হযরত আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
{ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ} فَلِلنَّاسِ فِـىْ هٰـذَا الْمَقَامِ مَقَالَاتٌ كَـثِيْـرَةٌ جِدًّا لَـيْسَ هٰـذَا مَوْضِعَ بَسْطِهَا وَاِنَّـمَا يُسْلِكُ فِـىْ هٰـذَا الْمَقَامِ مَذْهَبُ السَّلَفِ الصَّالِحِ مَالِكٌ وَالْاَوْزَاعِىُّ وَالثَّـوْرِىُّ وَاللَّـيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَالشَّافِعِىُّ وَاَحْمَدُ بْنُ حَنْـبَلٍ وَاِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ وَغَيْـرُهُمْ مِنْ اَئِمَّةِ الْمُسْلِمِيْـنَ قَدِيْـمًا وَحَدِيْـثًا وَهُوَ اِمْرَارُهَا كَمَا جَاءَتْ مِنْ غَيْـرِ تَكْيِـيْفٍ وَلَا تَشْبِيْهٍ وَلَا تَـعْطِـيْلٍ
অর্থ: “ (ছুম্মাস তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ)। এ স্ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰى এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ কি?
উত্তর: ‘একজনের পাপের বোঝা অপরজন বহন করবে না। অর্থাৎ এক জনের পাপের জন্য অন্য জনকে দোষারোপ করা যাবে না।’
প্রশ্ন: ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি-এর কারণে জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করা, গালমন্দ করা কি?
উত্তর: কাট্টা কুফরী এবং চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
প্রশ্ন: ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি খিলাফত প্রাপ্ত হওয়ার পর কিভাবে গুমরাহ্ ও কাফির হয়ে যায়?
উত্তর: ইহুদী ও মুনাফ বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি-এর কারণে অনেকে জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করে থাকে, গালমন্দ করে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ! অথচ সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যখন ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে খলীফা নিযুক্ত করেন, তখন ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি ভালো ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে ইহুদী ও মুনাফিকদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি গুমরাহ ও কাফির হয়ে যায়। না‘ঊযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহি সালাম উনাকে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) সম্পর্কে কি বলেছেন?
উত্তর: ‘আমাদের সথে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া)-এর কি সম্পর্ক আছে? আমরা তো এর মুহ্তাজ না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মানুষ অর্থ করে- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া, সমা বাকি অংশ পড়ুন...
৪. হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা প্রত্যেকেই মাহফূয (সংরক্ষিত)। উনারা সন্তুষ্টি মুবারক প্রাপ্ত। উনাদেরকে মুহব্বত করা ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। যারা উনাদের বিরোধীতা ও সমালোচনা করবে, তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। যারা উনাদের সম্পর্কে চুঁ-চেরা করে বা করবে, তাদেরকে লা’নাতুল্লাহি আলাইহি বলা ফরজ। উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি। উনাদের যে কাউকে, যেকোন বিষয়ে যে কোনো ব্যক্তি অনুসরণ করবে, সেই হেদায়েত লাভ ক বাকি অংশ পড়ুন...
্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “জান্নাতের ছাদ হলো আরশে আযীমের নীচে। জান্নাত আরশে আযীমের নীচে। সবই আরশে আযীমের নীচে। আরশে আযীমকে আলমে খ¦লক্বের উপর স্থাপন করা হয়েছে। আরশে আযীমের উপর হলো আলমে আমর আর এর নীচে হলো আলমে খ¦লক্ব। এর মধ্যে আমি (মহান আল্লাহ পাক আরশে আযীমকে) ইস্তাওয়া করেছি। আমি ইস্তাওয়া হবো কেন্? আমি তো বেনিয়াজ-ছমাদ, আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ছমাদ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: ইয়াযীদকে ‘লা’নাতুল্লাহি আলাইহি’ বলা কি?
উত্তর: ফরয, ফরয এবং ফরয।
প্রশ্ন: لَعَنَ اللهُ قَاتِلَهٗ وَابْنَ زِيَادٍ مَّعَهٗ وَيَزِيْدَ اَيْضًا এই বাক্য মুবারক উনার অর্থ কি?
উত্তর: ‘আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে ব্যক্তি শহীদ করেছে তার উপর, ইবনে যিয়াদের উপর এবং ইয়াযীদের উপর লা’নত বর্ষণ করুন।’ আমীন!
প্রশ্ন: যারা ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে ‘আমীরুল মু’মিনীন, ছাহাবী, তাবেয়ী, রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু, রহমতুল্লাহি আলাইহি’ ইত্যাদি ইত্যাদি বাকি অংশ পড়ুন...
২. কারবালার ঘটনা ও ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির ব্যাপারে শরঈ ফায়ছালা:
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিনই অর্থাৎ ৬১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই মুহররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ সাইয়্যিদুশ শুহাদা, শুহাদায়ে কারবালা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিবার মুবারকসহ কারবালার নির্জন প্রান্তরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি র বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاَمَّا بِـنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ
অর্থ: “আর আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে যেই সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন, সেই সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে আপনি বর্ণনা করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা দ্বুহা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া স বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন কখন?
উত্তর: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক উনার ৭৮ বছর ৮ মাস ১০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ শরীফ।
প্রশ্ন: সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন কখন?
উত্তর: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক উনার ৫৩ বছর ২ মাস পূর্বে। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মালিকু আহলি বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, মালিকুল জান্নাহ, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে বড় মহাসম্মানিত পরিচয় মুবারক হচ্ছেন- তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক উসীলায় সমস্ত জিন-ইনসান এবং তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূ বাকি অংশ পড়ুন...












