২। الحديث (আল হাদীছ): حديث শব্দটি একবচন। এর বহুবচন احاديث -এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ, কথা মুবারক, বার্তা মুবারক, আলোচনা মুবারক, সংবাদ মুবারক, খবর মুবারক, ঘটনা মুবারক ইত্যাদি।
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিচিতি:
(৪-৫)
والحديث اعم من ان يكون قول الرسول صلى الله عليه وسلم او الصحابى او التابعين وفعلهم وتقريرهم. (اصول الحديث للامام السيد الشريف على الجرجانى الـحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه ذكر فى اول الجامع للترمذى كتبخانه مجتبائى ديوبند، ميزان الاخبار للسيد عميم الاحسان رحمة বাকি অংশ পড়ুন...
اَلْمُقَدِّمَةُ (আল মুক্বদ্দিমাহ্)
মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী নিসবত ও কুরবত মুবারক উনাদের অভাবে ইতিপূর্বে কেউ সম্মানিত ফরয কুরবানী মুবারক উনার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেনি। তবে, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি যেই ফতওয়া মুবারক দিয়েছেন, এটাই চূড়ান্ত ফতওয়া মুবারক। কেননা, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাই বাকি অংশ পড়ুন...
اَلْمُقَدِّمَةُ (আল মুক্বদ্দিমাহ্اَلْـحَمْدُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ لِشَيْخِنَا مَـمْدُوْحْ مُرْشِدْ قِـبْـلَةْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ سُلْطَانٍ نَّصِيْـرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَعَلـٰى اَهْلِ بَـيْـتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ عَلـٰى سَيّـِدِ الْاَنْۢبِيَاءِ وَالْـمُرْسَلِـيْـنَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى اَهْلِ بَـيْـتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِـيْـنَ. اَمَّا بَـعْدُ
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهُ يَـخْتَصُّ بِرَحْـمَتِهٖ مَنْ يَّشَآءُ وَاللهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيْمِ
“যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা স বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّـىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ وَعَلـٰى وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. اَمَّا بَـعْدُ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ اِمَامَ الْاَوَّلِ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُضَحِّىْ بِكَبْشَيْـنِ فَـقُلْتُ لَهٗ مَا هٰذَا فَـقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَانِـىْ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ فَاَنَا اُضَحِّ বাকি অংশ পড়ুন...
চার মাযহাবের যে কোন একটি পবিত্র মাযহাবের উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয।
কতিপয় শব্দার্থ ও পরিভাষা:
১। القران (আল কুরআন) : القران শব্দটি قرء ও قرن মাছদার থেকে উৎকলিত। قرء মাছদার থেকে হলে এর অর্থ হয় مقروء বা বারবার পঠিত। কেননা পবিত্র কুরআন মাজীদ সার্বক্ষণিকভাবে পঠিত হচ্ছে। আর قرن মাছদার থেকে হলে এর অর্থ হয় مقرون বা সংযুক্ত। যেহেতু পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার প্রতিটি হরফ শরীফ, লফয শরীফ, আয়াত শরীফ ও সূরা শরীফ একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত ও মিলযুক্ত।
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পরিচিতি:
(১-৩)
*اما الكتاب فالقران الـمنزل على رسول الله صلى বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত উম্মতের পক্ষ থেকে কুরবানী করেছেন
৩য় দলীল
অন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِـيْدِ ۣ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَحّٰى بِكَـبْشٍ اَقْـرَنَ وَقَالَ هٰذَا عَنِّـىْ وَعَمَّنْ لَّـمْ يُضَحِّ مِنْ اُمَّتِـىْ
“হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শিং বিশিষ্ট একটি দুম্বা সম্মানিত কুরব বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত উম্মতের পক্ষ থেকে কুরবানী করেছেন
২য় দলীল
অন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন- “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। আমি কুরবানীর দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ঈদগাহে উপস্থিত হলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (নামাযের পর) সম্মানিত খুতবা মুবারক শেষ করলেন এবং মিম্বর শরীফ থেকে নেমে আসলেন। এর বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত উম্মতের পক্ষ থেকে কুরবানী করেছেন
১ম দলীল
এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছেন- “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত রয়েছেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এমন একটি শিংওয়ালা দুম্বা আনতে যা কালোতে হাঁটে, কালোতে শোয় ও কালোতে দেখে অর্থাৎ যার পা, পেট ও চোখ সবই কালো। অতঃপর সম্ম বাকি অংশ পড়ুন...
কুরবানী সংক্রান্ত সমস্ত হাদীছ শরীফই ছহীহ
৩য় দলীল
তিরমিযী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘তুহফাতুল আহওয়াযীতে’ বর্ণিত রয়েছে-
وَفِىْ رِوَايَةٍ صَحَّحَهَا الْحَاكِمُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَلٰى مَا فِى الْمِرْقَاةِ اَنَّهٗ كَانَ يُضَحِّىْ بِكَـبْشَيْنِ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِكَـبْشَيْنِ عَنْ نَـفْسِهٖ وَقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَمَرَنِىْ اَنْ اُضَحِّىَ عَنْهُ اَبَدًا فَاَنَا اُضَحِّىْ عَنْهُ اَبَدًا فَرِوَايَةُ الْحَاكِمِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ هٰذِهٖ مُخَالِفَةٌ لِرِوَايَةِ التِّرْمِذِىِّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَيُمْكِنُ الْجَمْعُ بِاَنْ يُّـقَالَ اِنَّهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَمَرَ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ عَلِيًّا عَل বাকি অংশ পড়ুন...
কুরবানী সংক্রান্ত সমস্ত হাদীছ শরীফই ছহীহ
উছূলে হাদীছ শরীফ সম্পর্কে যাদের প্রাথমিক ধারণা আছে তারাও জানে যে, কোনো দুর্বল হাদীছ শরীফ উনার সমর্থনে যদি ছহীহ হাদীছ শরীফ পাওয়া যায়, তাহলে সেই হাদীছ শরীফও ছহীহর আওতাভুক্ত হয়ে যায়, আর দুর্বল থাকেনা। সেই হিসেবেও পবিত্র ওছিয়ত কুরবানী সম্পর্কিত সমস্ত পবিত্র হাদীছ শরীফই ছহীহ। কেননা এই সংক্রান্ত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ উনাদের সমর্থনে ছহীহ হাদীছ শরীফ বিদ্যমান রয়েছে।
১ম দলীল
ইমামুল মুহাদ্দিছীন, হাফিযুল হাদীছ হযরত ইমাম হাকিম নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৪০৫ হিজরী) তিনি যেই পবিত্ বাকি অংশ পড়ুন...
আপত্তিকারীদের তৃতীয় আপত্তি
নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে কুরবানী করা যদি ফরয হয়। তাহলে কুরবানী না করলে ফরয তরক করার গুনাহ হবে? হ্যাঁ হবে। সেই জন্য বলা হচ্ছে কেহ একা করতে না পারলে একাধিক জন মিলে যেন করে। তা ১০/২০/৩০/৪০/৫০/৬০/৭০/৮০/৯০/১০০ জন আরো বেশীও হতে পারে। অর্থাৎ প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করতে হবে এমন নয়। তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
সাধারণভাবেই ইন্তেকাল প্রাপ্ত ব্যক্তির পক্ষ থেকেও কুরবানী করা জায়িজ
পবিত্র হাদীছ শরীফ সমূহ দ্বারা অনেক ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা দলীল গ্রহণ ক বাকি অংশ পড়ুন...
আপত্তিকারীদের দ্বিতীয় আপত্তি
উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ নাকি দ্বয়ীফ। আসলে পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে ইলিম-কালাম না থাকলে যা হয়, সেটাই হয়েছে।
সত্তাগতভাবে কোনো পবিত্র হাদীছ শরীফই দ্বয়ীফ বা দুর্বল নয়। রাবী বা বর্ণনাকারীদের অবস্থার ভিত্তিতে পবিত্র হাদীছ শরীফ বিশারদগণ এটা একটা পরিভাষা তৈরী করেছেন। সনদের দিক থেকে উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ দ্বয়ীফ মনে হলেও উছূলের মানদ-ে মোটেও দ্বয়ীফ নয়। পবিত্র হাদীছ শাস্ত্রের একটা উছূল হচ্ছে, কোনো হযরত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যেই পবিত্র হাদীছ শরীফ দলীল হিসেবে গ্রহণ কর বাকি অংশ পড়ুন...












