আহলু বাইতি রসূলল্লিাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়মি মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রহমাতুল্ললি আলামীন মামদূহ র্মুশদি ক্ববিলা সাইয়্যদিুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহসি সালাম উনার মহাসম্মানতি ফায়জে-তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক পেয়ে সক্রয়ি হলনে ৪ মাযহাবরে ইমামগণ
, ১৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২০ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
কিভাবে করতে হবে? বললেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিতে হবে। কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে? বললেন, সেখানে গেলেই চলবে। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকেসহ রওনা হলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) গেলাম সেখানে। দেখলাম যে, বিরান। আগেই বিরান দেখে এসেছি। ঐ রকমই দেখেছি। বললেন, আবাদ করতে হবে। কিভাবে আবাদ করতে হবে? তো উনি কিছু ব্রাশ, রং নিয়ে বললেন, আমরা রং করে দেই। উনিসহ আমরা তিনজন মিলে রং করলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আবাদ হলো। উনারা চার জনই একদম পুরো সতেজ হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) গতবার তো ধারাবাহিকতাটা দেখা হয়নি। এবার দেখলাম- ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি এক নাম্বার। তারপর ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই চারজন। উনারা উনাদের কাজ শুরু করলেন।
হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন, উনারা তো সক্রিয় নেই, সক্রিয় করতে হবে। তো সক্রিয় হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
তারপর একখানে আমাদের বসার ব্যবস্থা করলেন, খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন। আচ্ছা, ঠিক আছে; বসলাম। কিছু দিলেন, খেলাম। উনাদের কাজ উনারা করতেছেন। তারপরে বললেন যে, আমাদের কাজ তো আমরা করেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে উনারা কিছু ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিবেন। ভালো কথা। উনারা বললেন যে, হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনিও আছেন। উনাকে আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উনি জামিউন নিসবত। এখন ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দেওয়া হবে। আমাকে বললেন, তাহলে আপনার পরিবারের সবাইকে আনেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হবে। তোমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনিসহ সবাইকে এনে আমি বসালাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সিরিয়াল মতো সবাইকে বসিয়েছি। যারা আছেন সবাইকে বসিয়েছি। হযরত নাকিবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনারাসহ ছোট-বড় সবাইকে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনারা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিলেন। যাই হোক, অনেকক্ষণ থাকলাম। এরপরে এসে পড়লাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা তো চারটা মাযহাবই ক্ববূল করেছেন, তাই এই চারটা মাযহাব জারী করার দরকার আছে। নিষ্ক্রিয় থাকলে কিভাবে চলবে? তাহলে যেয়ে একটু ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিয়ে আসেন। আমরা সক্রিয় করে দেই। ওই হিসাবে গেলাম। এখন সক্রিয় হোক, তাহলে দ্বীনের খিদমতের আন্জাম হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
উনি বললেন যেটা- মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ক্ববূল করেছেন চার মাযহাব। এগুলি এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এগুলো সক্রিয় করতে হবে। তাই ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে। কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিবো? বললেন, ওখানে গেলেই চলবে। আর কিছু লাগবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি গেলাম, সক্রিয় হলো একদম পুরো সতেজ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এগুলি বুঝবে মানুষ? কিভাবে বুঝবে? বুঝবে এরা কোনো দিন? মাযহাব তো আরো সক্রিয় হলো। উনারা উঠে বসে যাঁর যাঁর কাজ শুরু করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা এভাবে বলা হয়- হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী, মালেকী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এর মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছে। যখন আমরা ঐ ইমাম সাহেবদের পরিষ্কার করতেছিলাম। তখন হঠাৎ হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন, ‘আরে! ইবলিসটা আসতেছে।’ ইবলিসটা উড়ে আসতেছিলো। আমি বললাম, এইটারে পাকড়াও করো। করে একদম হাজার মাইল দূরে ফেলে দাও নিয়ে। তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ধরে নিয়ে ইবলিসটাকে হাজার মাইল দূরে ফেলে দিয়ে আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সে বাধা দেওয়ার জন্য আসতে চেয়েছিলো। আমি বললাম, এটারে পাকড়াও করো। ঠিকই পাকড়াও করা হলো। আমরা প্রথমে খেয়াল করিনি। উনিই খেয়াল করছেন প্রথমে। একটা গেঞ্জির মতো পরা আর একটা লুঙ্গির মতো পরা। উড়ে আসতেছিলো। আমি বললাম, পাকড়াও করো এটারে। পাকড়াও করে হাজার মাইল দূরে ফেলে দাও। ইবলিসটাকে ধরে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সে কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার জন্য আসতে চেয়েছিলো। শয়তান তো শয়তানী করবেই। ওয়াসওয়াসা দিবে। তো ওয়াসওয়াসা দিলে, এটা ডিঙ্গিয়ে যেতে হবে। তাহলেই হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৭)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)