মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ইলম হচ্ছে আমলের ইমাম”।
দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে।
তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নিজে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা এবং অধীনস্তদেরকে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া। পাশাপাশি সে অনুযায়ী আমল করা এবং নিজের জীবন পরিচালনা করা।
, ০৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, দ্বীনি ইলম অর্জন না করলে পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ঐ সমস্ত লোকদের মত হয়োনা যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে গিয়েছে। আর ভুলে যাওয়ার কারণে তাদের আত্মবিস্তৃতি ঘটেছে। তারাই নাফরমান বা অবাধ্য। ” যে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যাবে সে নিজেকেও ভুলে যাবে অর্থাৎ নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে ভুলে যাবে। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যাওয়া থেকে বাঁচতে হবে। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যাওয়া মানে হলো উনার আদেশ-নিষেধ, বিধি-বিধানকে ভুলে যাওয়া। আর উনার বিধানকে ভুলে গেলে বান্দারা আত্মবিস্মৃত হয়ে যাবে, নিজেদের সৃষ্টিরহস্য বা দুনিয়াতে আগমনের উদ্দেশ্য কি তা জানতে পারবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, “যে নিজেকে চিনতে পারলো সে মহান আল্লাহ পাক উনাকে চিনতে পারলো। ” বান্দা নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে যত বেশি জানবে, নিজেকে যত বেশি চিনবে তত বেশি মহান আল্লাহ পাক উনার বড়ত্ব, মহত্ব, কর্তৃত্ব, উনার দয়া-ইহসান সম্পর্কে জানা, বুঝা সম্ভব হবে অর্থাৎ উনার মা’রিফাত বা পরিচয় লাভ করতে পারবে। তখন বান্দা মহান রব তায়ালা উনার বিধি-বিধান পালনে সচেতন হবে, উনার মুহাব্বত অর্জনে নিজেকে নিয়োজিত করতে সচেষ্ট হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদেরকে কোন উদ্দেশ্যে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন সে সম্পর্কে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি (মহান আল্লাহ পাক) জ্বিন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদত-বন্দেগী করার জন্য। ” মহান আল্লাহ পাক উনার মুহাব্বত, মা’রিফাত হাছিল করে উনার ইবাদত-বন্দেগী ও আনুগত্য করার জন্যই তিনি জ্বিন-ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি জ্বিন-ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী, আনুগত্য করার জন্য। তারা যেন মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী চলে এটাই মূল উদ্দেশ্য। তাই উনার আদেশ-নিষেধগুলো জানতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধ তথা বিধি-বিধান জানে না কিন্তু কাফির মুশরিকদের বিধি-বিধান জানে। আর এই জন্য তারা কোনো আমলও করতে পারে না। মনে করে কাফির-মুশরিকদের বিধি-বিধানই তার প্রয়োজন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার বিধি-বিধান জানার প্রয়োজন নেই। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ এই বিধি-বিধান সম্পর্কিত জ্ঞান বা দ্বীনি ইলম অর্জন করাই ফরয। মানুষ দ্বীনি ইলম অর্জন না করলে আমলও করতে পারবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ইলম হচ্ছে আমলের ইমাম। ” জামায়াতে নামায আদায় করার জন্য যেমন ইমাম আবশ্যক ঠিক তদ্রুপ আমল করার জন্য দ্বীনি ইলম অর্জন করা আবশ্যক। পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলার জন্য ইলম অর্জন করা ফরয। ”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ওহী মুবারকের ইলমকেই অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফের ইলমকেই দ্বীনি ইলম বলা হয়। আর দুনিয়াবী শিক্ষাকে হুনর বলা হয়, যা দ্বারা দুনিয়াবী কোনো কাজের যোগ্যতা অর্জন করা হয়। দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে যে, কেন সে দ্বীনি ইলম অর্জন করলো না? এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে। কিন্তু হুনর বা দুনিয়াবী শিক্ষা অর্জন করা ফরয না। আর এর জন্য পরকালে কোনো জবাবদিহিও করতে হবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, দ্বীনি ইলম অর্জনের মাধ্যমেই মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনাকে চিনতে পারে, ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যা এবং হক্ব-বাতিলের মাঝে পার্থক্য করতে পারে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী করতে পারে। তাই এই ইলম অর্জনের দ্বারাই বান্দাদের পক্ষে দুনিয়াতে আগমনের প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা এবং পরকালের কঠিন জবাবদিহিতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নিজে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা এবং অধীনস্তদেরকে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া। পাশাপাশি সে অনুযায়ী আমল করা এবং নিজের জীবন পরিচালনা করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবত্রি সুন্নত মুবারক পালনরে অফুরন্ত ফযীলত মুবারক।
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনে আমলে ছলেহ করছেন উনারা ব্যতীত সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ” যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মালিকুল মিনআম, ছহিবুল কারাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে নিয়মিত পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারীদের জন্য অপরিসীম সুসংবাদ
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- হামদ্ শরীফ, না’ত শরীফ, ক্বাছীদাহ শরীফ ইত্যাদি লেখা বা রচনা করা, পাঠ বা আবৃত্তি করা এবং শ্রবণ করা সবই খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, শাফিউল মুয্নিবীন, রহমতুল্লিল ‘আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তা’লীম গ্রহণ করেন এবং পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তা’লীম দেন।”
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রত্যেক ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জন্য ফরয হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রেখে উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
“আমি তোমাদের জন্য যা রেখে গেলাম তা তোমরা গ্রহণ করলে কখনোই গুমরাহ হবে না; তা হচ্ছেন পবিত্র কিতাবুল্লাহ এবং আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই হিদায়েতের মূল এবং ভিত্তি। উনাদের মুহব্বত ঈমান আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
০৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
০৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
০৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি ও আখেরী রসূল মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন, এছাড়া বাকি সব কিছু। সুবহানাল্লাহ!
০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)