অনুসরণীয় চার মাযহাব উনাদের ফতওয়া মুতাবিক সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারী, কটাক্ষকারী, অবমাননাকারীদেরকে শরঈ শাস্তি প্রদান করা ওয়াজিব
, ০৫ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে, উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সম্পর্কে, উনার সম্মানিতা আওয়াজে মুত্বহহারাত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে এবং উনার সম্মানিত আওলাদ হযরত আবনা আলাইহিমুস সালাম ও হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সুমহান শান বা মর্যাদার খিলাফ আচরণ যারা প্রকাশ করবে, উনাদের সম্পর্কে কটুক্তি করবে, সমালোচনা করবে, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করবে, অবমাননাকর বা অসম্মানসূচক বাক্য ব্যবহার করবে, এরা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, এরা ঈমানদার হিসেবে, মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে না, এদের তওবা নছীব হবে না, এদেরকে ক্বতল করা ওয়াজিব। এরা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালে লা’নতগ্রস্ত এবং এরা চিরজাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!
এতদসম্পর্কিত বিষয়ে অনুসরণীয় সম্মানিত মাযহাব চুতষ্ঠয়ের ফতওয়া উল্লেখ করা হলো।
সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফতওয়া:
আল্লামা খইরুদ্দীন রমলী আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘ফতওয়া বাযযাযিয়ার’ মধ্যে উল্লেখ করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে গালমন্দকারীকে কতল করা আবশ্যক। তার তওবা গ্রহণযোগ্য হবেই না। চাই গ্রেফতারের পরে কিংবা পূর্বে যথাযথভাবে তওবা করুক। কেননা এরা যিন্দীকের হুকুম রাখে। আর যিন্দীকের তওবা কোনক্রমেই ধর্তব্য নয়। আর এ ক্ষেত্রে কোন মুসলমানের মতানৈক্যের কল্পনাও করা যাবে না। এ অপরাধের সম্পর্ক হক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হক্বের সাথে সম্পৃক্ত। যা কেবল তওবা দ্বারা মাফ হয় না। এটাই খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মতামত। যা ইমামে আ’যম ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাযহাব উনারও মত।
সম্মানিত মালিকী মাযহাব উনার ফতওয়া:
হযরত ইবনে কাসিম মালেকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে ঐ হতভাগা খ্রিস্টানের ব্যাপারে ফতওয়া চাইলাম যে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে কটূক্তিকারী এক কুলাঙ্গার প্রমাণসহ ধরা পড়েছে। সে বলেছিল- “ঐ ফকীর ... (এমন বাক্য উচ্চারণ করে যা সত্যিই লোমহর্ষক তাই তা উল্লেখ করা হলো না)”
এ কথা শুনে হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বললেন, তার গর্দান উড়িয়ে দাও। (আশ শিফা দ্বিতীয় খ- ৪৫২ পৃষ্ঠা)
সম্মানিত শাফিয়ী মাযহাব উনার ফতওয়া:
হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গাল-মন্দ করার দ্বারা ওয়াদা ভঙ্গ হয়ে যায়। এ শ্রেণীর লোকদের ক্বতল করা অপিরহার্য। তিনি উনার কিতাব ‘আদ্দম’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন, মুসলিম দেশে বসবাসকারী কাফিরদের করের চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করার সময় মুসলিম বিচারক এ কথাটি লিখে দিবেন যে, তোমাদের কেউ যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কিংবা যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব বা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং সকল মুসলমান উনাদের থেকে তার নিরাপত্তা রহিত হয়ে যাবে। তার জান-মাল মুসলিম শাসকের জন্য হালাল হয়ে যাবে। (আসসারিমুল মাসলূম ৩৪)
সম্মানিত হাম্বলী মাযহাব উনার ফতওয়া:
হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মত হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে যে ব্যক্তি গালি দিবে কিংবা কটাক্ষ করবে চাই সে মুসলিম হোক বা কাফির, তাকে কতল করা ওয়াজিব। শুধু তাই নয়, উক্ত মাযহাব উনার সর্বসম্মত মতে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে গালি দেয়ার শাস্তিও একইরূপ অর্থাৎ তাদেরকেও ক্বতল করা ওয়াজিব। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের কটাক্ষ করার দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বংশেরই প্রতি কালো দাগ পড়ে। নাউযুবিল্লাহ!
একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা নিসা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ব্যাপারেও কেউ অপবাদ দিলে, গালমন্দ করলে সেও ক্বতলের যোগ্য এবং তার তওবা কবুল হবে না।
-আল্লামা মুফতী আহমদ আবূ খুবাইব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (১)
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৫)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত ঈমান, আর উনাদের সমালোচনা করা লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)