মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তাদেরকে (বান্দা-বান্দীদেরকে) মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন মুবারক ও রাত মুবারকগুলো স্মরণ করিয়ে দিন। (যাতে তারা সেসব দিন ও রাত্রগুলো উদযাপন বা পালন করতে পারে।)” সুবহানাল্লাহ!
বাংলাদেশে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে আগামী ২৯শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ ১৪৪৫ হিজরী, ১৪ই ছামিন ১৩৯১ শামসী, ১২ই জানুয়ারী ২০২৪ খৃঃ., ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ দিবাগত সন্ধ্যায়। দেশের শিক্ষিত সমাজের অনেকেই কোনটি হিজরী সনের প্রথম মাস সেটি জানে না। নাঊযুবিল্লাহ! আরবী মাস কখন শুরু হচ্ছে এবং কখন শেষ হচ্ছে, সে ব্যাপারেও থাকে সম্পূর্ণ বেখবর। নাঊযুবিল্লাহ!
তাই চাঁদ দেখে আরবী মাস গণনা, বিশেষ বিশেষ দিনসমূহের প্রচার-প্রসার, প্রতি আরবী মাস শুরু হলে পত্রিকায় বিশেষ বিবৃতি দিয়ে জনগণকে অবগত করানো রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম ও ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
, ২৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্ত সিলেবাসে ইসলামী বিষয়গুলো পরিকল্পিতভাবে উপেক্ষিত থাকায় সাধারণ মানুষের এমন হয়েছে যে- আরবী মাস কবে শুরু ও শেষ হচ্ছে তা জানে না; এমনকি আরবী মাসের প্রথম মাস কোন্টি তাও জানে না। নাউযুবিল্লাহ! এই বিষয়গুলো খুব দুঃখজনক। চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করার বিষয়ে আমাদের দেশের মাদরাসাগুলোতেও কিছু পড়ানো হয় না। এ ব্যাপারে সমৃদ্ধ কোনো কিতাবও নেই। বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এ বিষয়ে অভিজ্ঞজনদের নিয়ে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা।
আরবী মাস উনার বিশেষ বিশেষ দিনসমূহ যথাযথ পালন করার ক্ষেত্রে চাঁদ দেখে মাস শুরু করার গুরুত্ব প্রসঙ্গে নছীহত মুবারক পেশ করতে গিয়ে তিনি এসব ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র এই মাসের বিশেষ বিশেষ দিবস মুবারক বর্ণনা করে বলেন, আরবী বছরের ৭ম মাস পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ। পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস বিভিন্ন কারণেই সম্মানিত। এ মহাসম্মানিত মাস উনার মধ্যে রয়েছে অনেক উল্লেখযোগ্য বিশেষ দিনসমূহ। এ সম্মানিত মাস উনার মধ্যে ১৫ খানা দিবস এবং ২৮ খানা আইয়্যামুল্লাহ শরীফ রয়েছেন। এ মহাসম্মানিত মাস উনার পহেলা রাত্রটি হচ্ছে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুলের রাত্র। সুবহানাল্লাহ!
১লা রজবুল হারাম শরীফ হলেন- * হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আযীমুশ শান নিসবতে আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* পাশাপাশি দু‘আ কবুলের বিশেষ রাত। সুবহানাল্লাহ!
২রা রজবুল হারাম শরীফ হলেন- * হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস। সুবহানাল্লাহ!
৩রা রজবুল হারাম শরীফ হলেন- * সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আ’শার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত সাইয়্যিদাতুল উমাম আর রবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত সাইয়্যিদাতুল উমাম আল খমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* এ সম্মানিত মাস উনার প্রথম ইয়াওমুল খামীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত অর্থাৎ প্রথম জুমুয়াহ শরীফ উনার রাতটিই হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ পবিত্র রাত্রে উনার সম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। এ মুবারক রাত্র উনার ফযীলত পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ, পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফ উনাদের চেয়েও অনেক বেশি। সুবহানাল্লাহ!
৬ই রজবুল হারাম শরীফ হলেন- সুলত্বানুল হিন্দ, হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
৭ই রজবুল হারাম শরীফ হলেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানিত আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
১০ই রজবুল হারাম শরীফ হলেন- * সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আর রবি আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* পাশাপাশি পবিত্র ইয়ারমুক জিহাদ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১২ই রজবুল হারাম শরীফ হলেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ অর্থাৎ মহাপবিত্র ১২ই শরীফ। যেদিন কোটি কোটি কন্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও তাবারুক বিতরণ করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
১৩ই রজবুল হারাম শরীফ হলেন- আমীরুল মু’মিনীন, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ই রজবুল হারাম শরীফ হলেন- * সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* সুলত্বানুল হিন্দ, হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ই রজবুল হারাম শরীফ হলেন- * সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
* সম্মানিত ক্বিবলা পরিবর্তন দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৬ই রজবুল হারাম শরীফ হলেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
২৫শে রজবুল হারাম শরীফ হলেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৭ রজবুল হারাম শরীফ রাত্রটি হচ্ছেন- * পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বিশেষ রাত। সুবহানাল্লাহ!
* ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত লাইলাতুর রগায়িব শরীফ দিবস মুবারক।
* সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৮শে রজবুল হারাম শরীফ হলেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং এ সকল সম্মানিত দিন ও রাতগুলো যথাযথ তা’যীম-তাকরীমের সাথে পালন করতে হলে চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে মাস শুরু করা ফরয উনার অন্তর্ভুক্ত।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে- আগামী ২৯শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ ১৪৪৫ হিজরী ১৪ই ছামিন ১৩৯১ শামসী, ১২ই জানুয়ারী ২০২৪ খৃঃ. ইয়াওমুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার সন্ধ্যায়। আর সেদিন চাঁদ দিগন্তরেখার ০৯ ডিগ্রী ৪৩ আর্ক মিনিট উপরে অবস্থান করবে এবং চাঁদের বয়স হবে প্রায় ২২ ঘণ্টা। সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫ টা ৩০ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬ টা ২৬ মিনিটে অর্থাৎ ৫৫ মিনিট চাঁদ আকাশে অবস্থান করে অস্ত যাবে। সেদিন চাঁদ অবস্থান করবে ২৩৮ ডিগ্রী আযিমাতে এবং সূর্যের অবস্থান থাকবে ২৪৬ ডিগ্রী আযিমাতে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ ১৩ ডিগ্রী ৩২ আর্ক মিনিট কোণ করে সূর্য থেকে সরে থাকবে এবং চাঁদের মাত্র ০১.৪০% আলোকিত থাকবে। সেদিন বাংলাদেশের আকাশ যথেষ্ট পরিস্কার থাকলে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদ দেখতে পাওয়ার আনুমানিক সময় সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটের কিছু আগে বা পরে।
বাংলাদেশে অমাবস্যা সংঘটিত হবে ১৩ই ছামিন ১৩৯১ শামসী। ১১ই জানুয়ারী, লাইলাতুল জুমুয়াহ শরীফ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৭ টা ৩১ মিনিটে।
সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী প্রতি মাসে চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। সে লক্ষ্যে সকলকে আগামী ২৯শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ ১৪৪৫ হিজরী, ১৪ই ছামিন ১৩৯১ শামসী, ১২ই জানুয়ারী ২০২৪ খৃঃ. জুমুয়াবার সন্ধ্যায় চাঁদ তালাশ করতে হবে এবং মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল-এর সকল প্রতিনিধিকে চাঁদ অস্ত যাওয়ার শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা মহাপবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করার মাধ্যমে দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা ফরয।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। অর্থাৎ মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক চলে শতভাগ সুন্নতী জিন্দেগী বাস্তবায়ন করার সাথে সাথে সুন্নতী পোশাক পরিধান করে হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়ার কোশেশে মশগুল থাকা।
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের পরিপূর্ণ মিছদাক হচ্ছেন উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রত্যেক মুসলমান জ্বিন-ইনসান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সর্বাধিক মুহব্বত করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন বা সুধারণা পোষণ করা এবং উনাদেরকে অনুসরণ করা। সুবহানাল্লাহ!
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ৬ দিন বাকি। এ মহান দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র মহাসম্মানিত আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই বাল্যবিবাহ মুবারক করেছেন। যা মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী-
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদাহ হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই অর্থাৎ উনার মহাসম্মানিত নূরুল কুদরত মুবারক বা নূর মুবারকই মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বপ্রথম সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! উক্ত মহাসম্মানিত নূর মুবারক উনার থেকেই কায়িনাতের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনকি আগুন, পানি, মাটি, বাতাস ইত্যাদি উপাদানসমূহও উনার থেকে এবং উনার বহু পরে সৃষ্টি হয়েছে।
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ” মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেহেতু প্রতি আরবী মাসের এ মুবারক তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঈমানদার হিসেবে দাবিকারী প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- সম্মানিত শরীয়ত উনার প্রতিটি বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করা এবং প্রতিটি আমল পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী করা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ- আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! যিনি আখাছ্ছুল খাছ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানদের প্রত্যেক ক্বওম বা সম্প্রদায় থেকে কেন একটি দল বের হয় না এজন্য যে, তারা সম্মানিত দ্বীনী ইলমে ফক্বীহ হবে এবং স্বীয় ক্বওমের নিকট প্রত্যাবর্তন করে তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ নিষেধ মুবারক উনার ব্যাপারে সতর্ক করবে; যাতে তারা সতর্ক হতে পারে বা পরিত্রাণ পেতে পারে।’
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)