আরো অন্যান্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছেন:

দুনিয়ার ইতিহাসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবিউল আউওয়াল শরীফ তারীখটি অত্যন্ত স্মরণীয় দিন। কেননা যাঁহার (অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার) কারণে এই বিশ্বজাহান সৃষ্টি, যাঁহার কারণে এই দিবা-রাত্রির আবর্তন, ভাটা-জোয়ারের সৃষ্টি ও শীত-গ্রীষ্মের আগমন-প্রত্যাগমন, যিনি মানবকুলের সেরা গৌরব, যাঁহার উসিলায় হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া ক্ববূল হইয়াছে; যাঁহার কারণে মহাপ্লাবনে হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশ্তি রক্ষা পাইয়াছে, যাঁহার জন্য হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি দোয়া করিয়াছেন, হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম যাঁহার আবির্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছেন, সেই মহান রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবিউল আউওয়াল শরীফ তারীখে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যস্থতায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! (বিশ্বনবী মোস্তাফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। লেখক: গোলাম মোস্তফা ১০ নং পৃষ্ঠা)

নির্ভরযোগ্য বর্ণনার দ্বারা জানা যায় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আসহাবে ফীল বা হস্তী বাহিনীর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাবা শরীফ উনার উপর আক্রমন করার বছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ তারীখে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! (মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী বিশ্বকোষ, ৩১৪ নং পৃষ্ঠা)

ইবনে হিশাম, ইবনে সা’দ, ইবনে জারীর আত্ তবারী, ইবনে খালদূন উনাদের বরাতে ডক্টর মাজেদ আলী খান বলেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমুল ফীল অর্থাৎ হস্তি বাহিনী ধ্বংস হওয়ার বছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! (সর্বশেষ নবী মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী ৫৯ নং পৃষ্ঠা)

রসূলে আকরাম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ তারীখ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! পৃথিবীতে যেদিন সর্বপ্রথম সূর্যোদয় হয়েছিল, টিক সেই দিন থেকে শুরু করে এটিই ছিলেন পৃথিবী আর ইনসানী দুনিয়ার ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা সা‘আদাত আর সৌভাগ্যের দিন। সুবহানাল্লাহ! {আস সীরাতুন নববিয়্যাহ্ (বাংলা) লেখক: সাইয়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী ১২৭ নং পৃষ্ঠা}

(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ আমুল ফীলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ তারীখে। সুবহানাল্লাহ! (টিকা- ১৩৩ : এটাই মশহুর বর্ণনা। ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ দিন। এটি ছিলেন মানবতার ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও মহাপবিত্র বরকতময় দিন। সুবহানাল্লাহ! {নবীয়ে রহমত ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। (লেখক: সাইয়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী, আবূ সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূমদিত) ১১৪ নং পৃষ্ঠা}

১২ই রবীউল আউওয়াল হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত তারীখ। সুবহানাল্লাহ! (খুতবাতে হাকীমুল উম্মত ১৪ নং পৃষ্ঠা)

দেওবন্দী ওহাবীদের মুরুব্বীদের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে- “সারকথা- যে বছর আসহাবে ফীল পবিত্র কা’বা শরীফ আক্রমন করে, সেই বছর পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে মহাসম্মানিত ১২ তারীখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) ছিলো পৃথিবীর জীবনে এক অনন্য বিশেষ দিবস। যেদিন নিখিল ভূবন সৃষ্টির মূল লক্ষ্য, দিবস রজনী পরিবর্তনের মূখ্য উদ্দেশ্য, হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম ও বনী আদমের গৌরব, হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির নিরাপত্তার নিগূঢ় তাৎপর্য, হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত দু‘আ মুবারক, হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম এবং হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ভবিষ্যদ্বাণীসমূহের উদ্দিষ্ট ব্যক্তিত্ব অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক নেন। ” সুবহানাল্লাহ! (সীরাতে খতিমুল আম্বিয়া ৪ নং পৃষ্ঠা- প্রকাশনা: এমদাদিয়া লাইব্রেরি)

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।