নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যস্ততা মুবারক-এ হাক্বীক্বী দীদার মুবারক লাভের বিশেষ বর্ণনা মুবারক
, ২৬ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৯ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
এ প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২০শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়িদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছানাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “বলা হয় যে, একটা সূচের মাথার যে ছিদ্র, মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পরিমাণ তাজাল্লা মুবারক যাহির করেছেন। ফলে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ছিটকে পড়ে গেলেন, বেহুঁশ হয়ে গেলেন। পাহাড়টা টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি প্রায় ১দিন বেহুঁশ ছিলেন।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَنَـحْنُ اَقْـرَبُ اِلَـيْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيْدِ
‘আর আমি মানুষের প্রাণ রগের চেয়েও অধিক নিকটবর্তী।’ (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ক্বফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)
এর একটা হাক্বীক্বত মহান আল্লাহ পাক তিনি যাহির করেছেন। এটা কঠিন একটা বিষয়। এটা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। তারপরেও বললে বলতে পারি অল্প করে। বিষয়টা হলো এরকম- ঠিক হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার যে অবস্থাটা, এই অবস্থাটা। আমি ফিকির করছিলাম বিষয়টা। এইটা এর আগে এরকম আমি ফিকির করিনি। মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা- এটা করবেন।
وَخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًا
‘আর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বেহুঁশ হয়ে গেলেন।’
যখন এটা আমি ফিকির করলাম, দেখতে পেলাম- সরাসরি সামনে যিনি খ¦ালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উপস্থিত হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলাম। ব্যাথা পাইনি। শুয়ে পড়েছিলাম। তারপর উঠেছি। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার যে হালটা, এইটার একটা অংশ যাহির হলো। এটা সরাসরি বরদাস্ত করা যায় না। মনে হয় যে শরীরটা ফয়েয-তাওয়াজ্জুতে পিশে গেলে যেরকম হয়, সমস্ত শরীর ব্যাথায় সেরকম হয়ে যায়। পড়ার পর হুশ ছিলো না। অতঃপর হুশ আসলে দেখলাম, শোয়া আছি। এরপর আস্তে আস্তে উঠেছি। বিষয়টা দেখলাম-
وَخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًا
কঠিন বিষয় এটা। এটা দিয়ে, বিষয়টি উপলদ্ধিতে আসলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যস্ততা যখন থাকে, তখন ঐটা বরদাস্ত করা সহজ হয়। এছাড়া এটা বরদাস্ত করা কঠিন। বেঁচে থাকাই কঠিন। চোখের পলকে অদৃশ্য-গায়েব হয়ে গেলাম। গায়েব হয়ে কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমি শোয়া আছি। ফ্লোরে শোয়া আছি। হুঁশ ফিরলো, তারপর আমি উঠলাম। অনেক কঠিন। বলা হয়- পবিত্র ওহী মুবারক উনার তাছির মুবারকের কারণে উট যে দাঁড়ানো থেকে বসে যায়! শরীর মনে হয় একদম ই হয়ে গেছে। সেটাই বললাম যে, আসলে নেয়ামতের তো অভাব নেই। মহান আল্লাহ পাক অনেক দেন। বিষয়গুলো তো কঠিন। আবার বরদাস্ত করাও কঠিন। অনেক কঠিন বরদাস্ত করা। বেঁচে থাকাই তো কঠিন। চোখের পলকেই হয়ে গেছে জিনিসটা। এমনে কোনো ব্যাথা সরাসরি মাথায় বা হাতে নেই। তবে বসার জায়গায় বসেছি যে, ঐ বসার জায়গাটা একটু ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। মাথায় কোনো ব্যাথা লাগে নাই। এইটা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার হালটা। উনার হালটা কিরকম তাহলে?
এটা প্রমাণ হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে থাকলে, উনার মধ্যস্ততা থাকলে, যেভাবে হেফাযত হয়, এটা সেটা না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো ২৪ ঘন্টা দীদারে আছেন। কঠিন বিষয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুদরতময় সৃষ্টি। তিনি কুদরত মুবারকেই আছেন। উনার মাধ্যম দিয়ে যখন আসবে, তখন বরদাস্ত করা যাবে। অন্যথায় কেউ বরদাস্ত করতে পারবে না।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (৩)
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক উনার পরশে ঝর্ণা প্রবাহিত হওয়া
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক উনার পরশে পাথর নরম হয়ে যাওয়া
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৭)
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (২)
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কণ্ঠস্বর মুবারক
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শ্রবণ মুবারক
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত খিলাফত মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া (১)
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৫)
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্ধকারে-আলোতে, দিনে-রাতে এবং সামনে-পিছনে সমান দেখতেন
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)