মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১২)
, ২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

৩-৪. সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ:
আল ইমামুল কাবীর, মাফ্খরাতুল মাগরিব হযরত ইমাম কাযী আবুল ফযল আয়ায ইবনে মূসা আল ইয়াহ্চুবী আস সাব্তী আল মালিকী আন্দালুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৪৭৬ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৫৪৪ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আশ শিফা বিতা’রীফি হুকূকিল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার ২য় খ-ের ৩০৯ পৃষ্ঠায় বলেন-
وَحَكَى حضرت أَبُو الْحَسَن الصقَّلّيّ رحمة الله عليه أَنّ الْقَاضِي حضرت أَبَا بكر ابن الطَّيَّب رحمة الله عليه قَال إنّ اللَّه تَعَالَى إذَا ذَكَر فِي الْقُرْآن مَا نَسَبَه إليْه المُشْرِكُون سَبَّح نَفْسَه لِنَفْسِه كَقَوْلِه (وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا سبحانه) فِي آي كَثِيرَة وَذَكَر تَعَالَى مَا نَسَبَه الْمُنَافَقُون إِلَى ام المؤمنين الثالثة سيدتنا حضرت الصديقة عليها السلام فَقَال (وَلَوْلا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ قُلْتُمْ مَا يَكُونُ لَنَا أَنْ نَتَكَلَّمَ بِهَذَا سبحانك) سَبّح نَفْسَه فِي تَبْرِئَتِهَا مِن السُّوء كَمَا سَبَّح نَفْسَه في تبرته مِن السُّوء وَهَذَا يَشْهَد لِقَوْل حضرت مَالِك رحمة الله عليه فِي قَتْل من سَبّ ام المؤمنين الثالثة سيدتنا حضرت الصديقة عليها السلام وَمَعْنَي هَذَا أَنّ اللَّه لَمّا عَظَّم سَبَّهَا كَمَا عَظَّم سَبَّه وَكَان سَبُّهَا سَبًّا لِنَبِيّه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَرَن سَبّ نَبِيَّه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وأذاه بأذاه تَعَالَى وَكَان حُكْم مُؤْذِيه تَعَالَى القَتْل كَان مُؤْذِي نَبِيَّه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَذَلِك
অর্থ: “আল্লামা হযরত ইমাম আবুল হাসান ছিক্বিল্লী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন যে, কাযী হযরত আবূ বরক ইবনে ত্বইয়্যিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মুশরিকরা যা সম্পৃক্ত করেছিলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে সে বিষয়ে আলোচনা মুবারক করেছেন, তখন তিনি নিজেই উনার নিজের পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন- মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক- ‘তারা (কাফির, মুশরিকরা) বলে- মহান আল্লাহ পাক তিনি আল-আওলাদ অর্থাৎ সন্তান গ্রহণ করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! (অথচ) মহান আল্লাহ পাক তিনি পূত-পবিত্র, তিনি মহান। ’ সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৬) এরূপ অনেক সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সাথে মুনাফিক্বরা যা সম্পৃক্ত করেছিলো, সে বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা যখন এ কথা শুনলে, তখন কেনো বললে না যে, এ বিষয়ে কথা বলার আমাদের কোনো অধিকার নেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি তো পবিত্র, মহান। সুবহানাল্লাহ! এটা তো কঠিন একটা অপবাদ। ’ না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬) এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি যে সমস্ত প্রকার খারাপী থেকে মুক্ত, পূত-পবিত্র’ এ বিষয়টি ঘোষণা মুবারক দিতে গিয়ে, উনার পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করতে যেয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নিজের পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করেছে, যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত প্রকার খারাপী, বুরায়ী থেকে উনার নিষ্কলুষতা, ছমাদিয়াত ও বেনিয়াযী বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি উনার নিজের পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এটা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যে বলেছেন, ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে যে গাল-মন্দ করবে, উনার যে মানহানী করবে, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। ’ উনার এই মতকে বিশুদ্ধ বলে প্রমাণ করে। সুবহানাল্লাহ! আর এটার অর্থ হচ্ছে- নিশ্চয়ই যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে (মুনাফিক্বরা) আপবাদ দিলো, উনার মানহানী করলো, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে সমস্ত প্রকার খারাপী থেকে মুক্ত, পূত-পবিত্র বলে ঘোষণা মুবারক দিতে গিয়ে, উনার পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করতে যেয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নিজের পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করেছেন, যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার ব্যাপারে অপবাদ দেয়ার পর তিনি উনার নিষ্কলুষতা, ছমাদিয়াত ও বেনিয়াযী বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি নিজের পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করেছেন। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে গাল-মন্দ করার, উনার মানহানী করার অর্থই হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গাল-মন্দ করা, উনার মানহানী করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে গাল-মন্দ করার, উনার মানহানী করার বিষয়টি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গাল-মন্দ করার, উনার মানহানী করার শামিল করেছেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়া মহান আল্লাহ পাক উনার কষ্টের কারণ। আর মহান আল্লাহ পাক উনাকে কষ্ট প্রদানকারীর হুকুম হচ্ছে, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। অনুরূপভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট প্রদানকারীরও একই হুকুম। অর্থাৎ তারও একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। ” সুবহানাল্লাহ! (আস সাইফুল মাসলূল ‘আলা মান সাব্বার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১/৪১৭, আশ শিফা শরীফ ২/৩০৯, শারহুশ শিফা লিল খফাজী ৪/৫৬৮)
(অপেক্ষায় থুকুন। )
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(১৩)
৩০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ শরীফ
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মুহব্বতপূর্ণ সম্পর্ক মুবারক
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম উনার একখানা মহাসম্মানিত বিশেষ স্বপ্ন মুবারক
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১২)
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক এবং খুশি মুবারক প্রকাশ
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১১)
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রচিত সম্মানিত কবিতা বা ক্বাছীদাহ্ শরীফ
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যারা জীবতি আছ, তাদরে দায়ত্বি হলো- মুসলমানদরে পক্ষে দো‘আ করা। কাফরেদরে বরিুদ্ধে কঠনি বদ দো‘আ করা
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১০)
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক অবমাননাকারীদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)