সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
সাইয়্যিদুস সাক্বালাইন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ (হস্ত) মুবারক উনার বরকতময় মু’জিযাহ শরীফ
, ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৯ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০১ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
অর্থ: নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার (সর্ববিধ কল্যাণ) উনার মালিক করেছি। ” (পবিত্র সূরা কাউছার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
মূলত আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্ববিধ কল্যাণ হাদিয়া মুবারক করেছেন এবং মালিক বানিয়েছেন। কাজেই তিনি হলেন সর্বপ্রকার রহমত, বরকত, সাকীনার জামে’। উনার মুবারক ছোহবতে এবং মুবারক স্পর্শে সবকিছু বরকত ও নিয়ামত যুক্ত হয়ে যেত। এ ধরণের অসংখ্য ঘটনা পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তা হতে কতিপয় উল্লেখ করা হলো।
নিরাময়ের উৎস:
হযরত হানযালা বিন হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শৈশবে যখন উনার পিতার সঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে এসেছিলেন তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত হানযালা বিন হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাথায় নিজ নূরুল মাগফিরাত মুবারক (হাত মুবারক) রেখে দোআ মুবারক করেছিলেন। ঐ দোআ মুবারকের তাছির এরূপ হলো যে, কারো মুখে বা বকরীর দুগ্ধ স্তনে “ওয়ারাম” বা স্ফীত রোগ দেখা দিলে হযরত হানযালা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাথা মুবারকের সাথে তা স্পর্শ করলে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে যেত। সুবহানাল্লাহ!
উজ্জ্বল ললাট:
হযরত যায়েদ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হুনাইনের যুদ্ধে আহত হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার চেহারা হতে রক্ত মুছে দিয়ে উনার জন্য দোআ মুবারক করলেন। ঐ সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পবিত্র নূরুল মুজি’যাহ শরীফ বা হাতের তালু মুবারক দ্বারা উনার ললাট স্পর্শ করেছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারকের বরকতে হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ললাটের ঐ স্থানটি সর্বদা জ্বলজ্বল করতো। সুবহানাল্লাহ!
আজীবন কালো চুল-দাঁড়ি:
হযরত আমর বিন ছায়লাবা জুহানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি দুহালাহ নামক স্থানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে দেখে আদর করেন এবং উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ (হাত মুবারক) আমার মুখের উপর মুছে দিলেন।
হযরত আমর বিন ছায়লাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একশত বছর বয়সে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। উনার মুখের দাঁড়ি ও মাথার যে সকল চুল মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক বা হাত মুবারকের স্পর্শ পেয়েছিলো তা উনার ইন্তিকাল পর্যন্ত সাদা হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
চুল ও শরীরের বরকত:
হযরত আবু কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এভাবে দোআ মুবারক করতেন, “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আবূ কাতাদার চুল ও শরীরে বরকত দান করুন। ”
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দোআ মুবারকের বরকতে ইন্তিকাল পর্যন্ত উনার একটি চুলও সাদা হয়নি। এবং চেহারার লাবণ্য ছিলো পনের বছরের যুবকের মতো। তিনি সত্তর বছর বয়সে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
দুর্বল সবলে পরিণত:
হযরত জারীর বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে যুল খাচ্ছার দেব মন্দিরটি ধ্বংস করে দিতে নির্দেশ দিলেন। কিন্তু তখন আমার স্বাস্থ্য এতটা দুর্বল ছিলো যে, আমি ভালভাবে ঘোড়ায় ছওয়ার হতে পারতাম না এবং অধিকাংশ সময় ঘোড়া হতে পড়ে যেতাম।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আমার স্বাস্থ্যগত অপারগতার কথা জানালে তিনি আমার বুকের উপর উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ (হাত) মুবারক স্থাপন করে আমার জন্য দোআ মুবারক করলেন, “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি উনাকে হিদায়েতপ্রাপ্ত এবং হিদায়েতকারী বানিয়ে দিন। ”
হযরত জারীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, অতঃপর আমি দেড় শত ঘোড় ছওয়ার নিয়ে যুল খাচ্ছার দেব মন্দির জ্বালিয়ে দেই এবং জীবনে আর কখনো ঘোড়া হতে পড়ে যাইনি। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আমাকে তোমরা জানো? চিনো? আমি হলাম ‘সুলত্বনুন নাছীর’ মনে রেখো। পৃথিবীর কোনো ক্ষমতা নেই আমার সাথে পারবে না
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘সুলত্বানুন নাছীর’ লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক এবং উনার বিশেষ হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাস্সাম মুবারক উনার মধ্যে যা কিছু ছিলেন, সমস্ত কিছু ছিলেন পূত-পবিত্র থেকে পূত-পবিত্রতম ও মেশক-আম্বরসহ অন্যান্য সুগন্ধী থেকে কোটি কোটি গুণ বেশি সুগন্ধীময় এবং যাঁরা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা মুবারক পান করতে পেরেছেন উনারা প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ জান্নাতী (১)
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আবূ সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার একখানা মহাসম্মানিত বড় মাক্বাম মুবারক প্রকাশ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ঊলা বা প্রথমা, কুবরা বা মূল, বড়, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনারও মূল
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার নিয়ত করার কারণে মৃত্যুদ- থেকে মুক্তিলাভ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ স্বয়ং খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ঈদের দিন। আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। আজ শ্রেষ্ঠ দিন সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন। আজ কায়িনাতের সবশ্রেষ্ঠ দিন।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদো‘আ করলে উনারা খুব খুশি মুবারক প্রকাশ করেন’
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘আমরা আমাদের পুরো জিন্দেগী মুবারক ব্যয় করেছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল বুলন্দী শান-মান মুবারক প্রকাশ করার জন্য। আর আপনি সেটা এককভাবে করে যাচ্ছেন’
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক এবং খুশি মুবারক প্রকাশ
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফে থাকাকালীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে জলীলুল ক্বদর নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের স্বপ্নে কথোপকথনের মুবারক বর্ণনা
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)