حكايات الابرار হিকায়াতুল আবরার বা নছীহতমূলক ঘটনাসমূহ
, ১৩ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১০ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ঘটনা
মানুষ, জ্বিন-ইনসান প্রাধান্য দিয়ে থাকে দুনিয়াকে। যেহেতু সে এটা নগদ পেয়ে থাকে তাই। হাক্বীক্বত পরকাল হচ্ছে- উত্তম এবং স্থায়ী।
এ প্রসঙ্গে মেছাল দেয়া হয়েছে যে- একটা স্বর্ণের কলসী, যার মধ্যে মনি-মুক্তা, হীরা-জহরত রয়েছে। যেটা ভেঙ্গে গেলেও লাভ রয়েছে, না ভাঙ্গলেও লাভ রয়েছে। আর মাটির কলসী, যার মধ্যে রয়েছে- মল-মুত্র। যেটা মুখ বন্ধ অবস্থায়ও তার ক্ষতির কারণ এবং মুখ ভেঙ্গে গেলে আরো বেশী ক্ষতির কারণ। ঠিক পরকাল, সেটা হচ্ছে- সেই স্বর্ণের কলসীর মত, যার মধ্যে মণি-মুক্তা, হিরা-জহরত রয়েছে। যেটা মুখ বন্ধ অবস্থায়ও তার কদর রয়েছে, মর্যাদা রয়েছে, সম্মান রয়েছে, মূল্য রয়েছে। আর মুখ খুলে গেলে আরো তার বেশী ফযীলত সে হাসিল করতে পারবে। আর দুনিয়ার মেছাল হচ্ছে- সেই মাটির কলসী, যার মধ্যে রয়েছে- মল-মূত্র, যেটা মুখ বন্ধ অবস্থায় তার মধ্যে দুর্গন্ধ রয়েছে এবং সেটা ভেঙ্গে গেলে আরো বেশী দুর্গন্ধজনক এবং তার সমস্ত কিছু নষ্ট হয়ে যাবে। যেটা তার ক্ষতির কারণ অপছন্দের কারণ।
কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন- তোমরা দুনিয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছ। হাক্বীক্বত পরকাল হচ্ছে- স্থায়ী এবং উত্তম। আর মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দুনিয়ার কোন মূল্যই নেই, কোন কদরই নেই। সে প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
لو كانت الدنيا تعدل عند الله جناح بعوضة ما سقى كافرا منهاشربا.
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
لو كانت الدنيا تعدل عند الله جناح بعوضة-
“দেখ মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে যদি দুনিয়ার কদর, দুনিয়ার মূল্য অতটুকু হতো, সেই পরিমাণ হতো, কি পরিমাণ?
جناح بعوضة
অর্থাৎ একটা মশার পাখার সমান যদি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দুনিয়ার কদর হতো, তাহলে কি করতেন মহান আল্লাহ পাক?
ما سقى كافرا منها شربا.
অর্থাৎ কোন কাফেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি জমিন থেকে, পৃথিবীর মধ্যে এক ঢোক পানিও পান করাতেন না- যদি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দুনিয়ার মূল্য মাত্র একটা মশার পাখার সমান হতো।
এখন ফিকিরের বিষয় যে, তাহলে বুঝা যাচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে জমিনের (দুনিয়ার) কোন কদরই নেই, দুনিয়াবী হায়াতে জিন্দেগীর কোন দাম নেই, কোন মূল্য নেই। অর্থাৎ দুনিয়ার কোন কদর নেই, যদি হাক্বীক্বত কোন কদরই থাকতো, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই কাফির-মুশরিকদেরকে এক ঢোক পানিও দিতেন না।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে- হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ, কোটি-কোটি মশা মরে পড়ে যায়, মানুষ মেরে ফেলে, তার কোন কদরই নেই। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি সেখানে বললেন, যদি একটা মশার পাখার সমানও মূল্য হতো, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিন্তু কোন কাফিরকে দুনিয়াবী সুযোগ-সুবিধা দূরের কথা, এক ঢোক পানিও দান করতেন না। তাহলে এটা ফিকির এবং চিন্তার বিষয়। যেটা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
فكر ساعة خيرمن عبادة ستين سنة.
“কিছুক্ষণ সময় ফিকির করা, ষাট বৎসর নফল ইবাদত থেকে উত্তম। ”
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












