নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাযির-নাযির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম:
, ২১ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আক্বায়িদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّــاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْــرًا
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি, সৃষ্টি মুবারক করেছি শাহিদ অর্থাৎ সাক্ষ্যদাতা, উপস্থিত, হাযির-নাযির হিসেবে, সুসংবাদদানকারী এবং সতর্ককারীরূপে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
আলোচ্য সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিতشَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারকই হচ্ছেন ‘হাযির-নাযির’। সুবহানাল্লাহ! যেমন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিদায় হজ্জের সময় খুৎবা মুবারক উনার শেষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
فَـلْـيُـبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ
অর্থ: “আপনারা যাঁরা এখানে হাযির বা উপস্থিত রয়েছেন, যাঁরা গায়েব বা অনুপস্থিত উনাদেরকে (আমার নছীহত মুবারকসমূহ) পৌঁছিয়ে দিবেন।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ ইত্যাদি)
شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারকই যে ‘হাযির-নাযির’ এ বিষয়টি লুগাত বা অভিধান দ্বারাও প্রমাণিত।
আর এটা সকলের জানা রয়েছে যে, যিনি হাযির বা উপস্থিত তিনি নাযির বা প্রত্যক্ষকারী, প্রত্যক্ষদর্শী। অর্থাৎ যিনি হাযির তিনিই নাযির আবার যিনি নাযির তিনিই হাযির। সুবহানাল্লাহ!
বি: দ্র: এ বিষয়ে দলীলভিত্তিক বিস্তারিত জানার জন্য মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার ২৬৫ তম সংখ্যা পাঠ করুন।
সুতরাং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির এবং কোনো সময় ও স্থান উনার সম্মানিত উপস্থিতি মুবারক থেকে খালি নয়। এই বিষয়টি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার দ্বারাই চির অকাট্যভাবে প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ! আর এ প্রসঙ্গে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ اَلَّذِىْ اِذَا اَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهٗ كَشَفَهٗ عَنْكَ وَاِنْ اَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهٗ اَنْـبَـتَـهَا لَكَ وَاِذَا كُنْتَ بِاَرْضٍ قَـفْرٍ اَوْ فَلَاةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَـتُكَ فَدَعَوْتَهٗ رَدَّهَا عَلَـيْكَ
অর্থ: “আমি ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখ্বান তুমি কোনো বিপদে-আপদে, দুঃখ্বা-দুর্দশায় পতিত হও তখ্বান তুমি আমাকে ডাকবে, আমি তোমার বিপদ-আপদ, দুঃখ্বা-দূর্দশা দূর করে দিবো। যখ্বান তোমার জমিতে ফসল হয় না, দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখ্বান তুমি আমাকে ডাকবে, আমি তোমার জমিতে ফসল ফলিয়ে দিবো, দূর্ভিক্ষ দূর করে দিবো। যখ্বান তুমি কোনো জনমানবহীন শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে,) নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে থাকো আর তোমার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখ্বান তুমি আমাকে ডাকবে, আমি তোমার বাহন ফিরিয়ে দিবো, বাহনের ব্যবস্থা করে দিবো।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, আল কুনা’ ওয়াল আসমা’ ১/৫৫, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ১০/২৩৬, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ ৪/১৩৪৪, জামী‘উল উছূল ১১/৭৪৬ ইত্যাদি)
উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসহ আরো অসংখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির এবং কোনো সময় ও স্থান উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উপস্থিতি মুবারক থেকে খালি নয়। যার কারণে কোনো উম্মত যদি জনমানবহীন শূন্য স্থানে, খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে, নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে যেখানেই থাকে আর তার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখ্বান সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট দো‘আ করলে তিনি উক্ত উম্মতের বাহন ফিরিয়ে দেন, বাহনের ব্যবস্থা করে দেন, কোনো বিপদে পড়লে বিপদ থেকে উদ্ধার করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
এই বিষয়ে বাস্তবে অসংখ্য ঘটনা মুবারকও রয়েছেন। বিস্তারিত জানার জন্য ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক ১ম থেকে ১৭তম খ্বাÐ’ রেসালা শরীফসমূহ পাঠ করুন।
-মুহাদ্দিস মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ক্বদমবুছী বা পদচুম্বন খাছ সুন্নত মুবারক; বিদয়াত-শিরক বলা কুফরী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কে সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা পালন করা ফরজ এবং ছবি তোলা হারাম
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বদ মাযহাব, বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব- ৬
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
১২ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
০৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তেবা করা ব্যতীত কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাওয়া যাবে না
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)