মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি (হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম) উনাদের প্রতি মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত ওহী মুবারক পাঠাতাম।’ সুবহানাল্লাহ!
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ছহীহ আক্বীদা হলো- সকল হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা মা’ছূম অর্থাৎ নিষ্পাপ। উনারা যাবতীয় ভুল-ত্রুটি, গুনাহ-খতা হতে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র থেকে পবিত্রতম। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন এবং সর্বাধিক বিশুদ্ধ আক্বীদাহ পোষণ করা।
, ০৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ১০ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের দৃষ্টিতে উপরোক্ত আক্বীদা পোষণ করা বা অনুরূপ বক্তব্য প্রদান করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। মূলত¬ এ ব্যাপারে ছহীহ আক্বীদা হলো- ‘কোনো হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা কখনো কোনো ভুল করেননি। ইচ্ছাকৃত তো নয়ই, অনিচ্ছাকৃতও নয়।’ অর্থাৎ হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা কখনো কোনো ভুলই করেননি। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আক্বাইদ উনার কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, “সকল হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা মা’ছূম বা নিষ্পাপ।” সুবহানাল্লাহ! আক্বাইদ উনার কিতাবে আরো উল্লেখ আছে, “সকল হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম উনারা ছগীরা, কবীরা, কুফরী, শিরকী এমনকি অপছন্দনীয় কাজ হতেও মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত।” সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকল হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ও মনোনীত বান্দা উনাদের অন্তর্ভুক্ত। আর উনারা প্রত্যেকেই মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত ওহী মুবারক উনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত কুরআন শরীফ উনার একাধিক স্থানে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আমি উনাদের (হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের) প্রতি মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত ওহী মুবারক পাঠাতাম।” সুবহানাল্লাহ! (সূরা ইউসূফ শরীফ: আয়াত শরীফ ১০৯, সূরা নহল শরীফ: আয়াত শরীফ ৪৩, সূরা আম্বিয়া শরীফ: আয়াত শরীফ ৭) অর্থাৎ হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের যাবতীয় কার্যাবলীই মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত ওহী মুবারক উনার দ্বারা (মহান আল্লাহ পাক উনার কর্তৃক) পরিচালিত হতেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে একথা বলা কি করে শুদ্ধ হতে পারে যে, উনারা গুনাহ-খতা বা ভুল করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে তো মহান আল্লাহ পাক উনাকেই দোষারোপ করা হয়। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের গুনাহ-খতা ও ভুল সম্পর্কে যে সমস্ত লোক বলে থাকে, তারা মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত আক্বাইদ সম্পর্কে নিতান্ত অজ্ঞ হওয়ার কারণে ও সঠিক ইতিহাস না জানার কারণে এবং মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের সঠিক ব্যাখ্যা না বুঝার কারণেই হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত শান মুবারক সম্পর্কে বেয়াদবীমূলক ও কুফরী কথাবার্তা বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই যেকোনো লোকের জন্যই হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত শান মুবারক উনার বিন্দুমাত্র খিলাফ কথাবার্তা বলা সম্পূর্ণ নাজায়িয, হারাম, কুফরী ও চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। এ ধরনের কুফরী আক্বীদা ও বক্তব্য থেকে বেঁচে থাকা সমস্ত মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরয। অতএব, প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন এবং সর্বাধিক বিশুদ্ধ আক্বীদাহ পোষণ করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা খাছ সুন্নত মুবারক ও জিহাদ স্বরূপ। বর্তমান সময়ে ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। তাই, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্তে মুসলমানদের জন্য নেক দুআ এবং ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে শক্ত বদ দুআ করা।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে- আগামী ২৯শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ ১৪৪৬ হিজরী, ৪ঠা ছামিন ১৩৯২ শামসী, ১লা জানুয়ারী ২০২৫ খৃঃ, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিবাগত সন্ধ্যায়। দেশের অনেকেই কোন্টি হিজরী সনের প্রথম মাস সেটি জানে না। নাঊযুবিল্লাহ!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে- আগামী ২৯শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ ১৪৪৬ হিজরী, ৪ঠা ছামিন ১৩৯২ শামসী, ১লা জানুয়ারী ২০২৫ খৃঃ, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিবাগত সন্ধ্যায়। দেশের অনেকেই কোন্টি হিজরী সনের প্রথম মাস সেটি জানে না। নাঊযুবিল্লাহ!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আত্বওয়ালু ইয়াদান, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মহান দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় ২২শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণের সুমহান দিন। সুবহানাল্লাহ!
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ দিনটি সকলের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- শরাব বা মদসহ সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্যই হারাম। অথচ বাংলাদেশে সরাসরি শরাব বা মদ তো বিক্রি হচ্ছেই; এমনকি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের নামেও প্রকাশ্যে শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য চলতে পারে না এবং শরাব বা মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র মসজিদ ও মসজিদের জায়গা উনার একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। সুবহানাল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)