মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দীদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১লা তারিখ। সুবহানাল্লাহ! যা মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে পবিত্র মদীনা শরীফে ‘পবিত্র হিজরত মুবারক’ করার মহাসম্মানিত দিবস। সুবহানাল্লাহ!
এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ মাহফিল করে ‘পবিত্র হিজরত মুবারক’ উনার আলোচনা মুবারক করে ইবরত-নছীহত হাছিল করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র হিজরত মুবারক উনার বিষয়টি সমস্ত পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি এ পবিত্র দিবসটি পালনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
, ০১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ সুমহান বরকতময় ঐতিহাসিক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১লা তারিখ- যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে পবিত্র মদীনা শরীফে ‘হিজরত মুবারক’ করার দিবস। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় হিজরত বলা হয়, ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কায় অথবা সম্মানিত দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশত্যাগ করে অন্য কোনো দেশে গমন করা। মূলত, সম্মানিত দ্বীন উনার কারণে কোনো দেশত্যাগ করাও হিজরতের অন্তর্ভুক্ত।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি মহাপবিত্র হিজরত মুবারক উনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা করে বলেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দুশমন কাফির-মুশরিকরা গোপনে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হলো যে, আগামীকাল ভোরবেলা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাপবিত্র হুজরা শরীফ থেকে যখন বাইরে তাশরীফ মুবারক রাখবেন, তখন হঠাৎ হামলা করে উনাকে শহীদ করা হবে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! কাফির-মুশরিকদের এসব গোপন সিদ্ধান্তের কথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানতে পারেন। কারণ তিনি তো ছহিবে মুত্তালা আলাল গইব। অতঃপর সেই প্রতিক্ষিত সময়টি এলো যখন তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে পবিত্র মদীনা শরীফ পবিত্র হিজরত করার বিষয়ে পবিত্র ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে নির্দেশ মুবারক পেলেন। সেই তারিখটি ছিলেন আনুষ্ঠানিক পবিত্র নুবুওয়ত মুবারক প্রকাশের ১৪তম বৎসরের শুরুতে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার ১ তারিখ, লাইলাতুল খামীস। এদিকে পবিত্র হিজরত উনার ছয় (৬) মাস পূর্ব থেকেই তিনি আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে জানিয়ে রাখেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকেও হিজরত করতে হবে। তাই তিনি পূর্ব থেকেই হিজরত করার জন্যে দুটি উষ্ট্রী এবং প্রয়োজনীয় যাবতীয় পাথেয় তৈরি করে রাখেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নির্দিষ্ট রাতে কাফিররা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ ঘেরাও করলো। যখন পবিত্র ওহী মুবারক করা হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হুজরা শরীফ থেকে বাহিরে তাশরীফ মুবারক রাখলেন। সে সময় তিনি ‘পবিত্র সূরা ইয়াসীন শরীফ’ উনার একখানা পবিত্র আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করছিলেন। তিনি এক মুঠো মাটি মুবারক উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ (মুবারক হাতে) নিয়ে ‘শাহাতিল ওয়াজুহ’ (মুখম-ল আচ্ছন্ন হয়ে যাক) এটা পাঠ করে কাফির-মুশরিকদের দিকে ছুঁড়ে মারলেন এবং তাদের ব্যুহ ভেদ করে নির্বিঘেœ বেরিয়ে গেলেন। সে সময় মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক কুদরতে অবরোধকারীরা যেন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলো; ফলে তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র হুজরা শরীফ হতে বেরিয়ে যেতে দেখতে পেলো না। প্রথমে তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার গৃহে গমন করলেন এবং সেখান থেকে উনাকে নিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার বাইরে গিয়ে পবিত্র ছাওর পর্বত গুহায় তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ভোরবেলা কাফির-মুশরিকরা জানতে পেলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে হিজরত মুবারক করেছেন। তারা উনার সন্ধানে চারদিকে ছুটাছুটি শুরু করলো। তারা খুঁজতে খুঁজতে ‘পবিত্র ছাওর’ পর্বতের কাছে গেলো। তাদের পদধ্বনি শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কাফির-মুশরিকরা যদি আমাদেরকে দেখে ফেলে?’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন- “চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। ” মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক কুদরতে গুহামুখে এমন কতকগুলো নিদর্শন মুবারক ফুটে উঠলো যে, তা দেখে কাফির-মুশরিকরা হতভম্ব বা আশাহত হয়ে পড়লো। তাদের মনে ধারণা জন্মালো যে, এ গুহার ভেতরে কেউ প্রবেশ করেননি। তাই তারা ফিরে গেলো। সুবহানাল্লাহ! চার রাত তিন দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ও সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনারা সেখানে অবস্থান মুবারক করেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছওর পর্বত গুহা থেকে বের হয়ে এক রাত এক দিন পথ চললেন। পরদিন দুপুর বেলা বিশ্রাম মুবারকের জন্যে একটি বৃহদাকার পাথরের ছায়ায় উনারা কিছুক্ষণ অবস্থান মুবারক করলেন। অদূরেই একটি গোয়ালা ছিল; তার বকরী থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুধ পান করলেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর সেখান থেকে তিনি আবার রওয়ানা হলেন। তিনি উনার সামনের নূরুদ দারাজাত মুবারক বা পা মুবারক বাড়াতেই হযরত সোরাকা বিন জাশিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে দেখা হলো। তিনি তখনো পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেননি। তিনি পুরস্কারের লোভে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্ধানে বেরিয়েছিলেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে পেয়েই ঘোড়া ছুটিয়ে দিলেন। কিন্তু ঘোড়াটি হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে গেল। তিনি আবার নিজেকে সামলে নিলেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর হামলা করার জন্যে তৈরি হলেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু এবারো সামনে এগুতেই উনার ঘোড়া হাঁটু পর্যন্ত মাটিতে বসে গেল। এবার হযরত সোরাকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শঙ্কিত হয়ে উঠলেন এবং বুঝতে পারলেন। ব্যাপারটা মোটেই সুবিধাজনক নয়। উনার পক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর হামলা করা কিছুতেই সম্ভবপর নয়। তিনি অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়লেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে আত্মসমর্পণ করে ক্ষমা ভিক্ষা চাইলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে ক্ষমা করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আগমন বার্তা পূর্বেই পবিত্র মদীনা শরীফ পৌঁছেছিল। তাই গোটা পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মুবারক শুভাগমনের জন্যে প্রতীক্ষমান ছিলেন। ছোট-বড় সবাই প্রতিদিন সকালে শহরের বাইরে গিয়ে জমায়েত হতেন এবং দুপুর পর্যন্ত ইন্তেজার করে ফিরে আসতেন। অবশেষে একদিন উনাদের সেই প্রতীক্ষিত বরকতময় মুহূর্তটি এসেই পড়লো। দূর থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তাশরীফ মুবারক নেয়ার আলামত দেখে গোটা শহরটি তাকবীর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠলো। প্রত্যেক প্রতীক্ষাকারী হৃদয় উজাড় করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বাগত জানালেন এই বলে যে, “ত্বলায়াল বাদরু আলাইনা, মিন ছানিয়াতিল বিদায়ি। ওয়াজাবাত শুকরু আলাইনা, মাদায়া লিল্লাহি দাঈ। ” সুবহানাল্লাহ! সেই দিনটি ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করার সৌভাগ্য কে লাভ করবেন? এর সমাধান মোটেই সহজসাধ্য ছিল না। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুবারক সমাধান দিয়ে বললেন যে, আমার সম্মানিত উষ্ট্রী যে সৌভাগ্যবান ব্যক্তির গৃহের সামনে দাঁড়াবে, এ খিদমত মুবারক করার সৌভাগ্য তিনিই লাভ করবেন। ’ ঘটনাক্রমে এ সৌভাগ্যটুকু লাভ করলেন হযরত আবু আইয়ুব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! গৃহ মুবারকটি ছিল দ্বিতল বিশিষ্ট। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশ্রাম মুবারকের জন্যে তিনি উপরের তলাটি পেশ করেন। কিন্তু যিয়ারতপ্রার্থীদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিচের তলায় থাকা পছন্দ করলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রায় সাত মাস সেখানে মুবারক অবস্থান করেন। সুবহানাল্লাহ! এটাই হচ্ছেন- পবিত্র হিজরত মুবারক উনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। প্রত্যেকের উচিত উক্ত পবিত্র হিজরত মুবারকের ঘটনা থেকে ইবরত-নছীহত হাছিল করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- শরাব বা মদসহ সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্যই হারাম। অথচ বাংলাদেশে সরাসরি শরাব বা মদ তো বিক্রি হচ্ছেই; এমনকি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের নামেও প্রকাশ্যে শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য চলতে পারে না এবং শরাব বা মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র মসজিদ ও মসজিদের জায়গা উনার একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। সুবহানাল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফে” মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)