মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ব্যয় করে না; অর্থাৎ পবিত্র যাকাত আদায় করে না, তাদেরকে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ প্রদান করুন।’ নাউযুবিল্লাহ!
পবিত্র যাকাত মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার তৃতীয় বা মধ্যবর্তী ভিত্তি এবং ফরয ইবাদত। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র যাকাত ফরয হওয়ার পরও শরয়ী তারতীব অনুযায়ী যারা পবিত্র যাকাত আদায় করবে না- তাদের খাদ্য হালাল হবে না, ইবাদত কবুল হবে না, ধন-সম্পদ ধ্বংস হবে এবং পরকালে তারা অত্যন্ত কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
অতএব, সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী যাদের উপর যাকাত ফরয, তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- শরয়ী তারতীব অনুযায়ী যথা সময়ে যথাস্থানে পৌছিয়ে যথাযথভাবে যাকাত আদায় করা।
, ২৫ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৮ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর অতিরিক্ত যদি কোনো মাল বা অর্থ-সম্পদ নিছাব পরিমাণ তথা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্য অথবা এ সমপরিমাণ সম্পদ বা অর্থ কারো অধীনে পূর্ণ এক বছর থাকে, তাহলে তা থেকে চল্লিশ ভাগের একভাগ মাল বা অর্থ-সম্পদ পবিত্র যাকাত হিসেবে দিতে হবে। মহাসম্মানিত শরীয়ত উনার কর্তৃক নির্ধারিত খাতে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের উদ্দেশ্যে বিনা স্বার্থে ও বিনা শর্তে প্রদান করতে হবে। এই সামান্য একটি অংশ মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক পালন করে পবিত্র যাকাত দিতে যে কুন্ঠিত ও চু-চেরা করে, নিঃসন্দেহে সে ঈমানদার নয়। পবিত্র যাকাত আদায় না করার পরিণতি ও শাস্তি অত্যন্ত কঠিন। অর্থাৎ পবিত্র যাকাত ফরয হওয়ার পরও শরয়ী তারতীব অনুযায়ী যারা পবিত্র যাকাত আদায় করবে না- তাদের খাদ্য হালাল হবে না, ইবাদত কবুল হবে না, ধন-সম্পদ ধ্বংস হবে এবং পরকালে তারা অত্যন্ত কঠিন শাস্তির সম্মুখিন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাকাত আদায় না করার পরিণতি ও শাস্তি সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ব্যয় করে না; অর্থাৎ পবিত্র যাকাত আদায় করে না, তাদেরকে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ প্রদান করুন। ক্বিয়ামতের দিন তাদের এই সঞ্চিত সম্পদ দোযখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের চেহারা, পাঁজরে ও পিঠে দাগা দেয়া হবে আর বলা হবে, এগুলো তোমাদের ধন-সম্পদ, যা তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে ব্যয় না করে অর্থাৎ যাকাত না দিয়ে নিজের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে। আজ সেই সঞ্চিত সম্পদের স্বাদ উপভোগ করো।’ নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিশুদ্ধ কিতাব ‘বুখারী শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ধন-সম্পদের অধিকারী করেছেন, সে যদি ঐ সম্পদের পবিত্র যাকাত না দেয়, তাহলে তার ঐ সমস্ত সম্পদ ক্বিয়ামতের দিন এমন এক সর্পে পরিণত হবে যার বিরাট মস্তক থাকবে কিন্তু মস্তকে কেশ থাকবে না। আর তার চোখের উপর দুটি তিলক থাকবে। (যা অত্যন্ত বিষাক্ত ও হিংস্র হওয়ার চিহ্ন) সর্পটি ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় জড়িয়ে ধরবে আর বলবে, আমিই তোমার অর্থ-সম্পদ এবং আমিই তোমার সঞ্চিত ধন-ভান্ডার। আর সাথে সাথে সাপটি কামড়াতে থাকবে।” নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাদের প্রতি পবিত্র যাকাত ফরয তাদের পক্ষে যাকাত আদায় করে মালের হক্ব আদায় করা অপরিহার্য্য ফরয। এ হক্ব আদায়ে ত্রুটি বা অবেহলা করলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ থেকে কোনোভাবেই সে রেহাই পাবে না। কারণ এটা স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে ফরয করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী যাদের উপর যাকাত ফরয, তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- শরয়ী তারতীব অনুযায়ী যথা সময়ে যথাস্থানে পৌছিয়ে যথাযথভাবে যাকাত আদায় করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- শরাব বা মদসহ সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্যই হারাম। অথচ বাংলাদেশে সরাসরি শরাব বা মদ তো বিক্রি হচ্ছেই; এমনকি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের নামেও প্রকাশ্যে শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য চলতে পারে না এবং শরাব বা মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র মসজিদ ও মসজিদের জায়গা উনার একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। সুবহানাল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফে” মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)