আল বাশীর, আল বুরহান, আল বাদরুল মুনীর, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক আসমানে
, ১২ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لـما افترى ادم عليه السلام الخطيئة قال يا رب اسالك بحق محمد صلى الله عليه وسلم لـما غفرت لى فقال الله يا ادم عليه السلام كيف عرفت محمدا صلى الله عليه وسلم ولـم اخلقه قال يا رب لـما خلقتنى بيدك ونفخت فى من روحك رفعت راسى فرايت على قوائم العرش مكتوبا لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم فعلمت انك لـم تضف الى اسمك الا احب الخلق اليك فقال الله صدقت يا ادم عليه السلام انه لاحب الخلق الى ادعنى بحقه فقد غفرت لك ولو لا محمد صلى الله عليه وسلم ما خلقتك. هذا حديث صحيح الاسناد.
অর্র্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্র্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া কবুলের সময় হলো তখন তিনি দোয়া করলেন, হে আমার রব! আমি আপনার কাছে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম উনার ওসীলায় প্রার্থনা করছি। অতএব আমার দোয়া কবুল করুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি কিভাবে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চিনলেন, এখনো তো উনাকে যমীনে প্রেরণ করিনি। জাওয়াবে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হে আমার রব! আপনি যখন আমাকে আপনার কুদরতী হাত মুবারক-এ তৈরি করে আমার মধ্যে রূহ ফুকে দেন তখন আমি আমার মাথা উত্তোলন করে আরশের খুঁটিসমূহে লিখিত দেখতে পাই- “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” ‘আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ বা মাবূদ নেই, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার রসূল’ তখন আমি বুঝতে পারলাম, আপনার নাম মুবারক-এর সাথে যাঁর নাম মুবারক সংযুক্ত আছে, তিনি সৃষ্টির মধ্যে আপনার সবচেয়ে মুহব্বতের হবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি সত্য কথাই বলেছেন। কারণ তিনি সৃষ্টির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে মুহব্বতের। হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আয় আল্লাহ পাক! উনার ওসীলায় আমার দোয়া কবুল করুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমি আপনার দোয়া কবুল করলাম। যদি আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি না হতেন তাহলে আমি আপনাকেও সৃষ্টি করতাম না। সুবহানাল্লাহ! এ হাদীছ শরীফখানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ। (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪র্থ খ- ১৫৮৩ পৃষ্ঠা)
‘খাছায়িছুল কুবরা’ ১ম খ- ১২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আসাকির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত কা’বুল আহবার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার নিকট সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সমসংখ্যক লাঠি মুবারক নাযিল করেন। অতঃপর হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার প্রিয় ছেলে হযরত শীশ আলাইহিস সালাম উনার কাছে (ওই লাঠি মুবারকসমূহ) দেন। অতঃপর হযরত আদম আলাইসি সালাম তিনি বলেন, আমার সম্মানিত প্রিয় ছেলে (হযরত শীশ আলাইহিস সালাম)! আপনি আমার পরে আমার খলীফা অর্থাৎ আপনি নবী আলাইহিস সালাম হবেন। কাজেই আপনি তাক্বওয়াকে অবলম্বন করবেন এবং মজবুতভাবে পরহেযগারী অবলম্বন করবেন। আর যখনই আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক উচ্চারণ করবেন সাথে সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকও উচ্চারণ করবেন। কেননা আমি উনার নাম মুবারক আরশে আযীমের স্তম্ভে ওই সময় লিখিত দেখেছি যখন আমি রূহ মুবারক ও মাটি অবস্থায় ছিলাম। অতঃপর আমি সমস্ত আসমানে ছফর করেছি এমন কোন স্থান নেই যেখানে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লিখিত দেখতে পাইনি। অর্থাৎ সমস্ত আসমানেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লেখা দেখেছি। যখন আমার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে জান্নাতে বসবাসের জন্য ব্যবস্থা করলেন তখন আমি জান্নাতে এমন কোন প্রাসাদ দেখিনি যেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লেখা নেই। অর্থাৎ জান্নাতের সমস্ত অট্টালিকা, প্রাসাদ ও প্রত্যেকটা কক্ষ বা রুমের মধ্যেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লিপিবদ্ধ রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! আমি আরও দেখতে পেয়েছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক হুরদের বক্ষে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের চোখের পুতলীতে, তূবা বৃক্ষের পাতায় পাতায়, ছিদরাতুল মুনতাহার পত্ররাজিতে, সমস্ত পর্দাসমূহে এবং সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের চোখের মধ্যে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই আপনি উনার নাম মুবারক-এর অধিক পরিমাণে যিকির করুন। নিশ্চয়ই সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক-এর সদা সর্বদাই যিকির করে থাকেন। ” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করে থাকেন।
হাদীছ শরীফ-এ এসেছে হযরত আবূ নায়ীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘আল হিলইয়া’ গ্রন্থে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, জান্নাতের এমন কোন গাছ নেই যার পাতার মধ্যে লেখা নেই-
لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم
অর্থাৎ “মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আর সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ”
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত যায়িদ বিন হারেছাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৪)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার গুরুত্ব এবং আবশ্যকতা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৩)
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)