মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা (পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র কুরবানী উনাদের) নির্দিষ্ট কয়েক দিন মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করো।’
ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো- পবিত্র ৯ই যিলহজ্জ শরীফ ফজর হতে পবিত্র ১৩ই যিলহজ্জ শরীফ আছর পর্যন্ত প্রত্যেক পুরুষ-মহিলা, মুকীম-মুসাফির, একা বা জামায়াতে, শহরে-গ্রামে প্রত্যেকের জন্যই প্রতি ফরয নামাযের পর একবার তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব আর তিনবার পাঠ করা মুস্তাহাব।
তাই, আগামীকাল ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র ফজর থেকে আগামী ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) পবিত্র আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক পাঠ করতে হবে। তাকবীরে তাশরীক হলো- ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
, ০৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাকবীরে তাশরীক উনার উৎপত্তি ইতিহাস সম্পর্কে বলা হয়, মহান আল্লাহ পাক উনার খলীল আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করলেন, হে বারে ইলাহী! আমাকে একজন নেক সন্তান হাদিয়া করুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে একজন ধৈর্যশীল সন্তান হাদিয়া করার সুসংবাদ প্রদান করেন। অর্থাৎ হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ সম্পর্কে সুসংবাদ হাদিয়া করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করলেন এবং যখন হাঁটাহাঁটির বয়সে উপনীত হলেন তখন হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মিনায় নিয়ে গিয়ে বললেন, ‘হে আমার প্রিয় বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি আপনাকে যবেহ বা পবিত্র কুরবানী করছি। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?’ হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি জবাব দেন, ‘হে আমার সম্মানিত পিতা! আপনাকে যা ওহী মুবারক করা হয়েছে আপনি তা বাস্তবায়িত করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যখন হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক উনার মধ্যে ছুরি চালাতে থাকেন; মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত! যতই ছুরি চালানো হচ্ছে হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক কিন্তু কাটছে না। সুবহানাল্লাহ! হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ছুরির ধার পরীক্ষা করার জন্য ছুরিটি একটি পাথরে আঘাত করলেন। সাথে সাথে পাথরটি দ্বিখ-িত হয়ে গেলো। হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে ছুরি! তুমি পাথরকে দ্বিখ-িত করে দিলে অথচ হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক কাটতে পারছো না? মহান আল্লাহ পাক তিনি ছুরির যবান খুলে দেন। ছুরি বললো, ‘হে মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত খলীল আলাইহিস সালাম! আপনি একবার কাটার জন্য আদেশ মুবারক করেন আর আমার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ৭০ বার কাটতে নিষেধ মুবারক করছেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে যবেহ করার চেষ্টায় নিয়োজিত ছিলেন ঠিক এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা এনে হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট দেয়ার নির্দেশ মুবারক দিলেন। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি যখন দুম্বা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখলেন, হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার প্রাণাধিক প্রিয় সন্তান হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক উনার মধ্যে ছুরি মুবারক চালাচ্ছেন। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আশ্চর্যান্বিত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার বড়ত্ব, মহত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।’ একথা বলে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সরিয়ে ছুরির নিচে দুম্বাটি দিয়ে দিলেন। হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে তখন তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার একত্ববাদের ঘোষণা দিয়ে বললেন, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’। এদিকে হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিও যখন বুঝতে পারলেন যে, তিনি যবেহ না হয়ে উনার পরিবর্তে একটি দুম্বা যবেহ হচ্ছে তিনিও তখন মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করে বললেন, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে এটাই তাকবীরে তাশরীক।’ সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ৯ তারিখ পবিত্র ফজর থেকে ১৩ তারিখ পবিত্র আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামায উনার পর তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ মুবারক। পুরুষ হোক, মহিলা হোক, শহরে হোক, গ্রামে হোক, মুক্বীম হোক, মুসাফির হোক, একা হোক বা জামায়াতে হোক প্রত্যেকের জন্য প্রত্যেক অবস্থায় প্রতি ফরয নামাযের পর একবার তাকবীর পাঠ করা ওয়াজিব আর তিনবার পাঠ করা সুন্নত। যা এ বছরের (অর্থাৎ ১৪৪৫ হিজরীর) জন্য আগামীকাল ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র ফজর থেকে আগামী ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) পবিত্র আছর পর্যন্ত।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কেউ কেউ বলে ‘তাকবীর’ একবার পাঠ করতে হবে; তিনবার পাঠ করা যাবে না- তাদের কথা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও দলীলবিহীন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সর্বজনমান্য এবং স্বীকৃত ইমাম-মুজতাহিদ ও ফুক্বাহায়ে কিরামগণ উনাদের বিশ্ববিখ্যাত ফতওয়ার কিতাবে একাধিকবার তাকবীরে তাশরীক বলা মুস্তাহাব বা ফযীলতের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, “দুররুল মুখতার” কিতাব উনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, “তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তবে যদি (কেউ) একাধিকবার বলে, তাহলে তা ফযীলতের কারণ হবে।” আর “ফতওয়ায়ে শামীতে” উল্লেখ আছে, “কেউ কেউ বলেছেন (তাকবীরে তাশরীক) তিনবার।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “গায়াতুল আওতার”, “শরহে দুররুল মুখতার” কিতাব উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে (মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে) আদিষ্ট হওয়ার কারণে একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। আর যদি একবারের চেয়ে অতিরিক্ত বলে তবে ছওয়াবের অধিকারী হবে।” “মুলতাক্বাল আবহুর” কিতাব উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, যদি “তাকবীরে তাশরীক” একাধিকবার বলে তাহলে তা মুস্তাহাব বা সুন্নত হবে। “মারাকিউল ফালাহ” কিতাব উনার ৩৫১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “সাধারণভাবে একাধিকবার “তাকবীরে তাশরীক পড়া মুস্তাহাব-সুন্নত।” “শরহে নেকায়া” কিতাব উনার মধ্যে ৩০৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “তাকবীরে তাশরীক একবার পাঠ করা ওয়াজিব। আর একাধিকবার পাঠ করা মুস্তাহাব।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো- পুরুষ হোক, মহিলা হোক, মুক্বীম হোক, মুসাফির হোক, একা হোক বা জামায়াতে হোক, শহরে হোক, গ্রামে হোক, প্রত্যেকের জন্য প্রতি ফরয নামায উনার পর একবার তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব আর তিনবার পাঠ করা সুন্নত। যারা এর ব্যতিক্রম বলে তাদের কথা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও দলীলবিহীন।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ‘যে ব্যক্তি পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দায় রাখে না, সে দাইয়্যূছ। ’ নাউযুবিল্লাহ! ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, ফ্যাশন শো, সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, সেলফি, গান-বাজনা, খেলাধুলা এগুলো মুসলমানদেরকে ‘দাইয়্যূছ’ বানানোর অর্থাৎ বেপর্দা-বেহায়া করার বিধর্মীয় বা বিজাতীয় সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র। নাউযুবিল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- মুসলমান দাবীদার যারা পূজামন্ডপ ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পরিদর্শন করেছে, গীতা বা মন্ত্র পাঠ করেছে, যেখানে তথাকথিত ইসলামী গজল পরিবেশন করেছে, প্রসাদ খেয়েছে ও পূজায় আর্থিক সাহায্য-সহায়তা করেছে- তারা সবাই কুফরী করার কারণে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে মুরতাদ হয়ে গেছে। নাউযুবিল্লাহ!
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ” মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেহেতু প্রতি আরবী মাসের এ মুবারক তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান বরকতপূর্ণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই রবীউছ ছানী শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির মূল। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে হলে উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত হাছিল করতে হবে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত হাছিল করার বিশেষ উছীলা হলো- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ পালন করা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ খলীফা হলেন উনারা যারা সম্মানিত সুন্নত মুবারক প্রচার-প্রসার করবেন এবং উনাদের উপরই মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত অবধারিত। সুবহানাল্লাহ! আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাফায়াত মুবারক পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উম্মতদের জন্য ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের জন্য রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিবেন এবং উনাদের জন্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মাগফিরাত কামনা করবেন। ফলে উনারা নাজাত লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই রবীউছ ছানী শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানিত আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তোমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো, উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক বা প্রশংসা মুবারক বর্ণনা করো সকাল-সন্ধ্যা। ” অর্থাৎ দায়িমীভাবে সদা-সর্বদা অনন্তকাল ধরে। সুবহানাল্লাহ!
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫ই রবীউছ ছানী শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুশ শাবাবী আহলিল জান্নাহ, রাইহানু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ও পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা রবীউছ ছানী শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)