মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ نَادٰى مُنَادٍ يَا مُحَمَّدُ قُمْ فَادْخُلِ الْـجَنَّةَ بِغَيْـرِ حِسَابٍ فَيَقُوْمُ كُلُّ مَنِ اسْـمُهٗ مُحَمَّدٌ وَيَتَوَهَّمُ اَنَّ النِّدَاءَ لَهٗ فَلِكَرَامَةِ سَيِّدِنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُـمْنَعُوْنَ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ক্বিয়ামতের দিন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিবেন- ‘হে মুহম্মদ’! উঠো, অতঃপর বীনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ কর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কালাম এবং উক্ত কালাম মুবারক উনার ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিই স্পষ্ট ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে সরাসরি দেখেছেন।
এ প্রসঙ্গে আরো বর্ণিত আছে-
عن عكرمة عن ابن عباس رضي الله عنه قال: "أتعجبون أن تكون الخلة لإبراهيم والكلام لموسى، والرؤية لمحمد صلى الله عليه وسلم"
হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ত বাকি অংশ পড়ুন...
شَارعِ ٌ (শারে’) শব্দ মুবারক আরবী (ش শীন-ر রা-ع আঈন) মূলধাতু থেকে ইসমে ফাইলের ছীগাহ। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, হুকুম প্রদানকারী, আইনদাতা, শরীয়ত প্রণেতা ইত্যাদি। যেমন বলা হয়,
مَا اَمَرَ بِهِ الشَّارِعُ عَلَى وَجْهِ الْاِلْزَامِ
‘সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা আবশ্যকতার ভিত্তিতে যা পালনের আদেশ করেন, (তাকে ওয়াজিব বলে)।’
মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত শরীয়ত মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা বা শারে’ বানিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
নিম্নে এ বিষয়ে দলীলভিত্তিক আলোচনা পেশ করা হলো: ম বাকি অংশ পড়ুন...
شَارعِ ٌ (শারে’) শব্দ মুবারক আরবী (ش শীন-ر রা-ع আঈন) মূলধাতু থেকে ইসমে ফাইলের ছীগাহ। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, হুকুম প্রদানকারী, আইনদাতা, শরীয়ত প্রণেতা ইত্যাদি। যেমন বলা হয়,
مَا اَمَرَ بِهِ الشَّارِعُ عَلَى وَجْهِ الْاِلْزَامِ
‘সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা আবশ্যকতার ভিত্তিতে যা পালনের আদেশ করেন, (তাকে ওয়াজিব বলে)।’
মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত শরীয়ত মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা বা শারে’ বানিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
নিম্নে এ বিষয়ে দলীলভিত্তিক আলোচনা পেশ করা হলো: ম বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ وَحِيْدُ عَصْرِهٖ وَفَرِيْدُ دَهْرِهٖ اَلْاِمَامُ فَخْرُ الدِّيْنِ الرَّازِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرٍّ اَوْ شَىْءٍ اٰخَرَ مِنَ الْـمَأْكُوْلَاتِ اِلَّا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَرَكَةُ وَفِىْ كُلِّ شَىْءٍ وَصَلَ اِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأْكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلَا يَسْتَقِرُّ حَتّٰى يَغْفِرَ اللهُ لِاٰكِلِهٖ وَاِنْ قُرِئَ مَوْلِدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مَاءٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْ ذٰلِكَ الْـمَاءِ دَخَلَ قَلْبَهٗ اَلْفُ نُوْرٍ وَّرَحْمَةٍ وَخَرَجَ مِنْهُ اَلْفُ غِلٍّ وَّعِلَّةٍ وَلَا يَـمُوْتُ ذٰلِكَ الْقَلْبُ يَوْمَ تَـمُوْتُ الْقُلُوْبُ
অর্থ: “যুগের অনন্য ব্যক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জাওযী হাম্বলী ছিদ্দীক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫১০ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৫৯৭ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
وَجَعَلَ لِمَنْ فَرِحَ بِمَوْلِدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِجَابًا مِّنَ النَّارِ وَسِتْرًا وَمَنْ اَنْفَقَ فِىْ مَوْلِدِهٖ دِرْهَمًا كَانَ الْمُصْطَفٰى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهٗ شَافِعًا وَّمُشَفَّعًا وَاَخْلَفَ اللهُ عَلَيْهِ بِكُلِّ دِرْهَمٍ عَشْرًا فَيَا بُشْرٰى لَكُمْ اُمَّةَ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ نِلْتُمْ خَيْرًا كَثِيْرًا فِى الدُّنْيَا وَفِى الْاُخْرٰى فَيَا سَعْدُ مَنْ يَّعْمَلْ لِسَيِّدِنَا مَوْلَانَا اَحْمَدَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْلِدًا فَيُلَقَّى الْهَنَا বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اَوْحَى اللهُ اِلـٰى حَضْرَتْ عِـيْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ يَـا حَضْرَتْ عِيْسٰى عَلَـيْهِ السَّلَامُ اٰمِنْ بِـسَيِّدِنَـا حَبِـيْـبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلـٰـنـَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاْمُرْ مَنْ اَدْرَكَهٗ مِنْ اُمَّتِكَ اَنْ يُّـؤْمِنُـوْا بِهٖ فَـلَوْلَا سَيِّدُنَا حَبِيْـبُـنَا شَفِيْـعُنَا مَوْلـٰنـَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا خَلَقْتُ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَلَوْلَا سَيِّدُنَا حَبِيْـبُـنَا شَفِيْـعُنَا مَوْلـٰنَـا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا خَلَقْتُ الْـجَنَّةَ وَلَا النَّارَ
অর্থ: “হযরত ই বাকি অংশ পড়ুন...
প্রথম পূর্বের লেখা থেকে প্রমাণ হয়েছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দায়েমী দীদার মুবারকে মশগুল আছেন। তারপরও সাধারণ মানুষকে বিষয়টা আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝানোর জন্য বলা হয় সম্মানিত মি’রাজ শরীফ হয়েছে ৩৪ বার, এর মধ্যে ১ বার সরাসরি সাক্ষাৎ ৩৩ বার রূহানীভাবে। এখন মহান আল্লাহ পাক উনার সরাসরি দীদার মুবারক বিষয়ে আমরা কিছু দলীল পেশ করবো। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে ছহীহ সনদে বর্ণিত আছে-
حدثنا عبد الله حدثني أبى ثنا عفان ثنا عبد বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই ছফর শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “গতকাল (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫ই ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ অর্থাৎ লাইলাতুল ই বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَلْـحَسَنِ الْبَصْرِىِّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّهٗ قَالَ اِنَّ اللهَ لَيُوْقِفُ الْعَبْدَ بَيْـنَ يَدَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الَّذِىْ اِسْـمُهٗ اَحْـمَدُ اَوْ مُحَمَّدٌ فَيَقُوْلُ يَا عَبْدِىْ اَمَا تَسْتَحْىٖ اَنْ تَعْصِيَنِـىْ وَاسْـمُكَ عَلـٰى اِسْمِ حَبِيْبِـىْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيُنَكِّسُ الْعَبْدُ رَاْسَهٗ حَيَاءً وَيَقُوْلُ اَللّٰهُمَّ اِنِّـىْ قَدْ فَعَلْتُ وَنَدَمْتُ فَيَقُوْلُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ يَا جِبْـرِيْلُ خُذْ بِيَدِ عَبْدِىْ وَاَدْخِلْهُ الْـجَنَّةَ فَاِنِّـىْ اَسْتَحْىٖ اَنْ اُعَذِّبَ بِالنَّارِ مَنِ اسْـمُهٗ اِسْمُ حَبِيْبِـىْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতু বাকি অংশ পড়ুন...












