পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت العرباض بن سارية رضى الله تعالى عنه قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ايـحسب احدكم متكئا على اريكته يظن ان الله لـم يـحرم شيئا الا ما فى هذا القران الا وانى والله قد امرت ووعظت ونـهيت عن اشياء انـها كمثل القران او اكثر.
অর্থ: “হযরত ইরবাদ্ব ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (আমাদের মধ্যে) দাঁড়ালেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার গদীতে হেলান দিয়ে একথা মনে করে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যা হারাম করেছেন তা ব্যতীত বাকি অংশ পড়ুন...
আবূ জাহিলের পরিণতি:
একবার কুরাইশদের সমস্ত নেতারা একত্রিত হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনেকগুলো প্রস্তাব দিলো। তিনি তাদের সমস্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন এবং সেখান থেকে চলে গেলেন।
তখন আবূ জাহল গোস্বায় বললো, ‘হে কুরাইশ ভাইয়েরা, তোমরা কি লক্ষ্য করছো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের ধর্মের সমালোচনা এবং উপাস্যদের নিন্দা করা থেকে বিরত হচ্ছেন না।
আমাদের পিতা ও পিতামহকে সারাক্ষণ গালমন্দ করে যাচ্ছেন। এ কারণে আমি মহান আল্লাহ প বাকি অংশ পড়ুন...
এক কথায় হচ্ছে-
يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَـعَالـٰى
{ قَدَّرَ فَـهَدٰى} [اَلْاَعْلَى: ৩]
{قَدَّرَهٗ تَـقْدِيْـرًا} [اَلْفُرْقَانُ: ২]
এটা ‘সূরা আ’লা শরীফ’ ও ‘সূরা ফুরক্বান শরীফ’ উনাদের মধ্যে আছে। আর এটা আবার সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনি বললেন যে, কুদরত উনার সরাসরি বাংলায় অর্থ হচ্ছে- ‘নিয়ন্ত্রণ’। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমার নিয়ন্ত্রণে আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এটাই হচ্ছে-
وَمَا يَـنْطِقُ عَنِ الْـهَوٰى. اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْىٌ يُّـوْحـٰـى
‘মহাসম্মানিত ও মহাপব বাকি অংশ পড়ুন...
৯৭ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুসাফিরী শান মুবারক نُوْرُ الرَّاكِبِ مُبَارَكٌ নূরুর রকিব মুবারক
৯৮ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুক্বীমী শান মুবারক نُوْرُ النَّعِيْمِ مُبَارَكٌ নূরুন না‘ঈম মুবারক
৯৯ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’লীম মুবারক نُوْرُ الْوَحْىِ مُبَارَكٌ নূরুল ওয়াহ্ই মুবারক
বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مَنْ سَبَّ نَبِيًّا مِّنَ الْاَنْۢبِيَاءِ فَاقْتُلُوْهُ وَمَنْ سَبَّ وَاحِدًا مِّنْ اَصْحَابِـىْ فَاجْلِدُوْهُ
অর্থ: “যে ব্যক্তি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে যে কোনো একজন হযরত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে গাল-মন্দ করবে, উনার মানহানী করবে, আপনারা তাকে শরঈ শাস্তি মৃত্যুদ- দিন। আর যে ব্যক্তি আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের মধ্য থেকে যে কোনো একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে গাল-মন্দ করবে, উনার মানহানী করব বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা বলেছেন, করেছেন বা অন্যের কোন কথা বা কাজের প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন উনাকে সুন্নাহ শরীফ বা হাদীছ শরীফ বলে। ব্যাপক অর্থে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত তাবিয়ীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কথা, কাজ ও সম্মতিকেও হাদীছ শরীফ বলে। তবে কারো মতে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত তাবিয়ীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কথা, কাজ ও সম্মতিকে আছার বলা বাকি অংশ পড়ুন...
সর্বজনমান্য ও নির্ভরযোগ্য বহু ইমাম-মুজতাহিদ এবং আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কর্তৃক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক উনাকে ‘ঈদ, ঈদে আকবর ও ঈদে আ’যম’ হিসেবে গ্রহণ করার দলীল:
(১) আল্লামা হযরত ইমাম আবুল আব্বাস শিহাবুদ্দীন আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে আবী বকর ইবনে আব্দুল মালিক কুস্ত¡লানী মিশরী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (পবিত্র বিছাল শরীফ ৯২৩ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
فَرَحِمَ اللهُ اِمْرَاً اِتَّخَذَ لَ বাকি অংশ পড়ুন...
মূল জিনিসটার সাথে ৪টা জিনিস সংযুক্ত হবে। সেটা প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে-
ثُـمَّ دَنَا فَـتَدَلّـٰـى. فَكَانَ قَابَ قَـوْسَيْـنِ اَوْ اَدْنـٰـى
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটবর্তী হলেন, ঝুঁকে গেলেন। কি পরিমাণ? ধনুকের দুই মাথা। ঐ ধনুক না। একটা ধুনুকের দুই মাথা টান দিলে যেমন মিলে যায়, এরকম। তাদের অর্থ তাদের কাছে। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হচ্ছে-
لِـىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّا يَسْعٰنِـىْ فِيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَا نَبِـىٌّ مُّرْسَلٌ
‘মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আমার এমন একট বাকি অংশ পড়ুন...
৯৪ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হেলান দেয়া শান মুবারক نُوْرُ الْقَرَارِ مُبَارَكٌ নূরুল ক্বর্রা মুবারক (স্থায়ী)
৯৫ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বৃদ্ধকাল মুবারক نُوْرُ النَّوَّرِ مُبَارَكٌ নূরুন নাওওর্য়া মুবারক (বহুত আলোকিত)
৯৬ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুস্থতা মুবারক نُوْرُ الْاِسْتَوٰى مُبَارَكٌ নূরুল ইস্তাওয়া মুবারক
বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম ইবনে সাহ্নূন মালিকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ اَنَّ شَاتِـمَهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَافِرٌ وَّحُكْمُهُ الْقَتْلُ وَمَنْ شَكَّ فِىْ عَذَابِهٖ وَكُفْرِهٖ كَفَرَ
অর্থ: “সমস্ত হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এই বিষয়ে ইজমা’ অর্থাৎ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গাল-মন্দকারী, উনার মানহানীকারী কাফির। তার হুকুম হলো- তাকে শরঈ শাস্তি মৃত্যুদ- দিতে হবে। আর যে ব্যক্তি এ ধরনের লোকদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে এবং শাস্তিযোগ্য হওয়ার বিষয়ে সন্দেহ কর বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ১৩ মুহররম শরীফের পর)
সুলত্বানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে যামান, আল্লামা হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন-
قالت حضرت ام الـمؤمنين الثالثة الصديقة عليها السلام لما مرض ابى اوصى ان يوتى به قبر النبى صلى الله عليه وسلم ويستأذن له ويقال هذا ابو بكر الصديق عليه السلام يدفن عندك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم فان اذن لكم فادفنون وان لم يؤذن لكم فاذهبوا بى الى البقيع فاتى به الى الباب فقيل هذا ابو بكر الصديق عليه السلام قد اشتهى ان يدفن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد اوصانا فان اذن لنا دخلنا وان لم يؤذن لنا انصرفنا فنودينا ادخلوا وكرامة سمعنا كلاما ولم نر احدا.
وقال حضرت على كرمه الله وجهه عليه السلام فى رواية اخرى رأيت الباب قد فتح فسمعت قائلا يقول ادخلوا الحبيب الى حبيبه فان الحبي বাকি অংশ পড়ুন...












