নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (৩)
, ২১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১২ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
اَللّٰهُمَّ تَـقَبَّلْ مِنْ مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاٰلِ مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمِنْ اُمَّةِ مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُـمَّ ضَحّٰى بِه ٖ
“আয় বারে এলাহী! মহান আল্লাহ পাক! আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের তরফ থেকে এবং উনার উম্মতগণ উনাদের তরফ থেকে এই সম্মানিত কুরবানী মুবারক কবূল করুন। অতঃপর উক্ত দুম্বাটি দ্বারা সকালের খাবার খাওয়ালেন। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন- “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। আমি কুরবানীর দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ঈদগাহে উপস্থিত হলাম। যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (নামাযের পর) সম্মানিত খুতবা মুবারক শেষ করলেন এবং মিম্বর শরীফ থেকে নেমে আসলেন এরপর উনার জন্য একটি দুম্বা আনা হলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে নিজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) তা যবেহ মুবারক করলেন এবং বললেন,
هٰذَا عَنِّـىْ وَعَمَّنْ لَّـمْ يُضَحِّ مِنْ اُمَّتِـىْ
“এই সম্মানিত কুরবানী মুবারক আমার তরফ থেকে এবং আমার ঐ সকল উম্মতের তরফ থেকে যারা সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেননি অর্থাৎ যাদের সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার সামর্থ নেই। ” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মুসনাদে আহমদ, সুনানে দারাকুতনী ইত্যাদি)
অন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِـيْدِ ۣ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَحّٰى بِكَبْشٍ اَقْـرَنَ وَقَالَ هٰذَا عَنِّـىْ وَعَمَّنْ لَّـمْ يُضَحِّ مِنْ اُمَّتِـىْ
অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শিং বিশিষ্ট একটি দুম্বা সম্মানিত কুরবানী মুবারক করেন এবং বলেন এটা আমার পক্ষ থেকে এবং আমার যে সমস্ত উম্মত সম্মানিত কুরবানী মুবারক করতে পারেনি তাদের পক্ষ থেকে। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ৩/৮)
এই সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত ফতওয়া মুবারক দিয়েছেন যে, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু উনার পক্ষ থেকে দায়িমীভাবে প্রতি বছর সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন, সম্মানিত ওয়াছিয়ত মুবারক করেছেন এবং স্বয়ং তিনি নিজে সমস্ত উম্মতের তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করেছেন, তাই সমস্ত উম্মতের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া। আর যদি আর্থিক সামর্থ না থাকে, তাহলে কয়েকজন মিলে উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া অথবা ঋণ করে হলেও উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া। ” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
মূলত, উম্মতের খায়ের-বরকত ও ভালাইয়ের জন্যই এই সম্মানিত ওয়াছিয়ত মুবারক করা হয়েছে। এই সম্মানিত কুরবানী মুবারক উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে একজন আদনা ও গুণাহগার উম্মতের বিশেষ নিসবত মুবারক হাছিল হবে। যা তার ইহকালীন ও পরকালীন নাজাত ও সর্বোচ্চ কামিয়াবী লাভের কারণ। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনাসানসহ আমাদের সবাইকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ওয়াছিয়ত মুবারক পালন করে উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার তাওফীক্ব দান করুন এবং তার পাশাপাশি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পক্ষ থেকে কোটি- কোটি সম্মানিত কুরবানী মুবারক করে যাচ্ছেন, সেই সম্মানিত কুরবানী মুবারক-এ আর্থিক আনজাম দেয়াসহ সার্বিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)