প্রশ্ন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে কয়টি স্তর মুবারক রয়েছেন?
উত্তর: তিনটি স্তর মুবারক রয়েছেন।
প্রশ্ন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মোট কতজন?
উত্তর: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মোট ১৩ জন।
প্রশ্ন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা হচ্ছেন মোট কতজন?
উ বাকি অংশ পড়ুন...
(প্রকাশিত কিতাব মুবারক থেকে ধারাবাহিকভাবে)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা কারা?
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনটি স্তর মুবারক রয়েছেন। যেমন
প্রথম স্তর মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عَلِـىِّ بْنِ اَبِـىْ طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُـحْشَرُ ابْنَتِـىْ حَضْرَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَمَعَهَا ثِـيَابٌ مَّصْبُوغَةٌ بِۢدَمٍ فَتَتَعَلَّقُ بِقَائِمَةٍ مِّنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ فَتَقُوْلُ يَا عَدْلُ احْكُمْ بَـيْـنِـىْ وَبَيْنَ قَاتِلِ وَلَدِىْ فَيُحْكَمُ لِابْـنَـتِـىْ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ
অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজ বাকি অংশ পড়ুন...
‘اِسْتَـوٰى’ (ইস্তাওয়া) সংশ্লষ্টি সম্মানতি ও পবত্রি আয়াত শরীফসমূহ উনাদরে ছহীহ তরজমাহ্ মুবারক
(১ ও ২)
اِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمـٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِـىْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ
অর্থ: “নিশ্চয়ই আপনাদের রব মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমান-যমীন ৬ দিনে অর্থাৎ ৬ ধাপে সৃষ্টি করেছেন। ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে ‘আযীমকে আলমে খ¦লক্বের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলম খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছেন।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪, স বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক:
শাব্দিক পরিচিতি মুবারক: আরবী ক্বাওয়ায়িদ বা ব্যাকরণ অনুযায়ীاَهْلُ بَيْتٍ (আহলু বাইত) মুরাক্কাবে ইদ্বাফী হয়েছে। অর্থাৎ اَهْلُ (আহাল) শব্দ মুবারকখানা হচ্ছেন মুদ্বাফ আর بَيْتٍ (বাইত) শব্দ মুবারকখানা হচ্ছেন মুদ্বাফ ইলাইহ। اَهْلُ (আহাল) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন অধিবাসী, পরিবার-পরিজন, লোকজন, বাসিন্দা, সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদি। আর بَيْتٍ (বাইত) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন ঘর, হুজরা শরীফ, বাড়ি, বাসস্থান, পরিবার ইত্যাদি। সুতরাং اَهْ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে কয়টি রোযা রাখতে হয়?
উত্তর: দুটি রোযা রাখতে হয়।
প্রশ্ন: পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে কোন কোন তারীখে রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক?
উত্তর: সম্মানিত ও পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ উনার ৯ ও ১০ তারীখে। এ বছরের জন্য পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ এবং ইয়াওমুস সাবাত (শনিবার)।
প্রশ্ন: পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে দুইটি রোযা রাখতে হয় কেন?
উত্তর: ইহূদীরাও পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন রোযা রাখে, তাই তাদের খিলাফ করে দুইটি রোযা রাখতে হয়।
বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন?
উত্তর: ৮ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই মুহাররমুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার) ইশরাকের ওয়াক্তে।
প্রশ্ন: সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোথায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন?
উত্তর: মহাসম্মানিত ও মহাপবি বাকি অংশ পড়ুন...
৭. ক) বৎসরের প্রথম দিন উপলক্ষে ভালো খাবার খাওয়া বা খাওয়ার নিয়ত করা সুস্পষ্ট কুফরী। খ) বরং ভালো খাবার খেতে হবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন। গ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন ভালো খাবার খেলে এক বৎসরের স্বচ্ছলতা লাভ করা যাবে:
عَنْ حَضَرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ وَّسَّعَ عَلٰى عِيَالِهٖ فِى النَّفَقَةِ يَوْمَ عَاشُوْرَاءَ وَسَّعَ اللهُ عَلَيْهِ سَائِرَ سَنَتِهٖ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূ বাকি অংশ পড়ুন...
আফযালু নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সা বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে কেউ যদি একটি ডিমও দান করে তার পরিণাম কি হবে?
উত্তর: তার ৫০ বছরের অর্থাৎ সারা জীবনের সমস্ত ইবাদত নষ্ট হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: কেউ যদি নওরোজ বা বছরের প্রথম দিনের সম্মানার্থে কোনো কিছু খরিদ করে তার হুকুম কি হবে?
উত্তর: কাফির হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: কেউ যদি মজূসী ও মুশরিকদের অনুসরণে নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন পালন করে তাহলে তার হুকুম কি হবে?
উত্তর: ক্বিয়ামতের দিন সে তাদের সাথেই পুনরুত্থিত করা হবে।
বাকি অংশ পড়ুন...
৬. নওরোজ অর্থাৎ বাংলা, ইংরেজী, আরবী বা যে কোনো বর্ষপুঞ্জির প্রথম দিন বা নববর্ষ পালন করা, সম্মান করা, গুরুত্ব দেয়া, মর্যাদাসম্পন্ন মনে করা ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ই হারাম এবং কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ যারা এগুলি করবে তারা কাট্টা কাফির হবে:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّ اللهَ اَبْدَلَكُمْ بِيَوْمَيْـنِ يَوْمَيْنِ بِيَوْمِ النَّيْرُوْزِ وَالْمِهْرِجَانِ اَلْفِطْرَ وَالْاَضْحٰى
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে দুইটি দিন পরিবর্তন করে নতুন দুইটি দিন হাদিয়া মুবারক করেছেন। আর তা বাকি অংশ পড়ুন...
ইস্তাওয়া সর্ম্পকে হযরত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অভিমতবিশ্বখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আবুল হাসান মুক্বাতিল ইবনে সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘তাফসীরে মুক্বাতিলে’ বলেন,
ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ يَـعْنِـىْ اِسْتَـقَرَّ عَلَى الْعَرْشِ
অর্থ: “ছুম্মাস তাওয়া ‘আলাল আরশ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আরশে আযীম উনার উপর স্থির হয়েছেন।” (তাফসীরে মুক্বাতিল ২/১০৯)
‘তাফসীরে ত্ববারী শরীফ’ উনার ১৩ তম খ-ের ৪১১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ فَاِنَّهٗ يَـعْنِـىْ عَلَا عَلَـيْهِ
অর্থ: “ছুম্মাস তাওয়া ‘আলাল আরশ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক বাকি অংশ পড়ুন...












