বৈশিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দেশে ভোজ্য তেলের আমদানী সমস্যায় ভূট্টার তেলে উৎপাদনে সমাধান সম্ভব
সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পরিকল্পনা মাফিক অগ্রসর হলে ভুট্টার তেল উৎপাদনে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি প্রচুর রফতানি করাও সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ২৫ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১০ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
ভুট্টার তেল একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ভোজ্যতেল। প্রায় সব রান্নায় এ তেল ব্যবহার করা যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই (১০%) ও ভিটামিন-কে (১%)। এর ফ্যাটি এসিড কম্পোজিশন অনেকটা সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, তুলাবীজ, তিল ও তিসি তেলের মতোই।
এই তেল ব্যবহারের ফলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে। হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। সুস্বাদু, মিষ্টি গন্ধ ও সুন্দর রঙের জন্য এই ভোজ্য তেল অধিক জনপ্রিয়। রান্নার তেল ছাড়াও ভুট্টার তেল বায়োডিজেল, সাবান, পেইন্ট, কালি, ওষুধ তৈরিতে ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্ববাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
ভোজ্য তেলের বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। দিনে দিনে ভোজ্য তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। সরকারের একটি অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয়ভাবে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এ জন্য আমন ও বোরো ধানের মাঝে যে সময়টুকু থাকে, ওই সময় স্বল্পমেয়াদি সরিষা চাষ করে সরিষা ও সরিষা তেলের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ধরনের উদ্যোগ সহজ মনে হলেও কাজটি কিন্তু চ্যালেঞ্জিং। এর মধ্যে নানা ধরনের প্রযুক্তিগত বিষয় রয়েছে।
ভোজ্য তেলে স্বয়ংসম্পূর্ণ বা আংশিক স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আরো একাধিক উৎস থেকেও ভোজ্য তেল আহরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু দেশে বিপুল পরিমাণে (৫৬.৬ লাখ টন) ভ্ট্টুা উৎপাদিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এর চাষ বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে, তাই ভুট্টার তেল বা কর্ন অয়েল বা কর্ন জার্ম অয়েল উৎপাদন বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল, সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপূর্ণ খাত।
দৈনিক আল-ইহসানের পর্যবেক্ষণে জানা গেছে দেশে যে পরিমাণ ভুট্টা উৎপাদন হয় তা থেকে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার টন তেল উৎপাদন করা সম্ভব। ভুট্টা থেকে তেল উৎপাদন করা হলে অন্যসব ভেজিটেবল অয়েলের চেয়েও কম দামে তা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, ভুট্টা থেকে তেল উৎপাদন শুরু হলে বিদেশ থেকে তেল আনা সম্পূর্ণ বন্ধ করাও সম্ভব হবে। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি পুষ্টিকর তেল পাবেন ভোক্তারা।
এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছর প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ লাখ মেট্রিক টন সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটানো হয়েছে। চাহিদা থাকায় বাংলাদেশের বাজারেও বিদেশ থেকে আমদানি করা ভুট্টার তেল পাওয়া যায়। এসব আমদানি করা ভোজ্যতেলের সঙ্গে সরিষা ও অন্যান্য তেলের ফসল থেকে দেশজ উৎপাদন (প্রায় ৩ লাখ টন) যোগ করে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা নিরূপণ করা যায়, যা কম-বেশি ২১ লাখ টন/বছর (মতান্তরে ২৪ লাখ টন/বছর)। তাই চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশে ভুট্টার তেল উৎপাদনের কথা এখনই ভাবতে হবে। তাহলে ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশ বাণিজ্যিকভাবে ভুট্টার তেল উৎপাদন করছে। ওপরে বর্ণিত আমাদের যে শক্তি (ংঃৎবহমঃয) রয়েছে সেসবের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এবং যেসব দুর্বল দিক (বিধশহবংং) রয়েছে তা অতিক্রম/সমাধান করে লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। দেশে বর্তমানে ৫৬.৬ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হয়। তা থেকে প্রায় ৫.৬ লাখ টন কর্নজার্ম পাওয়া যাবে (১০% হিসেবে) এবং ২ লাখ টন তেল নিষ্কাশন করা সম্ভব হবে। এই দুই লাখ টন ভুট্টার তেলের বাংলাদেশে বাজারমূল্য প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। কর্নজার্ম আলাদা করার পর বাকি অংশ (প্রায় ৯০%) ব্যবহার করে পোলট্রি, পশু ও মাছের খাদ্য এবং কর্নস্টার্চ উৎপাদন করা সম্ভব। তেল নিষ্কাশনের পর যে খৈল পাওয়া যাবে তাও পোলট্রি, পশু ও মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে। তবে এজন্য প্রয়োজন সুসমন্বিত উদ্যোগ। গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ভুট্টা ব্রিডিং-এর মাধ্যমে জাত উন্নয়ন করে এর তেলের পরিমাণ ৪% থেকে ১০%-এর অধিক উন্নীত করা যায়। চাষিদের জন্য ভুট্টার বাজার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এর ব্যবহারে ডাইভারসিফিকেশন দরকার। এসবই আমাদের সম্ভাবনার (ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং) বিভিন্ন দিক।
দেশে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ ভুট্টা ব্যবহার করে আমরা মূল্যবান ভুট্টার তেল উৎপাদন করতে পারি। এজন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, পলিসি, গবেষণা ও আর্থিক সাপোর্ট, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি (গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ডেভেলেপমেন্ট বিভাগ স্থাপনসহ), প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কাজ। আমাদের উচিত হবে আর দেরি না করে এখনই তা আরম্ভ করা। এজন্য এখনই কিছু স্বল্পমেয়াদি ও কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পরিকল্পনামাফিক অগ্রসর হলে আমরাও ভুট্টার তেল উৎপাদনে সমস্যা শুধু দেশীয় প্রয়োজনে মিটানোই না পাশাপাশি প্রচুর রফতানীতেও সমৃদ্ধ হব ইনশাল্লাহ। তেল আমদানির পরিবর্তে তেল রফতানীকারক দেশে পরিনত হব ইনশাল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ২৯ জুমাদাল উখরা শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূলিল্লাহ আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক দিবস এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শুধুই সমালোচনা? পতিত সরকারের সমালোচিত পন্থা দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিলে কোন উদ্যোগ ও তৎপরতা নেই কেন? দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা নিয়ে যে অবাধ অর্থপাচার হয়েছে অবিলম্বে তা ফিরিয়ে আনা হোক ইনশাআল্লাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ স্বদেশের প্রতি মুহব্বত দাবিদার মুসলমান এবং স্বদেশের প্রতি আঘাত।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘কবর’ ‘জাহান্নাম’ ‘জান্নাত’ ইত্যাদি ইসলামী শব্দের কথা বললেই শুধু হবেনা। শুধুমাত্র প্রসঙ্গ টানলেই হবেনা। এখন দেশে ইসলামী আবহের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বিশেষত মহাসমারোহে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে মুসলমানদের জান্নাতে ভালো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্নো আসক্ত। পর্নো দেখতে তারা ব্যয় করছে শত শত কোটি টাকা। এখনই সরকার সতর্ক না হলে পর্ণোগ্রাফিতে পশ্বাধম জাতিতে পরিণত হবে পরবর্তী প্রজন্ম। +
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাড় কাঁপানো শীতে বাড়ছে আগুনে দগ্ধদের সংখ্যা দগ্ধ রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছে না জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় দগ্ধ রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দশ বর্গকিলোমিটার নারিকেল দ্বীপ রক্ষায় মিথ্যার বেসাতির বিপরীতে ৩ লাখ একর বেদখল বনভূমির প্রতি নিস্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)