চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (৮)
আরবী মাসের তারিখ ঘোষণা নিয়ে সউদী সরকারের ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কথা
, ২৩ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২২ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আল হিলাল
চতুর্থ মনগড়া পদ্ধতিতে মাস গণনার প্রমাণ:
২০০৩ খৃষ্টাব্দে (১৪২৩ হিজরী) থেকে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার নতুন বানানো একটি নিয়মে অর্থাৎ চতুর্থ মনগড়া পদ্ধতিতে আরবী মাস গণনা করে যাচ্ছে।
তাদের উম্মুল কুরার প্রশাসনিক ওয়েব সাইটে পদ্ধতিটি বর্ণিত হয়েছে এভাবে যে-
১. যদি সূর্যাস্তের পূর্বে জিওসেন্ট্রিক অমাবস্যা সংঘটিত হয়,
২. আর সূর্যাস্তের পর চন্দ্রাস্ত হয়,
তাহলে পরের দিন থেকে নতুন মাসের প্রথম দিন শুরু হবে।
চিত্র-৪ : উম্মুল কুরার প্রশাসনিক ওয়েবসাইটে বর্ণিত চতুর্থ মনগড়া পদ্ধতির শর্তদ্বয়
লক্ষ্যণীয় যে, এ পদ্ধতিতেও খালি চোখে চাঁদ দেখাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের চাঁদ নিয়ে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সমাজে তিন শ্রেণীর লোক পরিলক্ষিত হয়। এক শ্রেণীর লোক যাদের চাঁদ বিষয়ক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার জ্ঞান রয়েছে এবং সউদী ওহাবী ইহুদীদের অন্যান্য অপকর্ম সম্পর্কে উনারা জ্ঞাত আছেন। দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করায় স্বাভাবিকভাবেই উনাদের বিশ্বাস আরো দৃঢ় হবে আশা করা যায়।
দ্বিতীয় শ্রেণীর যারা দলীল-প্রমাণ তলব করে থাকে তাদের জন্য যথেষ্ট দলীল-প্রমাণ ইতোমধ্যে উপস্থাপিত হয়েছে এবং সামনে আরো হবে।
তৃতীয় শ্রেণী যারা চিন্তা-ভাবনা করে থাকে যে, সউদী সরকার কি কম বুঝে? সেখানে কি আলিম-উলামা নেই, মহাকাশ বিজ্ঞানী নেই? তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে হয়- উপরোক্ত তথ্যগুলো সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকেই এসেছে। আর পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের খিলাফ করে কোনো নামধারী আলিম-উলামার মনগড়া ফতওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নাম দিয়ে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোন কাজ করলেই তা ইসলামী কাজ বা সম্মানিত শরীয়ত সমর্থিত কাজ হয় না। সম্মানিত শরীয়ত উনার জায়িয কাজগুলোর পেছনে থাকে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের সমর্থন। আর যখন কোন ব্যক্তি বা কোন কর্তৃপক্ষের কাজ সম্মানিত শরীয়ত উনার সমর্থন হারায় অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে জায়িয প্রমাণিত হয় না, তখন অবশ্যই বলতে হবে যে, তার বা তাদের কাজগুলো নফস্ বা কুপ্রবৃত্তি দ্বারা প্ররোচিত এবং কোন উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত। সেখানে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক নেই বরং রয়েছে ইবলীস ও তার সহযোগি ইহুদী-নাছারাদের মনতুষ্টি।
সুতরাং সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা শর্তকে উপেক্ষা করে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার যত পদ্ধতিই তৈরি করুক না কেন, সে অনুযায়ী আরবী মাস শুরু করলে মুসলমান উনাদের পবিত্র হজ্জ, রোযাসহ সম্মানিত শরীয়ত উনার অনেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং যাচ্ছে। আর উক্ত মনগড়া নিয়মে আরবী মাস গণনা করায় সে দেশসহ অনুসারী সবার সমস্ত আমল নষ্টের দায়-দায়িত্ব সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারকেই নিতে হবে। (চলবে)
-এবিএম রুহুল হাসান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
চাঁদ দেখে সকল আরবী মাস শুরু করার গুরুত্ব
২৮ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (১৪)
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (৩)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চাঁদ এবং ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদীদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত (১)
১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার চাঁদ দেখা যায়নি
২২ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র শাবান শরীফ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ৭ই মার্চ
২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)