে খাজা আবূ ত্বালিব উনার যে সকল আওলাদ উনারা দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক আনেন, উনারা হচ্ছেন- (১) সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বালিব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, (২) সাইয়্যিদুনা হযরত আক্বীল রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, (৩) সাইয়্যিদুনা হযরত জা’ফর ত্বইয়্যার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, (৪) ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা। (আর উনার মেয়ে আওলাদ হচ্ছেন-) (১) সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি, (২) সাইয়্যিদাতুনা হযরত জুমানাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি এবং (৩) সাইয়্যিদাতুনা হযরত রইত্বহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি অর্থাৎ উনারা। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/২২২)
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ-এ। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণনাকারীগণ ৪৬ খানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ সংগ্রহ করতে পেরে নিজেদেরকে ধন্য করতে পেরেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি ৬ষ্ঠ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে জুমাদাল ঊলা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবরক প্রকাশ করেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাওয়ানেহ্ উমরী মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক জানার, উনাকে সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার, মুহব্বত মুবারক করার এবং উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মালিকাতুল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র জীবনী মুবারক
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালিকাতুল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র জীবনী মুবারক
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সীরত মুবারক
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (৩)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (২)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বায়াহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সীরত মুবারক (১)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার জীবনী মুবারক
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী (২)
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী (১)
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)