মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিআম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাতহ মুবারক উনার বরকত ও ফযীলত (৩)
, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক উনার বরকতে আরোগ্য লাভ:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম এবং উনাদের পরবর্তীগণ রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি মুবারক পান করতেন এবং উনার বরকতে আরোগ্য লাভ করতেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَوْهَبٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ أَرْسَلَنِىْ أَهْلِىْ إِلٰى اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّادِسَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (حَضْرَتْ أُمِّ سَلَمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) بِقَدَحٍ مِنْ مَّاءٍ وَقَبَضَ إِسْرَائِيْلُ ثَلاَثَ أَصَابِعَ مِنْ فِضَّةٍ فِيْهِ شَعَرٌ مِنْ شَعَرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ إِذَا أَصَابَ الْإِنْسَانَ عَيْنٌ أَوْ شَيْءٌ بَعَثَ إِلَيْهَا مِخْضَبَه فَاطَّلَعْتُ فِي الْجُلْجُلِ فَرَأَيْتُ شَعَرَاتٍ حُمْرًا
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাওহাব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আমার পরিবারের লোকেরা এক পেয়ালা পানিসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম (হযরত উম্মু সালামাহ বিনতে আবী উমাইয়্যাহ আলাইহাস সালাম) উনার নিকট পাঠালেন। (উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার নিকট রক্ষিত) একটি পানির পাত্র থেকে (হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত আওলাদ) হযরত ইসরাঈল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার তিন আঙ্গুল দিয়ে কিছু পানি তুলে নিলেন। ঐ পাত্র মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কয়েকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক ছিলেন। কারো চোখ লাগলে কিংবা অন্য কেনো রোগ দেখা দিলে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার নিকট থেকে পানি আনার জন্য একটি পাত্র পাঠিয়ে দিতেন। (রাবী বলেন,) আমি (সেই পাত্র মুবারকে) লাল রংয়ের কয়েকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক দেখেছি। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং-৫৮৯৬)
অপর বর্ণনায় রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ أَرْسَلَنِىْ اَهْلِىْ اِلٰى اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّادِسَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (حَضْرَتْ اُمِّ سَلَمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) بِقَدَحٍ مِنْ مَّاءٍ وَكَانَ إِذَا أَصَابَ الْإِنْسَانَ عَيْنٌ أَوْ شَيْءٌ بَعَثَ إِلَيْهَا مِخْضَبَه فَاَخْرَجَتْ مِنْ شَعْرِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ تُمْسِكُه فِىْ جُلْجُلٍ مِنْ فِضَّةٍ فَخَضْخَضَتْهُ لَه فَشَرِبَ مِنْهُ قَالَ فَاطَّلَعْتُ فِى الْجُلْجُلِ فَرَأَيْتُ شَعَرَاتٍ حَمْرَاءَ
অর্থ: হযরত উসমান ইবনে আবদুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আমার পরিবারের লোকেরা এক পেয়ালা পানিসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম (হযরত উম্মু সালামাহ বিনতে আবী উমাইয়্যাহ আলাইহাস সালাম) উনার নিকট পাঠালেন। আর তখন এটা নিয়ম ছিলো যে, যখনই কারো চোখ লাগতো কিংবা কেউ অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হতো, তখন একটি পাত্রে পানি ঢেলে তা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার কাছে পাঠানো হতো। (কেননা উনার কাছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কয়েকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক ছিলেন। )
فَاَخْرَجَتْ مِنْ شَعْرِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ تُمْسِكُه فِىْ جُلْجُلٍ مِنْ فِضَّةٍ فَخَضْخَضَتْهُ لَه فَشَرِبَ مِنْهُ
‘অতঃপর তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক বের করতেন, যা তিনি রূপার নলের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখতেন এবং পানির মধ্যে ডুবিয়ে নাড়া দিতেন। তারপর ঐ পানি রোগী পান করতো। (যার বরকতে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতো। )” সুবহানাল্লাহ! (মিশকাত শরীফ, মিরক্বাতুল মাফাতীহ ৭/২৮৮৮, জামউল ফাওয়াইদ ২/৪২২ ইত্যাদি)
হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
رَاَيْتُ اَبِىْ يَاْخُذُ شَعْرَةً مِنْ شَعْرِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَضَعُهَا عَلٰى فِيْهِ يُقبِّلُهَا وَاَحْسِبُ اَنِّىْ رَاَيْتُه يَضَعُهَا عَلٰى عَيْنِهِ وَيَغْمِسُهَا فِى الْمَاءِ وَيَشْرَبُه يَسْتَشْفِىْ بِهِ
অর্থ: আমি আমার সম্মানিত পিতা উনাকে দেখেছি, তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক নিয়ে উনার মুখে রেখে বুছা দিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক উনার চোখ মুবারকে রাখতেন এবং রোগমুক্তির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক পানিতে ডুবিয়ে সেই পানি মুবারক পান করতেন। সুবহানাল্লাহ! (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ২১/২৫৩)
-হাফিয মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারী, কটাক্ষকারী, অবমাননাকারীদেরকে শরঈ শাস্তি প্রদান করা ওয়াজিব
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৭)
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্বীন ইসলাম উনার জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর ৩ শ্রেণী
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন (৭)
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৬)
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মী-কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যতা রাখা জায়েজ নেই
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)